রেসিপি দিয়েছেন রওশন আরা ফারুক।
উপকরণ
তরল দুধ ১ লিটার। ময়দা ১ চা-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। গোলাপ জল ১ চা-চামচ। এলাচগুঁড়া ১টি। লাল খাবার রং বা জাফরান ইচ্ছা মতো।
সিরার জন্য: চিনি ১ কাপ, পানি ৩ কাপ।
ছানার জন্য: ১ লিটার তরল দুধ। লেবুর রস বা ভিনিগার ২ টেবিল-চামচ। বা আধা কাপের একটু কম।
ছানা তৈরির পদ্ধতি
চুলাতে দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটলে লেবুর রস বা ভিনিগার ঢেলে দিন। নাড়তে থাকুন। ১০ মিনিট পর ছানার পুরাপুরি পানি কেটে যাবে। পানি সবুজ রঙ হলে বুঝবেন ছানা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার পাতলা সুতি কাপড়ে ছানা ঢেলে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে কাপড়সহ ঝুলিয়ে রাখুন বা ছাকনিতে ঢেলে রাখুন।
কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। পরে বাতাসে রেখে ছড়িয়ে দিয়ে শুকিয়ে নিন। এটা এক লিটার দুধের ছানা।
রসগোল্লা তৈরির পদ্ধতি
ছানা তৈরি করে বাতাসে ছাড়িয়ে রাখুন দুতিন ঘণ্টা। এবারে ছানা পাটাতে কয়েকবার পিষে মসৃণ করুন। তারপর এতে চিনি, ময়দা, এলাচগুঁড়া দিয়ে ভালো করে ময়ান দিন। এমন ভাবে ময়ান দিতে হবে যেন ছানা হাতে আটকিয়ে না থাকে ও হাতে তেল তেলে ভাব চলে আসে। হাতে তেল আসলেই তখন বুঝবেন ছানা তৈরি।
এখন ছানার সঙ্গে খাবার রং দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন রং ভালো মতো মিশে যায়।
এবারে ছানা সমান কয়েক ভাগে ভাগ করুন। এক লিটার দুধের ছানাতে পাঁচ,ছয়টি মিষ্টি হবে। মিষ্টির গোল সমান করে করুন যেন কোনো ফাঁটা না থাকে। হাতে একটু ঘি মাখিয়ে গোল তৈরি করে নিতে পারেন।
এবারে চুলাতে এক কাপ চিনি ও তিন কাপ পানি দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে ওঠার পর সিরার উপরে একটা স্তর পড়লে সেটা চামচ দিয়ে তুলে ফেলুন। চুলার জ্বাল কম রাখুন।
এবারে মিষ্টিগুলো ফুটন্ত সিরাতে আস্তে করে দিয়ে দিন। জ্বাল বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর মিষ্টিগুলো সিরার উপর ভেসে উঠলে চামচ দিয়ে মিষ্টিগুলো সিরাতে ডুবিয়ে ঢেকে দিন। পানির প্রয়োজন হলে একটু গরম পানি দিন।
২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর একটা মিষ্টি তুলে পানিতে ছাড়ুন। মিষ্টি পানিতে ডুবে গেলে ও আকার ঠিক থাকলে বুঝবেন রসগোল্লা তৈরি এবং একবারে ঠিকঠাক হয়েছে। চুলা থেকে নামিয়ে ১ চা-চামচ গোলাপজল দিন।
পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন রসে ভরা রঙিন রসগোল্লা।