পেটের মেদ কমানোর খাবার

খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে মেদ কমানো গেলেও অনেকেরই পেটের মেদ পিছু ছাড়তে চায় না। ঘাম ঝরানো ব্যায়াম পেটের মেদ কমাতে বেশ কার্যকর হলেও অনেকের জন্যই তা বেশ দুষ্কর একটি কাজ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2015, 10:26 AM
Updated : 9 August 2015, 10:34 AM

মেদ ছাড়াও অনেকের বিভিন্ন কারণে পেট স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা ফুলে থাকে।

তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পেটের ফোলাভাব থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করবে এমনই কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়।

টক দই

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের পেট কিছুটা ফুলে থাকে। প্রতিদিন টক দই খাওয়ার ফলে এর প্রোবায়োটিকস উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া টক দেই কোমর ও পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে। তাই সুন্দর পেটের জন্য প্রতিদিন টক দেই খাওয়া বেশ উপকারী।

শস্যজাতীয় খাবার

পরিশোধিত শস্যজাতীয় খাবার খাওয়ার বদলে অপরিশোধিত শস্য থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে যারা অপরিশোধিত শস্যের তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা কম।

কাঠবাদাম

ক্যালরি রোধ করতে সাহায্য করে কাঠবাদাম। গবেষণায় দেখা গেছে, কোষে মেদ শোষণে বাঁধা সৃষ্টি করে কাঠবাদাম।

শসা

শরীরের মেদ কমাতে শসার কার্যকারীতা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। শসায় আছে ক্যাফেইক অ্যাসিড যা শরীরে পানি জমা বা গ্যাসের কারণে হওয়া ফাঁপাভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই পেট কমাতে এই সবজি বেশ কার্যকর।

সবুজ শাকসবজি

মাংসপেশির গঠনে জরুরি উপাদান ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় সবুজ শাকসবজিতে। শক্তি জোগাতেও ভালো কাজ করে। তাছাড়া সবজিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে যা ওজন কমাতে এবং পেটের আকার স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

স্যামন মাছ

স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর স্যামন মাছে রয়েছে কিছু উপকারী প্রোটিন যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে। ফলে কিছুক্ষণ পরেই ক্ষুদা অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাছাড়া এর উপাদান পেটের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজনীয়তাও পূরণ করবে স্যামন মাছ।

কলা

পেট ও কোমরের কাছে জমে থাকা বাড়তি পানি কমিয়ে পেটের আকার স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে কলা। পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের অসামঞ্জস্যতার কারণে শরীরের মাঝামাঝি অংশে বাড়তি পানি জমে থাকে। সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের কোষে অতিরিক্ত তরল ধরে রাখে। আর এই সমস্যা কমাতে পটাশিয়াম গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হয়। যা এই ফল থেকে পাওয়া যায়।

পানি

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান, শরীরের নানান ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রচুর পানি পানের ফলে হজম প্রক্রিয়া সচল থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। অপর্যাপ্ত পানি পানের ফলে পেটে ফাঁপা এক ধরনের অনুভূতি হয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। পাশাপাশি প্রচুর রসালো ফল ও সবজিও খাওয়া উচিত।