শিশুর দেরিতে কথা বলা, কারণ ও করণীয়

ভাষা হলো কীভাবে আমরা শব্দ বা ওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি, অন্যরা যা বলে তা বুঝে রেসপন্স করি। মুখের কথা ছাড়াও ইশারার মাধ্যমে আমরা অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

সূরাইয়া ইসলাম মুন্নিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 05:38 AM
Updated : 29 June 2021, 05:50 AM

শিশুরা ভাষার মাধ্যমে-

১. নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে পারে এবং অন্যদের অনুভূতি বুঝতে পারে

২. নিজের চাহিদা প্রকাশ করতে পারে।

৩. চিন্তা করতে পারে ও নতুন কিছু শিখতে পারে।

৪. বয়স অনুযায়ী সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং

৫. অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি ও তা বজায় রাখতে পারে।

ভাষার বিলম্বিত বিকাশে শিশু অন্য মানুষেরা কী বলছে তা বুঝতে পারে না বা নিজের চিন্তা ভাবনা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না। ভাষার বিলম্বিত বিকাশ বলতে বোঝায় সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কথা না বলা, আকার ইঙ্গিত ইশারা না বোঝা, গান বা ছড়া না গাওয়া বা না বলা এবং লিখতে না পারা।

আগেই বলে নিই আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে-

১. সব শিশুর বিকাশ এক রকম নয়।

২. শিশুর বিকাশ যদি বয়স অনুযায়ী না হয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে থাকে তা স্বাভাবিক নয়।

৩. স্পিচ ডেভেলপমেন্ট আর ল্যাংগুয়েজ ডেভেলপমেন্ট এক জিনিস নয়।

জন্ম থেকে তিন মাস বয়সি শিশুর ভাষার বিকাশ

জন্ম থেকে তিন মাস, এসময় শিশু আপনার কণ্ঠ বা শব্দ বা সাউন্ড শুনতে পারে। শিশুরা যেহেতু সবকিছু অনুকরণ করে তাই আপনার সন্তানও এ বয়সে আপনাকে অনুকরণ করে শব্দ করার চেষ্টা করবে। এ শব্দ করাকে বলা হয় ‘কু- coo’। শিশু এসময় মা বা তার যত্নকারীর কণ্ঠ চিনতে পারে। শিশু কথা শুনে পরিচিত মানুষদের দিকে তাকায়।

শিশু যেন আপনাকে অনুকরণ করার সুযোগ পায় এজন্য আপনাকে যা করতে হবে-

১. শিশুকে ছড়া বা সুর করে গান শোনানো।

২. আপনার শিশুর সঙ্গে কথা বলুন। শিশুর মুখ-চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। স্বরের উঠানামা বজায় রাখবেন৷ শিশু আপনার কথার মানে বুঝবে না, কিন্তু আপনার কণ্ঠ শিশুকে শান্ত রাখবে।

৩. শিশুর সামনে অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন। অন্যদের সঙ্গে কথা বলে যে যোগাযোগ করতে হয়, শিশু সময়ের সঙ্গে তা বোঝা শিখবে।

৪. শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি দিন।

৫. শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ কম থাকা ভালো৷ টিভি, মোবাইলের শব্দে শিশুর মনোযোগ ব্যহত হয়।

তিন থেকে ছয় মাস বয়সি শিশুর ভাষার বিকাশ

এসময় শিশু মূলত বুঝতে শিখে কীভাবে একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে৷

আপনি যা করতে পারেন:

১. শিশুকে যতটা সম্ভব নিজের কাছে রাখুন যেন শিশু আপনার চোখ দেখতে পারে।

২. আগের মতোই কথা বলুন ও হাসুন।

৩. এ বয়সের শিশুরা আ অ ও ই এই জাতীয় শব্দ করে। শিশুর শব্দকে আপনিও অনুকরণ করুন। এখানে শিশু যোগাযোগ শিখতে পারবে।

৪. আপনি যা বলেছেন শিশু তা অনুকরণ করা মাত্রই আপনি আবারও সঙ্গে সঙ্গে তা অনুকরণ করুন। সঙ্গে সঙ্গে না করলে শিশু বুঝবে না যে আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

ছয় থেকে নয় মাসের শিশুর ভাষার বিকাশ

শিশুরা ৬ থেকে ৯ মাস সময়ে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করবে। এ শব্দ করাটা শিশুর জন্য এক ধরনের খেলা। শিশু মুখ দিয়ে যে সব শব্দ করবে তা শুনতে অর্থবোধক শব্দের মতো হলেও এগুলোর কোন অর্থ নেই। যেমন- বা বা... দা... দা...। শিশু এসময় অন্যের কণ্ঠ থেকে অন্যের অনুভূতি বুঝতে শিখে, সেই অনুযায়ী আচরণ করে। যেমন- রাগী কণ্ঠে কথা বললে শিশু কান্না করে, আনন্দের স্বরে কথা বললে শিশু হাসি দেয়।

আপনি যা করতে পারেন-

১. শিশুর সঙ্গে পিকাবু খেলুন। শিশু শব্দ শুনে আপনাকে খুঁজবে, একই সঙ্গে নিজের হাতও নড়াচড়া করবে।

২. শিশুকে খেলনা দিয়ে, খেলনা সম্পর্কে কিছু বলুন। যেমন- বল, লাল বল।

৩. শিশুকে আয়নায় শিশুর চেহারা দেখান এবং প্রশ্ন করুন, কে? কে এটা? আবার একটু থেকে নিজেই উত্তর দিন, হুমায়রা, এটা হুমায়রা।

কেন থামবেন? শিশু নিজেকে দেখে কেমন রেসপন্স করে তা বোঝার জন্য। শিশুর নিজেকে চেনা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৪. শিশুকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকুন। প্রয়োজনে ইশারা করে দেখান (পয়েন্টিং)। ফুল কোথায়? থেমে- এই যে ফুল!

নয় থেকে বারো মাস বয়সি শিশুর ভাষার বিকাশ

শিশুকে কিছু বললে শিশু মুখের দিকে তাকিয়ে কথা শুনে৷ শিশু এসময় সহজ শব্দ বোঝা শুরু করবে। শিশু এসময় ‘না’ শব্দটি বোঝা শিখে৷ শিশুকে ‘না’ বললে অনেক সময় শিশু আর মুখের দিকে তাকায় না। শিশুকে যদি বলা হয়, ‘মা কোথায়?’ শিশু মায়ের দিকে তাকাবে বা মাকে খুঁজবে৷

শিশু ছোট ছোট ইন্সট্রাকশন বুঝবে এবং তা শুনে করবে। যেমন, ‘দাও’ বললে শিশুর কাছে যা চাওয়া হয়েছে শিশু তা দেবে৷ শিশু যখন কিছু চাইবে, শিশু পয়েন্ট করে আঙুল ইশারা করে দেখাবে। শিশু কী চাইছে বা পয়েন্ট করছে তা খেয়াল করুন ও সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করুন। শিশু এসময় ওয়েভিং বা টা টা দেওয়া শেখে। তাই ওয়েভ করার সময় বা হাত নাড়ানোর সময় বারবার টা টা বললে শিশু তা শিখে ফেলে৷ এ বয়সী শিশু কান্না না করে শব্দ করার মাধ্যমে কিছু চেয়ে থাকে। তাই শিশু কোন শব্দ করলে তার সঙ্গে শব্দ অনুকরণ করে বলুন।

বারো থেকে পনের মাসের শিশুর ভাষার বিকাশ

এ সময় মূলত শিশুরা শব্দ বা ওয়ার্ড বলা শুরু করে৷ এর পাশাপাশি শিশু যে সব জিনিসের নাম বলতে পারে না তার জন্য কোন একটি অর্থহীন শব্দ ব্যবহার করে থাকে। যেমন, অনেক শিশু কলাকে লালা বলে।

এ বয়সের শিশুরা সাধারণত ২/৩ টি শব্দ বলতে পারে। ২৫টি বা তার বেশি শব্দ বুঝতে পারে। শিশু ইন্সট্রাকশন ফলো করে। এর মানে হলো শিশুকে কিছু বললে শিশু তা বুঝে, করে থাকে। কথা না বলেও শিশু কমিউনিকেশন কর‍তে পারে। যেমন হাতের ইশারা করে কিছু চাওয়া, কোন জিনিসের দিকে তাকানোর মাধ্যমে তা চাওয়া বা ব্যাবেল করা।

আপনি শিশুর জন্য যা করতে পারেন-

১. শিশুর প্রতিদিনের যেসব জিনিস ব্যবহার তার নামগুলো শিশুকে বারবার বলতে থাকুন। যেমন কাপ, প্লেট, বাটি, চিরুনি ইত্যাদি। বলার পর শিশুকে সময় দিন যেন সে আপনাকে অনুকরণ করে।

২. শিশুকে বইয়ে ছবি দেখিয়ে জানতে চান কিসের ছবি৷ ছবির বই পাওয়া যায় যেখানে এক পেইজে একটি ছবি থাকে। শিশুকে উত্তর দেওয়ার জন্য অবশ্যই সময় দেবেন৷ তাড়াহুড়ো করবেন না।

৩. শিশু যখন কোন জিনিস দেখে জিনিসটির নাম বলতে পারবে তখন শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি দিন বা হাততালি দিন। পাশাপাশি জিনিসটি সম্পর্কে শিশুকে আরও কিছু বলুন, ‘বল। লাল বল। গোল বল। কি সুন্দর বল।’

৪. শিশু যে শব্দগুলো বেশি বলে তা নিয়ে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন। শিশুকে সময় দিন যেন সে তার কথা শেষ করতে পারে পুরোপুরি।

৫. শিশুর প্রতিদিনের কাজগুলো নিয়ে তাকে প্রশ্ন করুন৷ যে কোন কাজ করার সময়ও তাকে প্রশ্ন করতে থাকুন বা বিষয়টি নিয়ে বলতে থাকুন। যেমন ‘তুমি এখন ভাত খাবে না নুডলস খাবে?’, ‘আমরা খাওয়া শেষ করেছি এখন বসে থাকবো’।

৬. এ লেভেলের শেষের দিকে শিশুকে ‘প্রিটেন্ড প্লে’ এর সঙ্গে পরিচয় করান। এ বয়সের শিশুরা লাঠিকে তরবারি মনে করে খেলা করে বা হাতকে প্লেন বানিয়ে উড়িয়ে নেয়। আপনি খেলনা পুতুল দিয়ে শিশুর সঙ্গে খেলুন। শিশুকে বলুন পুতুলটিও আপনাদের সঙ্গে খেলবে এখন। শিশু তার খেলার সাথি মনে করে পুতুলের সঙ্গে খেলাধুলা করবে, কথা বলবে।

৭. শিশুকে এক শব্দে ইন্সট্রাকশন দিন। শিশু সহজে বুঝতে পারবে, বলতে পারবে।

পনের থেকে আঠারো মাসের শিশুর ভাষার বিকাশ

এ বয়সের শিশুরা ১০-২০টি শব্দ বলতে পারে। এ শব্দগুলোর বেশির ভাগই নাম। শিশু এসময় পুরোপুরি সঠিকভাবে শব্দ বলতে পারে। অনেক সময় ছোট ছোট দুটি শব্দ দিয়ে বাক্যের মতো শিশু কথা বলে। এসময় অনেক শিশুর মাঝে ইকোলেলিয়া দেখা যায়। এর মানে হলো শিশু যা শুনে তা বারবার অনুকরণ করে বলতে থাকে।

শিশু উপরে, নিচে, গরম, ঠান্ডা এগুলো বুঝতে পারে। এ বয়সী শিশুদের ২০-২৫% কথায় ঘরের বাইরের মানুষেরা বুঝতে পারে। এ বয়সের শিশুরা বেশ কিছু কঠিন (বয়স অনুযায়ী) আচরণ করা শিখে। যেমন আপনার সন্তান আপনাকে হাত ধরে তার খেলনার কাছে নিয়ে যাবে এবং খেলনার দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে আপনাকে বলবে, ‘পুতুল’। এর মানে হলো আমি পুতুল দিয়ে খেলবো। আমাকে পুতুলটি দাও।

আপনি যা করতে পারেন-

১. শিশুকে শরীরের অঙ্গগুলো শেখান। কীভাবে? শিশুকে বলুন, ‘তোমার নাক দেখাও।’ আপনার নাকের দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলুন ‘নাক’। এভাবে অনেকবার করলে শিশুও নিজের নাক ইশারা করা শিখবে। প্রয়োজনে আপনিও মাঝে মাঝে শিশুর নাকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলুন, ‘হুমায়রার নাক’। এভাবে শিশুকে অন্য অঙ্গগুলোও শেখান।

২. শিশুর সামনে খেলনা লুকিয়ে শিশুকে বলুন খুঁজে বের করতে। খুঁজে পেলে হাততালি দিন হাসিমুখে।

৩. আর আগের মতোই শিশু যখন কোন জিনিস দেখাবে শিশুর সঙ্গে ওই বিষয় নিয়ে কথা বলুন। ‘তুমি আমাকে গাড়ি দিয়েছো। ধন্যবাদ তোমাকে। কি সুন্দর লাল গাড়ি। আসো আমরা খেলি।’ শিশুও যদি কিছু বলে তা শুনুন। তাড়াহুড়ো করবেন না।

আঠারো থেকে চব্বিশ মাসের বা ২ বছরের শিশুর ভাষার বিকাশ

শিশুকে ইন্সট্রাকশন দিলে শিশু তা বুঝবে এবং কাজটি করার সময় কথা বলবে। যেমন, ‘গাড়ি দাও’। শিশু এ বয়সে নিজে থেকে প্রিটেন্ড প্লে বা অভিনয় করে খেলতে পারবে। এ খেলা শিশুকে নতুন শব্দ শিখতে সহযোগিতা করবে। শিশু পরিবারের অনেকের নাম বা সম্পর্কগুলোর নাম বলতে পারবে। শিশু ছোট ছোট গল্প, গান, ছড়া শুনতে পছন্দ করে। অনেক শিশুরা এ বয়সে বাইরের মানুষ দেখলে ‘সালাম’ বলতে পারে।

শিশু আনুমানিক ২০-৫০টি শব্দ বলে। শিশু ২ শব্দের প্রশ্ন করতে পারে। শিশু অনেক সময় ৩ শব্দের বাক্য বলতে পারে। শিশুর ৫০-৭০ ভাগ কথা বাইরের মানুষ বুঝতে পারে। শিশু ২ লাইনের (২ স্টেপ) ইন্সট্রাকশন বুঝতে পারে। শিশু ব্যথা পেলে তা মুখে বলতে পারে। শিশু শরীরের অঙ্গের নাম বললে ইশারা বা পয়েন্ট করে দেখাতে পারে।

আপনি যা করতে পারেন-

১. শিশুকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে বলুন। যেমন শিশুকে বলুন তার জুতো আনতে বা শিশুর বই আনতে।

২. শিশুকে সহজ ছড়া শেখানো শুরু করুন। যেমন আতা গাছে তোতা পাখি।

৩. শিশুকে গল্পের বই পড়ে শোনান। যেমন খরগোশ কচ্ছপের গল্প। যদি সম্ভব হয় পুতুল দিয়ে অভিনয় করে দেখান।

৪. শিশুর সঙ্গে গান করুন৷ যেমন আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরি...।

৫. শিশুকে বলুন কোন কিছু পয়েন্ট করে ওই জিনিসের নাম বলতে৷ বা ‘আমি যা দেখি তুমি কি তা দেখো’ খেলাটি খেলতে পারেন। এর মানে হলো শিশুকে বলুন আপনি একটি জিনিসের নাম বলবেন। শিশু তা আপনাকে হাতের আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখাবে ও তার নাম বলবে৷

৬. শিশুকে অন্য শিশুদের বা বড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিন৷ শিশুকে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবেন।

৭. প্রিটেন্ড প্লে বা অভিনয় খেলাতে শিশুকে ব্যস্ত রাখুন৷ যেমন পুতুলকে খাওয়ানো, টেলিফোনে কথা বলা, খেলনা পুতুলের জন্মদিন ইত্যাদি।

যা করবেন না

শিশুকে সমবয়সীদের সঙ্গে বেশি বেশি খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ শিশুর ভাষার বিকাশের সঙ্গে শিশুর সামাজিকতা, অন্যের অনুভুতি বোঝা ও তা অনুযায়ী আচরণ করা ইত্যাদি সম্পর্কিত। অনেক সময় আমরা ইংরেজি বা বিদেশি ভাষায় অনেক শব্দ শেখাই, তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা বা যে পরিবেশে আছি সেখানে বেশিরভাগ মানুষ স্থানীয় ভাষায় কথা বললে তা শিশুর জন্য বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে। শিশুকে তার নাম ধরে ডাকতে হবে আর বাবু, সোনা, চাদের কনা ডাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুর সঙ্গে স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলতে হবে, আধো-আধো ভাষায় কথা বলা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

শিশুর ভাষাগত বিকাশ বয়স অনুযায়ী না হলে কী করবেন?

শারীরিক সমস্যায় আমরা যেমন ডাক্তারের কাছে যাই ঠিক তেমনি ভাষার বিকাশগত সমস্যায় অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ মনোবিজ্ঞানীর (শিশু মনোবিজ্ঞানী বা শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী) সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা এসেসমেন্ট করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা ইন্টারভেনশন নিতে আপনাকে সহায়তা করবে। যদি শিশুর স্পিচ ডিলে হয় তাহলে আপনাকে যেতে হবে স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে। সবার জন্য শুভকামনা।

লেখক: অ্যাসিস্ট্যান্ট এডুকেশনাল সাইকোলজিস্ট, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!