স্বপ্নে এমা

নরওয়ের এক গ্রামে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। অপূর্ব সুন্দর একটি মেয়েশিশু।

আরোহী পিয়াস বৈদ্যবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2022, 12:11 PM
Updated : 26 April 2022, 12:11 PM

সে দেখতে একেবারে স্বর্গদূতের মতো। ধীরে ধীরে সে বড় হতে থাকে। সবাই তাকে খুব ভালোবাসে। বাবা-মা মেয়েটির নাম রাখেন এমা।

এমা বড় হতে থাকলে একটি অদ্ভুত সমস্যা দেখা দেয়। ওর পেছনে একটি লেজ গজাতে শুরু করে। লেজ নিয়েই এমা বড় হতে থাকে।

এমা সেবার স্কুলে ভর্তি হয়। আর তখনই আসল সমস্যা শুরু হয়। স্কুলে অন্যান্য ছেলেমেয়েরা ওর দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়। কেউ কেউ ওকে নিয়ে ফিসফিস করে কথা বলে। ওর লেজের দিকে তাকিয়ে হাসি-তামাশা করতে থাকে। এক সময় অনেকেই ওর লেজ ধরে টান দিতে শুরু করলো। এসবে এমার খুব মন খারাপ হয়। তবু সে চুপচাপ থাকে।

একদিন এমা ওদের স্কুলের পাশের মাঠে খেলতে যায়। এমাকে দেখেই একদল ছেলেমেয়ে ওর দিকে ছুটে আসে। কেউ ওকে মিনি, কেউ পুষি, কেউ কাঠবিড়ালি বলে মজা করতে থাকে। এমার থেকে বয়সে বড় একটি ছেলে এসে বলে, ‘তোমার লেজটা নিয়ে একটু খেলতে চাই।’ তিন-চারটা মেয়ের একটি দল এসে বলে- ‘তোমার লেজটা ধরে একটা টান দিই?’

এমা এদের সবাইকে ওর বন্ধুই ভাবতো। অথচ তাদের অমন আচরণে সে খুব দুঃখ পায়। রাগও হয়। রাগে, দুঃখে এমা হুট করে কেঁদে ফেলে এবং দৌড়ে মাঠের পাশে বনে ঢুকে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে একটি গাছের নিচে এসে থামে।

হঠাৎ এমা শুনতে পায় কেউ বলছে, তুমি এখানে এসে কাঁদছ কেন?

এমা তাকিয়ে দেখে ওর সামনে দেবশিশুর মতো সুন্দর একটি ছেলে দাঁড়িয়ে। সে আবার বলে, কী হয়েছে তোমার?

এমা বলে, ওরা আমায় নিয়ে মজা করছে।

কারা? কেন? দেবশিশু জিজ্ঞেস করে।

ওই যে! আমার বন্ধুরা! আমার লেজ আছে তাই।

লেজ! কোথায়? আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

এমা ওর লেজ দেখাতে পেছনে তাকিয়ে দেখে সেখানে সত্যিই কিছু নেই! সে অবাক হয়ে যায়! দেবশিশু ওকে বাইরে আসতে বলে। এমা আনন্দ আর উত্তেজনায় মাম্মী... মাম্মী... বলে চিৎকার করে। দৌড়ে বাইরে আসতে থাকে।

অমনি এমার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে মা ওর সামনেই বসে আছে। এমা বুঝতে পারে এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিল।

লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, তৃতীয় শ্রেণি, মেনোরহেভেন এলিমেন্টারি স্কুল, নিউ ইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র

কিডজ পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!