বেশ কয়েকবছর আগের কথা। মে মাসের শেষ। গ্রীষ্মের ছুটিতে গিয়েছিলাম জমালপুরে, আমার নানাবাড়ি। আমার খালাতো বোন জেবিন, শাওন আপু, স্বর্ণা আন্টি, তাকিয়া আন্টি, মেসবাহ মামাসহ আরও অনেকে এসেছিলো।
আমরা প্রায় সবাই সমবয়সী হওয়ায় সবসময় একসাথে থাকতাম। প্রতিদিনই বৃষ্টি হতো। সবাই মিলে বৃষ্টিতে ভিজতাম আমরা। কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দাড়িয়াবান্ধা, বৌচি খেলতাম খালাতো বোন আর আন্টিদের সাথে।
একদিন দুপুরের একটু পর আকাশে মেঘ ডাকতে লাগলো। তাওহীদ নামে আমার এক আন্টি বললেন, কালবৈশাখী ঝড় হবে। আমরাও জানতাম এরকম সময় এভাবে মেঘ ডাকার মানে কালবৈশাখী।
কিছুক্ষণ পর ঝড় শুরু হলো। অল্পসময় পরই ঝড়ের প্রকোপ কমে বৃষ্টি শুরু হলো। আমি, কুহু, জেবিন, সামিয়া, তাকিয়া আন্টি, স্বর্ণা আন্টি, মেসবাহ মামা, তাওহীদ আন্টি সবাই মিলে নেমে পড়লাম আম কুড়াতে। আশপাশে বেশকিছু বাড়িতে আমগাছ ছিলো। সেখান থেকে আম পড়ছিলো আর আমরা টপাটপ সেগুলো কুড়িয়ে নিলাম বৃষ্টির মাঝেই।
আম কুড়ানো শেষ করে বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে নিলাম সবাই। এরপর আমরা আমগুলোকে সুন্দর করে কেটে মরিচের গুঁড়ো আর লবণ দিয়ে খেলাম।
এরকম প্রায়ই বৃষ্টিতে ভিজতাম, আম কুড়াতাম। এখন আর সেভাবে নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়া হয় না। সবাই মিলে তাই আম কুড়ানোও হয় না।
কারিমা ফেরদৌসী কেকা: নবম শ্রেণি, নজরুল শিক্ষালয়, ঢাকা
কিডজ পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |