জাপানের বিভিন্ন দ্বীপে গেলে চোখে পড়বে অসংখ্য বিড়াল। যার সংখ্যা সেখানকার জনসংখ্যার ৬ গুণ। ওশিকা উপদ্বীপের তীরবর্তী একটি ছোট দ্বীপ তাশিরোজিমা। দ্বীপটির আয়তন মাত্র দেড় বর্গকিলোমিটার। দ্বীপটির সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে অসংখ্য বিড়াল।
আর এ কারণেই ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে বেশ জমে উঠেছে দ্বীপটি। প্রতিদিন একটি ট্রলার দু’বার আসা যাওয়া করে ভ্রমণ পিপাসুদের পারাপারের জন্য।
কী করে এলো এত বিড়াল? এর পেছনের রহস্যই বা কী? রহস্যটি হলো- এ দ্বীপে টেক্সটাইলের জন্য এক ধরণের শূককীট উৎপাদন করা হতো। কিন্তু ইঁদুরের যন্ত্রণায় এ কাজ বেশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। আবার জেলেদের জালগুলোও প্রায় প্রতিদিন কেটে দিচ্ছিল বিচ্ছু ইঁদুরের দল।
দিন দিন দ্বীপটিতে একদিকে সাধারণ লোকসংখ্যা কমতে থাকে, আর অন্যদিকে বিড়ালদের বংশবিস্তার ঘটতে থাকে। আর এভাবেই দ্বীপে মানুষের চাইতে বিড়ালের সংখ্যা বেশি হয়ে পড়ে।
বিড়ালের প্রতি জাপানের অধিবাসীদের অন্য ধরণের স্নেহ-মমতা কাজ করে। বিড়ালকে তারা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে থাকে। জাপানের অনেক দোকানের সামনে আঙুল নাড়ানো পুতুল রাখে, কারণ তারা মনে করে বিড়ালের হাতের থাবা দোকানে ক্রেতা আনতে সাহায্য করবে। এখানকার অধিবাসীদের ধারণা, বিড়াল লালন-পালন করলে সৌভাগ্য ও সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
তাশিরোজিমা দ্বীপের বিড়ালদের বিশেষ এক কারণে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। আর তা হল ২০১১ সালের সুনামি। সুনামিতে দ্বীপটির বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি। ফলে স্থানীয়দের অন্ধ বিশ্বাস, এখানকার বিড়ালগুলোর জন্যই এমনটা হয়েছে।
২০১৩ সালে বিড়াল দ্বীপের ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিভিন্ন পর্যটকদের নজর কাড়ে এই দ্বীপটি। তাশিরোজিমা ছাড়াও জাপানের আরেকটি বেশ জনপ্রিয় বিড়াল দ্বীপ রয়েছে, যেটি আওশিমা নামে পরিচিত। জাপানি ভাষায় এসব দ্বীপকে বলা হয় ‘নেকোজিমা’ অর্থাৎ বিড়ালের দ্বীপ।
লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, চতুর্থ শ্রেণি, পরশমনি ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |