মগজ কমায় ‘জাঙ্ক ফুড’

মিষ্টি পানীয়, লবণাক্ত খাবার বা প্রক্রিয়াজাত মাংসের প্রতি আগ্রহ থাকলে সাবধান হন।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2015, 10:25 AM
Updated : 16 Sept 2015, 10:28 AM

কারণ সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, এই ধরনের খাবার শেখা, মনে রাখা এবং মানসিক স্বাস্থ্য মস্তিষ্কের যে অংশে থাকে বলে বিশ্বাস করা হয় তা ক্ষুদ্র করে ফেলে।

যদিও গবেষণাটি ষাটোর্ধ্ব মানুষের ওপর করা হয়েছে। তারপরও গবেষকরা মনে করেন এই ফলাফল শিশুসহ সব বয়সি মানুষের জন্যই প্রযোজ্য।

গবেষণার প্রধান অস্ট্রেলিয়ার জিলংয়ের ডিকিন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ফেলিসি জাকা বলেন, “কোনো কোনো সময় খাবারের মধ্যে ভালো ও খারাপ উপাদান থাকতে পারে, যা মস্তিষ্কে দ্রুত প্রভাব ফেলে। ফলে হিপ্পোক্যাম্পালের আকার ও কার্যকরণে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এই পর্যবেক্ষণ শুধু ইঁদুরের উপরেই করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এবারই প্রথম গবেষণায় দেখা গেল এটা মানুষের ক্ষেত্রেও খাটে।”

গবেষকরা চৌম্বকীয় অনুরণন ইমেজিংয়ের (ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং) মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ৬০ থেকে ৬৪ বছর বয়ষ্ক মানুষের হিপ্পোক্যাম্পাইয়ের আকার মাপেন (মস্তিস্কের বাম এবং ডান দুই ভাগ)।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- মিষ্টি পানীয়, লবণাক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খায় তাদের বাম পাশের হিপ্পোক্যাম্পাইয়ের আকার ছোট।

যারা প্রাকৃতিক খাবার বেশি খায় যেমন, সবজি, ফল এবং মাছ, তাদের বাম হিপ্পোক্যাম্পাই বড়।

জাকা বলেন, এই ফলাফল মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্মৃতিভ্রংশের ক্ষেত্রেও সম্পর্কিত।

তিনি আরও বলেন, “হিপ্পোক্যামপাস মস্তিষ্কের প্রধান অংশ যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর কার্যক্ষমতা বোঝাও বেশ জটিল। তবে এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্ক— সব বয়সি মানুষের স্বাস্থ্যকর পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে।

বিএমসি মেডিসিন জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও খবর: