যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের সহকারী অধ্যাপক সুমের এল খৌডারে বলেন, “নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। এবং ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের এটা বেশি হয়। কারণ গড়ে বেশিরভাগ নারী এই সময় মেনোপোজের মধ্যে দিয়ে যায়।”
এল খৌডারে আরও বলেন, “দেখা গেছে মেনোপোজের সঙ্গে চর্বি জমার সম্পর্ক রয়েছে যা হৃদপিণ্ডে ঘিরে চর্বির পরিমাণ বাড়ায়। আমরা দেখতে পেয়েছি এর থেকে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে।”
দ্যা জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ড্রক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
তাছাড়া মেনোপোজের সময় এবং পরে নারীদের ওজনও বৃদ্ধি পায়। তবে এই সময় ওজর বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মেনোপোজ নয় বরং বয়স বৃদ্ধি।
খৌডারে এবং গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪৫৬ জন নারীর চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য যাতে রক্তের নমুনা এবং হার্টের সিটি স্ক্যান রয়েছে সেসব নিয়ে মূল্যায়ন করেন।
এসব নারীদের গড় বয়স ৫১ বছর এবং তাদের কোনো হরমোন সংক্রান্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
মেনোপোজের সময় যৌন হরমোন এস্ট্রাডিওল এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হরমন এস্ট্রোজেন কমে যায়। যা থেকে হৃদপিণ্ডসংক্রান্ত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বয়স, জাতি, বাড়তি ওজন, শারীরিক কর্ম ক্ষমতা, ধূমপান, মদ্যপান এবং অন্যান্য কোনো অসুস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলোও এই গবেষণায় আনা হয়।
খৌডারে বলেন, “মধ্য বয়সে নারীদের হৃদপিণ্ডে চর্বি জমা রোধ করার কৌশল উন্নত করতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হতে পারে। বিশেষ করে যখন জানা গেছে রেজোনিবৃত্তির ক্রান্তিকালে নারীদের হৃদয়ে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।”
ছবি: রয়টার্স।