বকের হয়েছে ছানা, বিড়াল জানে না তা না

বিড়ালটি এতদিনে জেনে গেছে, কানিবগী বাঁশবাগানে ডিম পেড়েছে। বাঁশবাগানে কে এলো আর কে গেল তার খবর রাখে সে। কে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটাল সেই খবরও আছে ওর কাছে।

বিএম বরকতউল্লাহ্বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2020, 03:53 AM
Updated : 5 August 2020, 03:53 AM

সন্ধ্যা হলেই পাখিরা ফিরে আসে বাঁশবাগানে। পাখির কিচিরমিচিরে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। তখন বিড়াল ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাঁশবাগানের পাখি দেখে।

পাখিরা বাসা বাঁধে বেশ উপরে। তাই বিড়াল সহজে কোনো পাখি শিকার করতে পারে না। তবে পাখিরা যখন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে তখন একটা সুযোগ পেয়ে যায় বিড়াল। দুটি পাখি ঝগড়া করতে করতে পাক খেয়ে মাটিতে এসে পড়ে। ওমনি বিড়াল খপ করে ধরে নিয়ে চলে যায়।

মাঝে মধ্যে বিড়াল বাঁশবাগানে এসে ঘোরাঘুরি করে। আর বলে, পাখিরা তোমরা ঝগড়াঝাটি করা একেবারে ভুলে গেলে নাকি! আজকাল তোমাদের মাটির কাছাকাছি আসতে দেখি না। এমন সময় বিড়াল বকের ছানার কান্নার শব্দ শুনতে পেল! বিড়ালের জিভে এসে গেল পানি।

বিড়াল বকের বাসার দিকে তাকিয়ে বলল, বক ভায়া, তোমাদের ছানারা কেমন আছে? কোনো সমস্যা থাকলে বলো, দেখি কোনো উপকার করতে পারি কিনা।

বক নিচের দিকে তাকিয়ে বিড়ালকে বলল, আমাদের ছানা দুটো বেশ ভাল আছে। তবে ওরা ভারি দুষ্টু। ওরা ঝগড়া করে আবার কান্নাকাটিও করে।

দারুণ। ছোটবেলায় আমরাও অনেক ঝগড়া আর মারামারি করেছি। এতে কোনো ক্ষতি নেই বরং লাভ আছে। এই ধরো, শরীর হবে শক্ত। আর মনে পাবে বল। তুমি ওদের ছুড়ে ফেলে দিয়ে দেখতে পারো, ওরা মাটিতে পড়েও ব্যথা পাবে না। ব্যাপারটা কত মজার আর গৌরবের, বুঝতে পেরেছ? বলল বিড়াল।

খুব বুঝেছি। যত্ত সব চালাকি! বলল বগী।

দুই.

দুদিন পর বিড়াল এসে বগীকে বলল, তোমার আদরের ছানারা দেখতে কেমন হয়েছে, একটু দেখি। বগী বলল, ওরা খুবই ছোট। এখন দেখাদেখির কী বোঝে ওরা, আরেকটু বড় হোক। 

বিড়াল পরদিন এসে বলল, তোমার ছানাদের আমার হাতে একটু দাও আদর করে দিই, ওরা বেজায় খুশি হবে। বগী বলল, ওরা যা দুষ্টু-রে বাবা। ওরা লাফিয়ে পড়ে যাবে আর ওদের হাত-পাগুলো ভাঙবে!

বিড়াল কোনো উপায় করতে না পেরে শেষে বলল, তাহলে ছানাদের উপরে তুলে ধরো। ওরা দেখুক সবুজ বন। আর আমিও দেখি ওদের। বগী বলল, ওরে বাপরে! ওদের উপরে তুলে ধরা কি চাট্টিখানি কথা!

কেন, কয় রতি ওজন ওদের? বলল বিড়াল।

বগী বলল, কয় রতি মানে! ওজন ওদের কয়েক টন!

বগীর কথা শুনে বিড়াল হাসতে হাসতে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে গেল।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!