ঘুড়ি

রানাকুমার সিংহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2021, 05:59 AM
Updated : 6 Jan 2021, 06:10 AM

একতাই বল

নয় মারে এক ভীষণ ঘুষি

আটের গালে কষে

আট সারাক্ষণ ঘুষির কারণ

খুঁজছে মগজ চষে!

আট জিগালো— ঘুষির কারণ

বলল তখন নয়ে—

বড়োভাইয়ের ইচ্ছে এটা

থাক সিঁটিয়ে ভয়ে।

আটের তখন ইচ্ছে হলো

সাত খেলো এক ঘুষি

সাতের হাতে ছয় বাবাজি

দৌড়ে পালায় পুষি।

পরম্পরায় ঘুষির খেলা

এক অবধি চলে

একের হাতে মার খাবে ঠিক

শূন্য— সবাই বলে।

কিন্তু একি! এক বলে— আয়

শূন্য আমার ভায়া

বড়োভাইয়ের মার খাবি না

থাকব হয়ে ছায়া।

তখন থেকে শূন্য এবং

এক মিলে হয় দশে

নয় থেকে আট বিচ্ছুগুলো

থাকল ওদের বশে।

রহস্য এক ঘুড়ি

খোকা—

ভাবছে শুধু ভাবছে বসে

হচ্ছে কেবল বোকা

কোমল মনে জাগছে জানি

প্রশ্ন থোকা থোকা।

হচ্ছে কেবল বোকা!

ভাবে—

কেমন করে প্রশ্নগুলোর

সঠিক জবাব পাবে

জানতে জবাব মধুসূদন

স্যারের কাছে যাবে?

সঠিক জবাব পাবে!

ঘুড়ি—

পাখনাবিহীন রঙিন কাগজ

করছে ওড়াউড়ি

কেমন ম্যাজিক দেখায় ঘুড়ি

জানে চাঁদের বুড়ি?

মন্ত্র-ওড়াউড়ি!

তরতরিয়ে বাতাস বেয়ে

ঝকমকানো রৌদ্রে নেয়ে

আকাশজুড়ে ঘুড়ির খেলা

যায় দেখে তা খোকার বেলা

প্রশ্ন তাতেই জাগে—

কোন্ জাদুতে পাখনা ছাড়া

মাঝ আকাশে বাঁধনহারা

বাড়েই কেবল আগে!

হঠাৎ করেই ভোকাট্টা যে

সেই ঘুড়ি পায় কোন্ হাতটা যে

প্রশ্ন বাড়ে শুধু—

নীলরঙা যে ঘুড়ি হারায়

সেই ঘুড়িটা চোখের তারায়

মন কাঁদে তার ধূ-ধূ!

ঘুড়ি

একটা ঘুড়ি সাদা রঙের

আরেক ঘুড়ি নীল

শূন্যে ভেসে দুষ্টুমিতে

দুজনই কিলবিল।

সাদা ঘুড়ির সুতোয় দেখি

মান্জা দেয়া বেশ

নীলের সাথে লাগতে থাকে

ফুরোয় না তার রেশ।

যায় না তো কম নীল ঘুড়িও

জোরসে মারে টান

ওসব দেখে দূর থেকে গায়

একটা পাখি গান।

সেই পাখিটা শক্তিশালী

নাম জানো তার? চিল—

তার আঁচড়ে ভোকাট্টা হয়

ধপাস হাতিরঝিল।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!