ছাদে বসেছিলাম।
দেখলাম ছোট্ট একজন উড়ছেন।
পরির বাচ্চা নাকি?
হাত লম্বা করে আকাশ থেকে পেড়ে আনলাম বাচ্চাকে।
‘কে রে তুই?’
বাচ্চা হেসে দিলো, ‘হি-হি-হি!’
‘হাসির কী হলো? তুই কে?’
‘হি-হি-হি!’
‘আরে বোকা বাচ্চা! তুই কে? তোর নাম কী?’
‘হি-হি-হি!’
‘আবার হাসে! কী মুশকিল!’
‘হি! হি! হি! তুমি বোকা! আমার নাম হলো, হি-হি-হি!’
‘হি-হি-হি, আচ্ছা। হি-হি-হি। আচ্ছা, তুই কি পরির বাচ্চা নাকি রে?’
‘নাহ্। পরির বাচ্চা হতে যাবো কোন দুঃখে?’
‘ও বাবা! তবে কি তুই মানুষের বাচ্চা?’
‘নাহ্! মানুষের বাচ্চা হতে যাবো কোন দুঃখে?’
‘তবে? তবে? তবে? তুই কে? তুই কী? ভূত নাকি রে?’
‘কেন, তুমি কি ভূত ভয় পাও?’
‘ভূত ভয় পাবো! কে? আমি? হা হা হা! হাসালি বাচ্চা।’
‘আমি হি-হি-হি। হা-হা ভূত আর হো-হো পেত্নীর বাচ্চা।’
‘কী? কী-কী-কী?’
আমি কি অজ্ঞান হয়ে গেলাম নাকি?
জ্ঞান ফিরলে মনে হলো ঘুম থেকে উঠেছি। এদিকে দেখলাম, ওদিকে দেখলাম। উড়ন্ত বাচ্চাটাকে কোথাও দেখলাম না। যাক বাবা! নিজে ভূত হলেও আমি ভূত ভয় পাই। খুবই ভয় পাই। বিশেষ করে বাচ্চাগুলোকে। এরা যে কী!
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |