কারণ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপগ্রস্ত নারীদের মধ্যে কেনাকাটায় আসক্তি বেশি দেখা যায়।
আর তারা অপ্রিয় বিষয়গুলো থেকে পালিয়ে থাকতেই হয়ত প্রায়ই শপিংমলগুলোতে ঢুঁ দেন।
নরওয়ের গবেষকদের মতে, চিন্তার বিষয় হল, কেনাকাটার আসক্তির লক্ষণগুলোর সঙ্গে মাদকাসক্তি, মদ্যাসক্তি এবং অন্যান্য আসক্তির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অফ বেরগেন (ইউআইবি)’য়ের মনোবিদ্যা বিভাগের ক্লিনিকল মনবিদ সেসিলি স্কোউ অ্যান্ড্রেয়াসেন বলেন, “আমরা জেনেছি, কেনাকাটার আসক্তির সঙ্গে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং স্বল্প আত্মবিশ্বাসের লক্ষণগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। তবে কেনাকাটার আসক্তির কারণেও এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।”
অ্যান্ড্রেয়াসেনের মতে, মানুষের মধ্যে কেনাকাটায় ঝুঁকে পড়ার কারণ হিসেবে এই বৃহৎ গবেষণা বেশকিছু পরিষ্কার প্রবণতা দেখিয়েছে।
নারীদের মধ্যেই এই কেনাকাটার আসক্তি বেশি দেখা যায়। সাধারণত কৈশোরের শেষের দিকে এবং পরিণত বয়সে পা দেওয়ার আগ মুহূর্তে শুরু এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে আসে।
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্টগুলোর সঙ্গেও কেনাকাটার আসক্তির সম্পর্ক রয়েছে।
বেরগেন শপিং অ্যাডিকশন স্কেল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রেয়াসেন এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, “গবেষণায় দেখা গেছে যাদের বহির্মুখীতা এবং মানসিক চাপ বেশি তাদেরই কেনাকাটায় আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।”
বহির্মুখী মানুষ, যারা সাধারণত সামাজিক এবং রোমাঞ্চ সন্ধানী, তারা সম্ভবত কেনাকাটার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে চান এবং নিজের সামাজিক অবস্থা ও নিজের আকর্ষণীয় ভাব বাড়াতে চান।
“নিউরোটিক মানুষ, যারা সাধারণত উদ্বীগ্ন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং আত্নকেন্দ্রিক হন, তারা সম্ভবত কেনাকাটার মাধ্যমে নিজেদের নেতিবাচক অনুভূতিগুলো কমানোর চেষ্টা করেন।”—বলেন অ্যান্ড্রেয়াসেন।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, যারা বিবেকবান, অমায়িক এবং নতুনত্ব ও বুদ্ধিদীপ্ত বিষয় পছন্দ করেন তাদের কেনাকাটায় আসক্ত হওয়ার আশঙ্কা কম।
তাদের সাধারণত ভালো আত্ন-নিয়ন্ত্রণ থাকে, উল্টোপাল্টা কেনাকাটার কারণে হতে পারে এমন ঝামেলাগুলো এড়িয়ে চলেন।
ফ্রন্টিয়ারস ইন সাইকোলজি নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
আরও প্রতিবেদন: