১.
বইয়ের মাঝে অমূল্য ধন
সাগর নদীর মতন
ডুব দিয়ে তাই খুঁজে যে পাই
জহর-মানিক-রতন।
বইয়ের মাঝে বেঁচে থাকেন
কতোই জ্ঞানী গুণী
বইয়ের পাঠে জীবন গড়ি
কুড়াই আমি পুণ্যি।
দুঃখ যখন গিলে খায়
মনটা মরে পুড়ে
বইটি তখন আলো ঢেলে
আঁধার নেয় দূরে।
তাইতো আমি পোশাক ছেড়ে
বইটি কিনি আগে
বইয়ের আলো ঘরে এসে
নতুন সূর্যে জাগে।
২.
পাহাড়ের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেঘেরা কী বলে যায়
সেই কথাটি জানতে সাদাপাথরে মন যেতে চায়
পাথরের গা ভিজে ভিজে ঝরনা ছুটে কলকল সুরে
দু’পাহাড়ের মাঝখানে লাল সূর্যটা উঁকি দেয় যে দূরে।
জলের বুকেতে আয়নাটা কে যে বিছিয়ে দিলো
রূপে ঝলমল সেই অপরূপ মনটা যে কেড়ে নিলো।
পাথরে যে কথা বলে তুমি জানো কি তা?
জল পাথরে মিলেমিশে গড়ে মনোমিতা।
এই নিসর্গের নেই উপমা নেই যে কারো মিল
প্রকৃতির রূপ দেখে দেখে খুলে যায় মনের খিল।
এতো রূপের পসরা সাজিয়ে আমার এই শ্রীভূমি
দমে দমে তোমার রূপের তাই তো মাধুরী চুমি।
৩.
এই যে আমার উঠোন জুড়ে
মাধবীলতা দোলে
আবছা আলোর আঁধার নিয়ে
সন্ধ্যা যখন ঝুলে।
জবা টগর জুঁই চামেলির
কী যে রঙিন হাসি!
মন তখন হাওয়ায় ভাসে
পুলক রাশি রাশি।
রাত-বিরেতে হাস্নাহেনার
উদাস করা গন্ধে
মনটা তখন নেচে উঠে
ময়ূর নাচের ছন্দে।
জুঁই চামেলি কাঁঠালচাপার
মিষ্টি হাসি দেখে
সকালটা যে হচ্ছে রাঙা
ওদের রেণু মেখে।