- ঘড়ির কাঁটায় তখন চারটা ছুঁই ছুঁই। সকাল হয়ে পূর্ব আকাশে জেগে উঠা রক্তিম সূর্যটি বিকেলের পশ্চিমে হলুদ আভা ছড়িয়ে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ত যাওয়ার।
- দিনটি ছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখ। মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনে সেটা শেষ দিন ছিল। সেদিন ছিল বিদায় অনুষ্ঠান।
- ক্রিং ক্রিং। কলিংবেল বাজছে অনবরত। কিন্তু দরজা খুলছে না কেউ। নিশুতি শুনছ, কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে না। ভয়ে। আম্মুর ভয়ে।
- বন্ধুরা, স্কুল খোলার অপেক্ষায় নিশ্চয়ই তোমরা আকুলি বিকুলি করছো। ঘরে বসে তোমাদের সময়গুলো কাটছে নানা সৃজনশীল কাজে। নিজের আঁকা তেমনই কিছু ছবি পাঠিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সারওয়ানা নাওয়ার চৌধুরী, বয়স ৬। সে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের এখনও সচেতন থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
- প্রতি বছর বার্ষিক পরীক্ষার পর বাবা আমাদের সবাইকে বেড়াতে নিয়ে যায়। রিন্তি ছোট ছিল বলে আমরা অনেকদিন দূরে কোথাও যাইনি। আমার খুব সমুদ্র দেখতে যেতে ইচ্ছে করছিল।
- The summer has been very different this year. Life, for most of us, has been reduced to forced isolations at home by the coronavirus which has killed thousands of people around the globe.
- লিংকে ঢুকতেই শাহনওয়াজ স্যারের গলা শুনতে পেলাম। তবে সেই গলাতে দৃঢ়তা নেই। হারিয়ে গেছে জৌলুসও। স্যারের আতঙ্ক-ভরা এমন কণ্ঠ এই প্রথম শুনছি।
- এবারের ঈদটা অন্যরকম গেলো। একদম অন্যরকম। কেউ আমাদের বাসায় এলো না। আমরাও কোথাও বেড়াতে গেলাম না।
- ২৬ মার্চ সকালবেলা। আগের দিন রাতে দেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব বড় বড় হাসপাতালগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দেয়ার উপযোগী করতে।
- শুভ জন্মদিন কবিগুরু! কেমন আছো কবিগুরু? আশা করি ভালোই আছো।
- এরই মধ্যে আমার বাসায় থাকার এক মাস পেরিয়ে গেল। এই এক মাসে বাসা থেকে নিচে নামা তো দূরের কথা দরজার চৌকাঠও পেরুইনি।
- সোনামণিরা, তোমাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। তোমাদেরকে সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ আমরা দিতে পারছি না। এমনিতেই স্কুলের ব্যাগের বোঝা, খোলা মাঠহীন শৈশব, দূষিত বায়ু আর যান্ত্রিকতা ইত্যাদি নিয়েই বেড়ে উঠছো।
- বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষ। বড়রা যদিও বই পড়ে কিংবা ভার্চুয়াল ভুবনে ব্যস্ত সময় কাটাতে পারেন, কিন্তু শিশুরা? কার্টুন দেখে দেখে আর যেন সময় কাটতে চাইছে না তাদের।
- [ড. জ্যাকলিন স্পার্লিং একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল’ এর একজন অধ্যাপক। ওই স্কুলের ব্লগে প্রকাশিত করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এ লেখাটি অনুবাদ করেছেন মাজহার সরকার]
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে দেবাদিত্য ভৌমিক। সে পড়াশোনা করে চট্টগ্রামের ‘সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে’ তৃতীয় শ্রেণিতে। বাবা অনিক রঞ্জন ভৌমিক ও মা যুথীকা দাশ। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, ফিনল্যান্ডের অউলু থেকে তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে প্রার্থনা এহেছান। তার বয়স ৫ বছর। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য প্রাণিদের ছবি এঁকে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের উইনব্রুক ইলিমেন্টারি স্কুলের তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থী অমিয় সরকার। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়াম মনোয়ার মৃত্তিকা।তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে পরশমনি ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদ অর্ণব। নিজের ছোট্ট পরিচিতিও লিখে দিয়েছে সঙ্গে। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাওহীদা তাবাসসুম। নিজের ছোট্ট পরিচিতিও লিখে দিয়েছে সঙ্গে। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র মো. তাহমিদ ইসলাম। নিজের ছোট্ট পরিচিতিও লিখে দিয়েছে সঙ্গে। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী মুহাইমিন ইশমাম ও মুহতাসিম ইফতি। দুই ভাই নিজেদের পরিচিতি, শখ ও বড় হয়ে কী হতে চায় তাও জানিয়েছে। তোমরাও তোমাদের আঁকা ছবিগুলো আজই পাঠিয়ে দাও।
- আমি ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার মা সবসময় বলেন, ‘মানুষ শুধু বই পড়েই শেখে না, চোখে দেখেও অনেক কিছু শিখতে পারে।’