স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রার তারতম্য হলে খিঁচুনি, র্যাশ, বমি বমি ভাব, মাথা ঝিমঝিম করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘসময় শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, প্রচুর পরিমাণে তরল খাওয়া। পানি পান করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়াও আছে শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক কিছু খাবার।
ডাবের পানি
প্রতীকী মডেল: নাবিলা ফিরোজ স্বর্ণা / ছবি: সাকিব উল ইসলাম।
তরমুজ
তরমুজের বেশিরভাগই পানি। বাসায় বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেনো, স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন এই ফল। এছাড়াও মিলবে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক।
বেদানা
মিষ্টি এবং জেলাটিন বা আঠালোখাদ্য উপাদানযুক্ত এই ফল পানিতে ভরপুর, যা শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক।
বেদানা। ছবি: রয়টার্স।
বাঁধাকপির গুণাবলী অনেকটাই শসার মতো। কারণ এতেও থাকে প্রচুর পানি ও ভিটামিন সি। আরও আছে প্রদাহ বিরোধী উপাদান যা গরমে অস্বস্তি, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা এবং মাংসপেশীর ব্যথা উপশমে কার্যকর।
শসা
প্রচুর পরিমাণে পানিবাহী এই সবজি শরীরের তাপমাত্রা কমায়। আরও আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা গরমে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও রোগবালাই যেমন: সর্দিকাশি, জ্বর, টাইফয়েড ইত্যাদি থেকে রক্ষাকারী প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
শসা।
পুদিনাপাতা
গরমে প্রিয় পানীয়গুলো যেমন লেবুর শরবত, আইস টি, বিভিন্ন ফলের স্মুদি ইত্যাদির সঙ্গে এটি মিশিয়ে নিতে পারেন। এই পাতার উপাদান শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক।
তিল ও মেথিবীজ
এই বীজজাতীয় খাবার প্রাকৃতিকভাবে শারীরিক তাপমাত্রা কমানোর জন্য পরিচিত। বাড়তি গুণাবলী হিসেবে তিলে মিলবে ফাইবার আর মেথিবীজ দেহের বর্জ্য এবং বিষাক্ত উপাদান অপসারণে সহায়ক।