আরামদায়ক ঘুমের জন্য শয়নকক্ষে কিছু জিনিসের দিকে নজর দিতে হয়।
Published : 10 Jun 2024, 04:49 PM
বিছানা ছাড়া শোবার ঘর বেমানান। আবার এই বিছানা আরামদায়ক না হলে ভালো ঘুমও হবে না।
তাই নিজের শোবার ঘরটি কার্যকরভাবে সাজাতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।
ম্যাট্রেস
ভালো বিছানার জন্য ভালো মানের ম্যাট্রেস প্রয়োজন।
এই বিষয়ে ডালাস নিবাসী মার্কিন অন্দরসজ্জাকর অ্যামি সুইটজার রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “আরামদায়ক ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এমন ম্যাট্রেস ব্যবহার করা জরুরি।”
অস্বস্তিকর ম্যাট্রেস ব্যবহারে ঘুম যেমন ভালো হবে না তেমনি শরীরেও ব্যথা হবে।
চাদর
ম্যাট্রেসের মতো ভালো মানের চাদর ব্যবহার করতে হবে বিছানায়। বালিশের কভারের ক্ষেত্রেও তাই।
সুইটজার বলেন, “খসখসে কাপড়ের চাদর শরীরে চুলকানি তৈরি করবে। ঘাড়ে মাথায় দেবে অস্বস্তি। তাই চাদর যেন আরামদায়ক ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পার্শ্ব টেবিল
যে কোনো ধরনের বিছানার পাশে একটা ছোট টেবিল থাকা আবশ্যক। মাথার দিকে এমন টেবিলে প্রয়োজনীয় জিনিস সহজে রাখা যায়।
আলোকসজ্জা
শোবার ঘরের আলো হতে হবে চোখের জন্য আরামদায়ক। রাতে বই পড়ার অভ্যাস থাকলে পাশে ছোট টেবিলে রাখা যেতে পারে ‘স্ট্যান্ড লাইট’।
একই প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্দরসজ্জা প্রশিক্ষক অ্যামান্ডা ওয়াট।
তিনি পরামর্শ দেন, “এমনভাবে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঘরের সব চাহিদা পূরণ করতে পারে। অনেকে পুরো অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে মৃদু আলোর ব্যবস্থা রাখা উচিত। আর হাতের কাছে যেন আলো জ্বালা-নেভানোর সুইচটা থাকে।”
জানালা সাজানো
প্রাকৃতিক আলো ঘরের মধ্যে খেলার করার ব্যবস্থা যেমন রাখতে হবে তেমনি রাতে যাতে বাইরের কোনো আলো না ঢোকে সেটাও খেয়াল রাখা দরকার। এজন্য ব্যবহার করতে হবে পর্দা।
সুইটজার বলেন, “দিনে কিংবা রাতে আলো ঠেকানোর পাশাপাশি যাতে ‘প্রাইভেসি’ রক্ষা হয় সেরকম কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা উচিত।”
তার গোছানোর ব্যবস্থা রাখা
চলতি সময়ে বিছানা শুয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা তেমন অদ্ভুত কিছু না। তবে ঘুমাতে গিয়ে যদি ফোন চার্জ দিতে দূরে যেতে হয়ে, সেটা বিরক্তিকর।
এজন্য সুইটজার পরামর্শ দেন, “হাতের নাগালে বিছানার পাশে ফোন চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। আর চার্জারের তার যাতে অগোছালো না থাকে সেজন্য ব্যবহার করা যায় নানান ধরনের ‘কর্ড অর্গানাইজার’।”
সবুজের ছোঁয়া
ওয়াট বলেন, “শোবার ঘরে ছোট গাছ রাখলে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে তেমনি দেয় সতেজ অনুভুতি।”
এজন্য ঘরের কোনায় বা জানালার একপাশে রাখা যায় ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’।
গালিচা
শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বিছানার পাশে রাখা ছোট গালিচা নামতে বা উঠতে নরম অনুভূতিও দেবে। তাছাড়া এটা পায়ের তলা পরিষ্কারের কাজেও দেয়।
জিনিস রাখার ব্যবস্থা
শোবার ঘরে থাকা আলমারিতে অনেক কিছুই রাখা সম্ভব। ফলে দেখতে অগোছালো লাগে না। তবে সুইটজার পরামর্শ দেন, জিনিস রাখার জন্য আরও কোনো জায়গা খুঁজে বের করা।
যেমন হতে পারে খাটের বা ড্রেসিং টেবিলের নিচের অংশে ড্রয়ার তৈরি করা।
আরও পড়ুন