যৌন নিপীড়ন রোধে প্রত্যেক শিশুর তার শারীরিক সুরক্ষাবিষয়ক কৌশল শেখা প্রয়োজন। অভিভাবকদের উচিত সন্তানের সঙ্গে গুড টাচ ব্যাড টাচ অর্থ্যাৎ নিরাপদ ও অনিরাপদ স্পর্শ নিয়ে কথা বলা।
Published : 02 Apr 2021, 01:07 PM
কিন্তু অনেক অভিভাবক বুঝতে পারেন না কীভাবে শুরু করবেন। তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে ‘তারা ও জয়: শারীরিক সুরক্ষা’ বইটি। বইটির লেখক ফারিন দৌলাহ, অলঙ্করণ করেছেন তাসনিয়া সাখাওয়াত অরণা।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে এ বইটি। এবারের বইমেলায় ‘ওয়ান সার্কেল’ এর সহযোগিতায় ‘সেই বই’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে এটি। প্রতিটি সংস্করণের মূল্য ১৭৫ টাকা। হার্ডকপি ছাড়াও বইটি ‘সেই বই’ এর ই-বুকে পাওয়া যাবে।
লেখক ফারিন দৌলাহ বইটি নিয়ে বলেন, “শিশুর সামাজিকীকরণ, মানবিকতা বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল স্পর্শ। কিন্তু এই স্পর্শই কখনো কখনো শিশুর জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ। খারাপ স্পর্শে শিশুকে দীর্ঘদিন অনিন্দ্রা আর দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শিশু বড় হওয়ার পর নিজেকে অপরাধী হিসেবে দেখতে শুরু করে, নিজের দোষ না থাকলেও যে কোনো ঘটনায় নিজেকে দায়ী ভাবতে শুরু করে।
“ছোটবেলায় এ ধরণের ঘটনার শিকার হওয়া শিশু বড় হলে যৌনভীতি, সম্পর্কভীতি, আত্মনিন্দা, দ্বৈত ব্যক্তিত্বসহ নানা ধরণের ডিসঅর্ডারেও ভুগে। এটা এত বেশি ট্রামাটিক যে অনেক সময় দেখা যায় যে স্থানে বা যে সময়ে ঘটনাটি ঘটে সে স্থান এবং সময়কে পর্যন্ত ভয় পেতে শুরু করে। এমনকি এ ভীতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াতে পারে।”
ফারিন দৌলাহ বলেন, “শিশুর বিকাশে এত বড় একটি ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে আমরা একদমই কোনো আলোচনা করি না, আলোচনা করতেও সংকোচবোধ করি। অথচ পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা দেখছি প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো স্থানে শিশু নির্যাতিত হচ্ছে। সরকারি পাঠ্যসূচিতে বয়ঃসন্ধি নিয়ে অল্পবিস্তর সিলেবাস থাকলেও শিশুর শারীরিক সুরক্ষা নিয়ে কোনো বই নেই, বেসরকারি উদ্যোগেও কোনো বই প্রকাশ হচ্ছে না।”
লেখক ফারিন দৌলা এডুকেশন প্লাটফর্ম ‘ওয়ান সার্কেল’ এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়া প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্টিনিউইং এডুকেশন বিভাগের অধীনে। তিনি একজন শংসাপত্রপ্রাপ্ত মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসাকর্মী।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |