সুস্বাস্থ্যের জন্য হাসি

অফিস একদিন ভালো দিন কাটানো, ভালো একটি বই পড়ে শেষ করা কিংবা পছন্দের কিছু কেনা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু আমাদের মুখে হাসি ফোটায়। 

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2015, 01:17 PM
Updated : 22 July 2015, 01:18 PM

আর এই হাসির মধ্যেও আছে স্বাস্থ্যগুণ। এই সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

হাসি আপনাকে আকর্ষণীয় করে

অকৃত্রিম ও নির্মল হাসি মানুষকে আপনার প্রতি আকর্ষণ করে এবং মনোযোগী করে তোলে।

হাসি মন ভালো করে

মানসিক অবস্থা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হাসি। তাই মন খারাপ হলে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা হাসির ছবি দেখতে বসে যেতে পারেন।

সংক্রামক

হাসি সংক্রামক, ইতিবাচক দিক থেকে। মন ভালো করার পাশাপাশি হাসি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে যা আশপাশের মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমায়

চেহারায় ক্লান্তির ছাপ দূর করে হাসি। মস্তিষ্কে নিউরোপেপটাইডের নিঃসরণ হয় যা মানসিক চাপর দূর করতে সাহায্য করে। এই ক্ষুদ্র উপাদানগুলো নিউরনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে যা শরীরে আনন্দ, দুঃখ, রাগ, উত্তেজনা ইত্যাদি অনুভূতির ইঙ্গিত পাঠায়।  

প্রাকৃতিক প্রতিষেধক

গবেষণায় দেখা গেছে, হাসলে শরীরে ‘এন্ডোরফিনস’ নামক একধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিসৃত হয়। ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যথা উপশমকারী হিসেবে কাজ করে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। হাসির কারণে আরও নিসৃত হয় ‘সেরোটোনিন’ যা মন ভালো করতে কার্যকর। মস্তিষ্কে এই উপাদানগুলো যত বেশি নিসৃত হবে, আপনি থাকবেন তত বেশি নিশ্চিন্ত এবং আনন্দিত।

হাসি কমায় রক্তচাপ

ডোপামিন, এন্ডোরফিনস, সেরোটনিন ইত্যাদি নিউরোট্রান্সমিটার শরীরকে বিশ্রাম দেয়। পাশাপাশি হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ কমায়। হাসার সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রক্তচাপ কমতে দেখা গেছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দৃঢ় করে

রক্তে শ্বেত কণিকা তৈরির মাধ্যমে শরীরে রোগবালাই মোকাবেলা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে হাসি। এক গবেষণায় দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যেসব শিশুদের নিয়মিত গল্প শোনানো এবং পুতুল খেলা দেখানোর মাধ্যমে হাসানো হয়েছে তাদের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ যেসব শিশুদের গল্প শোনানো বা পুতুল খেলা দেখানো হয়নি তাদের তুলনায় বেশি। আর হাসির পর শরীর বিশ্রাম পায় বলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কার্যকর হয়।

বয়সের ছাপ কমায়

জার্মানের এক গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রায়ই হাসেন তারা শুধু আকর্ষণীয়ই নন, তাদের থাকে তারুণ্যদীপ্ত চেহারাও। গবেষণায় দেখা গেছে যত বেশি হাসবেন, ততই তরুণ থাকবেন। বয়সের ছাপ দূরে রাখার সর্বোত্তম এবং সহজ উপায় হল হাসি।

ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে

আপনি যদি অফিসের হাস্যোজ্জ্বল কর্মী হয়ে থাকেন তবে শিগগিরই আপনার আত্নবিশ্বাসী মনোভাবের কারণে মিলতে পারে পদোন্নতি। গবেষণায় বলা হয়, হাস্যোজ্জ্বল আকর্ষণীয় চেহারার মানুষকে দেখলে মস্তিষ্কের অর্বিটোফ্রন্টাল করটেক্স চালু হয়। মস্তিষ্কের এই অঞ্চলে পুরস্কার দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে কাজ করে।

ইতিবাচক হতে সাহায্য করে

হাসির কারণে জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। অকৃত্রিম হাসির জন্য ভালো একটি মজার ছবি দেখতে পারেন বা নেমে পড়তে পারেন খেলাধুলাতে। আত্নীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, মেতে উঠতে পারেন আড্ডায়।

ছবি আঁকা, রান্না করা বেড়ানো ইত্যাদি যেসব কাজ করে আপনি আনন্দ পান সেসব কাজে সময় দিতে পারেন।

ছবি: রয়টার্স।