পদ্ধতি বাতলিয়েছেন আনিসা হোসেন ।
উপকরণ
১ কেজি হেভি হুইপডক্রিম। বিটার মেশিন কিংবা হ্যান্ডমিক্সার। ছাকনি। কড়াই৷
হুইপক্রিম দেখতে ঘন দুধের মতো৷ এটা বিট করে ক্রিম বানানো হয় যা আমরা কেকের জন্য ব্যবহার করি৷ বিট করলে এই ক্রিম থেকে মাখন (বাটার) এবং এই মাখন থেকে ঘি তৈরি করা যায়৷
হ্যান্ডমিক্সার দিয়ে করলে ধৈর্য ধরতে হবে।
পদ্ধতি
প্রথমে মাখন তৈরি: বড় একটি বাটিত হুইপক্রিম ঢেলে নিন৷ বিটার দিয়ে মাঝারি গতিতে বিট করতে থাকুন। ১০ মিনিট বিট করার পর হুইপড ক্রিম ফোমের মতো হয়ে আসবে৷
আরও ছয় থেকে সাত মিনিট বিট করুন। বিট করতে করতে হুইপড ক্রিমের ফোমগুলো দলা দলা হয়ে আসবে এবং একটু হলুদ রং হয়ে যাবে৷ এই হলুদ রংই হল মাখন বা বাটার৷
একটু একটু পানির মতো দুধ বের হবে৷ বিট করার পর মাখন আলাদা হয়ে যাবে এবং দুধ আলাদা হয়ে যাবে৷ যখন তৈরি করবেন তখন নিজেই বুঝবেন৷
যখন ক্রিম দলা দলা এবং দুধ আলাদা হয়ে যাবে তখন বিট করা বন্ধ করে দিন৷ মাখন তৈরি হওয়ার পর যতটুকু পানির মতো পাতলা দুধ বের হয়েছে তা চামচ দিয়ে আলাদা করুন৷ এবার বড় ছাকনি দিয়ে মাখন থেকে বের হওয়া দুধ ছেঁকে নিন৷
এই দুধটুকু হল বাটার মিল্ক৷ না ফেলে রেখে দিতে পারেন। পাতলা দুধ ছাঁকার পর আপনার মাখন তৈরি। এই মাখন রান্না করে ঘি বানাতে হবে৷
কড়াইতে মাখন দিয়ে চুলায় দিন এবং আঁচ মাঝারি রাখুন। চামচ দিয়ে মাখন নেড়ে নেড়ে গলিয়ে নিন৷ ছয় থেকে সাত মিনিট এভাবে নেড়ে জ্বাল দেওয়ার পর দেখবেন মাখন গলে উপরে ফেনা উঠছে। তেল তেল হয়ে গেছে। এছাড়া মাখনের রংও পরির্বতন হয়ে যাবে।
উপরে ফেনা ফেনা হয়ে যে তেল বের হয়েছে এটাই ঘি৷ তেল তেল হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন৷ বেশি জ্বাল দিলে ঘি পুড়ে কালো হয়ে যাবে৷ খুব বেশি হলে ছয় থেকে সাত মিনিটেই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।
চুলা বন্ধ করার পর গরম হাঁড়ি ধরে বানানো ঘি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন৷ যে বোতলে কিংবা পাত্রে রাখতে চান সেই বোতল বা পাত্রে গরম গরম ঘি ঢেলে রাখুন৷ গরম অবস্থায় ঘি তেলের মতো দেখাবে৷ ঠাণ্ডা হতে হতে ঘি সুন্দর জমে যাবে৷
ফ্রিজে রাখার দরকার নেই৷ বাহিরেই ঘি অনেক দিন ভালো থাকে৷ এয়ার টাইট বয়ামে রাখলে বেশি ভালো হবে৷
সমন্বয়ে: ইশরাত মৌরি।