পেয়ারার পুষ্টিগুণ

হাতের নাগালে বেশ সস্তায় পাওয়া যায় এই দেশি ফল। ভিটামিন সি ও নানান খনিজ উপাদানে ভরপুর।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2015, 09:12 AM
Updated : 20 August 2015, 09:12 AM

পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা।

তিনি বলেন, “পেয়ারা খুব উপকারী একটি ফল। বেশির ভাগ মানুষ এর স্বাদ ও গন্ধের জন্য পছন্দ করেন।।”

তিনি জানান, পেয়ারা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ’র কাজ করে। সস্তায় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তিনি আরও জানান:

পেয়ারা ভিটামিন সি’র ভালো উৎস। এতে ২১১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি মুখগহব্বর, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। পাশাপাশি বিপাকেও সাহায্য করে।

সাধারণত ফলে ভিটামিন এ, সরাসরি পাওয়া যায় না; এটি প্রথমে ক্যারোটিন রূপে থাকে পরবর্তিতে তা ভিটামিন এ’তে রূপান্তরিত হয়। ক্যারোটিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.২১ মি.গ্রা ভিটামিন বি ১ ও ০.০৯ মি.গ্রা বি ২ পাওয়া যায়। এইসব ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি ও মুখের ঘা জনিত নানারকম অসুখ হতে পারে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাদ্য শক্তি পেতে প্রতি দিন একটি পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে বলে জানান এই পুষ্টিবিদ।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১.৪ গ্রাম প্রোটিন ও ১.১ গ্রাম স্নেহ পাওয়া যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পাওয়া যায় ১৫.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এটি শরীরের আভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে সাহায্য করে। তাছাড়া ফলের পেকটিন ও সেলুলোজ রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

পেয়ারা নানারকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.৬ গ্রাম মিনারেল, ০.০৩  মি.গ্রাম থায়ামিন, ০.০৩ রিবোফ্লেভিন ১.৪ মি.গ্রাম আয়রন, ২৮ মি.গ্রাম ফসফরাস ও ২০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর পেয়ারা শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ফারাহ মাসুদা জানান পেয়ারার নানা উপকারের কথা-

* পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।

* ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

* হজমে সাহায্য করে।

* এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

* রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা।

* ক্যারটিন থাকায় পেয়ারা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

* পেটের অসুখ ও নানারকম সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিকারে পেয়ারা সাহায্য করে।

* পেয়ারার আঁশ দেহের রক্তচাপ কমায়।

* যারা ওজন কমাতে চান তারা দৈনিক ১,২টি পেয়ারা খেতে পারেন। এটি ক্ষুধা নিবারণ করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।