কঠিন পথ পাড়ি দিলে দেখা মিলবে সোনাইছড়ি ঝর্ণা
আজহার মাহমুদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 11 Nov 2021 04:49 PM BdST Updated: 11 Nov 2021 04:49 PM BdST
-
বর্ষার সময় এ রাস্তাটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে, নিশ্চিত ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে ঝর্ণা দেখতে
-
দুই পাহাড়ার মাঝখানে এ সরুপথ দিয়ে যেতে হবে সোনাইছড়ি ঝর্ণা
-
এরকম বড় বড় পাথরের উপর হেঁটে যেতে হবে ঝর্ণার শেষ পর্যন্ত
-
ঝর্ণায় যাওয়ার পথে একটি গুহা আবিষ্কার করলাম আমি
-
বর্ষায় ঝর্ণার পানি থাকে প্রচুর, গ্রীষ্মে পানি খুব একটা দেখা যায় না
-
এ ধরনের পানিভর্তি খাদগুলো পার হতে হবে সাবধানতার সঙ্গে
যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তারা সবসময় অপেক্ষা করে ছুটির দিনের জন্য। ছুটির দিন মানে তাদের জন্য ভ্রমণের দিন। ঠিক তেমনি এক ছুটির দিনে সোনাইছড়ি ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম বন্ধুরা মিলে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাশেই সোনাইছড়ি ঝর্ণা। এ ভ্রমণে সঙ্গী হতে নোয়াখালী থেকে দুই বন্ধু এবং একজন বড় ভাই এসেছেন। আর চট্টগ্রামে আমরা তিন বন্ধু তো আছিই। মোট ৬ জনের এ গ্রুপটি সকাল আটটায় চট্টগ্রামের একেখান থেকে রওনা দিলাম হাদি ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে।
হাদি ফকিরহাট জায়গাটি মিরসরাইয়ের একটু আগে। আরও সহজ করে বলতে গেলে নিজামপুর কলেজের পাশে। চট্টগ্রাম নগরীর একেখান থেকে ঢাকা-কুমিল্লাগামী বাসে উঠে হাদি ফকিরহাট বললে নামিয়ে দেবে। জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে নেবে।

দুই পাহাড়ার মাঝখানে এ সরুপথ দিয়ে যেতে হবে সোনাইছড়ি ঝর্ণা
যেহেতু যাওয়ার সময় এনার্জি থাকে তাই হেঁটে যাওয়া যায়। মূলত ঝর্ণায় যাওয়ার পথ শুরু হবে ওই রাস্তার শেষ দিকে পাহাড়ে উঠার মাধ্যমে। পাহাড়ের কাছে যাওয়ার আগেই আছে স্থানীয় মানুষ। আছে ঘরবাড়ি। সেখানকার যুবক এবং বৃদ্ধ অনেকেই গাইড হয়ে পর্যটকদের সঙ্গে যায়। যেহেতু ঝর্ণাটি দেখতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় এবং পথগুলো আঁকাবাকা, তাই প্রথমবার গাইড নেওয়াটা উচিত। আমরাও গাইড নিলাম একজন। গাইড নেওয়ার পর আমরা জয়নাল মামার দোকানে অর্ডার করে নিলাম। জয়নাল মামার দোকানটি এখানে খুব জনপ্রিয়। যারাই সোনাইছড়ি ঝর্ণা দেখতে আসে এ দোকানে খাবার অর্ডার দিয়ে যায়। এখানে খাবার অর্ডার করে তারপর যেতে হয়। মূলত অর্ডার করার পর ওরা রান্না করে। মুরগি, আলু ভর্তা, আর ডাল এ তিন আইটেম দিয়ে আনলিমিটেড ভাত রয়েছে, ১৩০ টাকা করে জনপ্রতি।

এরকম বড় বড় পাথরের উপর হেঁটে যেতে হবে ঝর্ণার শেষ পর্যন্ত

ঝর্ণায় যাওয়ার পথে একটি গুহা আবিষ্কার করলাম আমি
এ কঠিন পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক সুন্দর স্থান যেমন দেখেছি তেমন ছবিও তুলেছি। স্মৃতি ধরে রাখতে কে না চায়! ঝর্ণার কাছে এসে দেখলাম এখানে প্রায় ৪০-৫০ জন পর্যটক গ্রুপে গ্রুপে এসেছে। ২০ জনের এক গ্রুপ নাকি এ গহীন পাহাড়ের খাদে ঝর্ণার পাশে রাত্রীযাপনও করেছেন।

বর্ষায় ঝর্ণার পানি থাকে প্রচুর, গ্রীষ্মে পানি খুব একটা দেখা যায় না
পুরো ভ্রমণের সার্থকতা খুঁজতে চাইলে প্রথমে বলতে হবে ট্রাকিংয়ের কথা। বড় বড় পাথর আর পাহাড়ের গহীনে যাওয়াটা সহজ বিষয় না। এছাড়া পরিবেশ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার স্বাদ তো পাবেনই। তবে ঝর্ণার কাছাকাছি চলে দূর হয়ে যাবে আপনার সব ক্লান্তি।
কীভাবে যাবেন?

এ ধরনের পানিভর্তি খাদগুলো পার হতে হবে সাবধানতার সঙ্গে
কোথায় থাকবেন?
এ ভ্রমণ একদিনের, তাই থাকার দরকার পড়বে না। তবু নিতান্ত রাতে থাকতে চাইলে সীতাকুণ্ডু বা মিরসরাইয়ে হোটেল পাবেন। ভালো হোটেলে থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম চলে যেতে হবে। এছাড়া অনেক অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় লোক সেখানে রাতে ক্যাম্প করে থাকেন।
খাবেন কোথায়?
সোনাইছড়ি ট্রাকিংয়ে যাওয়ার শুরুর পথে দেখা মিলবে জয়নাল মামার দোকান। ওই এলাকার পরিচিত এ দোকানে ঘরোয়া পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। ট্রাকিংয়ে যাওয়ার আগে অর্ডার দিয়ে গেলে ঘোরাঘুরি শেষ করে এলে খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া সীতাকুণ্ডু ও মিরসরাইয়ে ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |
সর্বাধিক পঠিত
- একটি অমর গানের গল্প
- এ পি জে আবদুল কালামের ৩০টি অমিয় বাণী
- জালাল উদ্দিন রুমির ৩০টি অমিয় পংক্তি
- চলে তো যেতেই হবে, ছাপ রেখে যাও
- কৌতূহলী শিশুর বিজ্ঞান পাঠ
- শরৎচন্দ্রের ছোটগল্প: জীবনের বৃহৎ ইঙ্গিত
- চারটি মজার গল্প
- শিশুর দেরিতে কথা বলা, কারণ ও করণীয়
- নজরুলের জীবনে মজার কিছু ঘটনা
- একটি ভূতের গল্প লেখার পরের ঘটনা