মাকে আমার মনে পড়ে

বই: মাকে আমার পড়ে মনে, লেখক: মাসুম মাহমুদ, প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: শিল্পী মানব, প্রকাশক: পরিবার পাবলিকেশন্স, প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২১, মূল্য: ২০০ টাকা

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2021, 05:35 AM
Updated : 1 April 2021, 05:35 AM

‘লঞ্চের ভেতরে ছোট্ট রান্নাঘর। সেখান থেকে ফালি করে কাটা আলু দিয়ে বেলে মাছ রান্নার ঘ্রাণ এসে নাকে লাগছে। সেই ঘ্রাণ আম্মার কথা মনে করিয়ে দেয়।’

শৈশব-কৈশোরের নানা বাঁকে মায়ের সঙ্গে এমন নানা স্মৃতিকথা জাগানিয়া বই ‘মাকে আমার মনে পড়ে’। লেখক মাসুম মাহমুদ বইটি উৎসর্গও করেছেন ‘পৃথিবীর সব মাকে’।

মা শব্দটির যে কী আবেদন তা শুধু সন্তানই জানে। মা-ই সন্তানকে প্রথম পৃথিবীর আলো দেখান। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, জীবন-সংগ্রামে সন্তানের পাশে থাকেন; তাকে অনুপ্রেরণা জোগান। সেই মাকে নিয়ে ছবিগল্প সিরিজের এ বই।

বইয়ের ভেতর একটি অলঙ্করণ

মোট ১০টি পর্ব আছে বইটিতে, এগুলো হলো- ‘ভাবনা আমার ভেসে যায় গানে’, ‘ঝড় এসেছে, ওরে, এবার ঝড়কে পেলাম সাথি’, ‘অজ্ঞানে করো হে ক্ষমা’, ‘তোমারি তরে, মা’, ‘সুন্দর হে সুন্দর’, ‘তরুণ প্রাণে অরুণ আকাশ’, ‘বাছা, তুই যে আমার বুক চেরা ধন’, ‘নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল’,  ‘পোহালো পোহালো বিভাবরী’ এবং ‘রয়েছ নয়নে নয়নে’।

‘ভাবনা আমার ভসে যায় গানে’ পর্বে লেখক তার মাকে মনে করেন এভাবে- “আম্মা হাঁস-মুরগি পালতে ভালোবাসতেন। উঠোনের চারদিকে তার যত্নে বেড়ে উঠা গাছগুলোর মাঝখানে হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়। সেখানে ওদের ডাকে রোজ ঘুম ভাঙতো আমার। ব্যতিক্রম ঝড়-বৃষ্টির সকাল। সেদিন টিনের চালে বৃষ্টির শব্দে কিংবা বাতাসের ডাকে ঘুম ভাঙতো। উঠে তৈরি হয়ে মক্তবে চলে যেতাম। মক্তব থেকে ফিরে সকালের খাবার। তারপর আবার পড়তে বসা। ফের স্কুলে।

“একদিন সকালে আম্মা টিনের বাটি ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘যাও, হাঁসগুলার লাইগা নদীর পাড় থাইকা শামুক উঠাইয়া নিয়া আসো। বাড়ির কাছেই প্রিয় কালী নদী। দুই মিনিটের পথ। খালি বাটি মাথায় নিয়ে দৌড়। সেই দৌড় আম্মার কাছে যতটা শামুক আনার, তারচেয়ে বেশি মক্তব ফাঁকি দেওয়ার পাঁয়তারা। নদীতে পৌঁছে শুরুতেই কিছুক্ষণ ভেজা বালির উপর পায়ের গোড়ালি রেখে অপেক্ষা। ঢেউ এসে কি সুন্দর বালি কেটে কেটে গর্তে ঢুকিয়ে দিলো পা। আহ! কি অদ্ভুত সেই অনুভূতি।”

মায়ের যে রূপ তা সর্বজনীন। দেশ-কাল-শ্রেণির ঊর্ধ্বে। জগতজুড়ে যেন একই মা। ‘মাকে আমার মনে পড়ে’ বইটি শিশু-কিশোরদের আনন্দ দেবে আর বড়দেরও চোখে আনবে স্মৃতিমাখা জল।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!