শালিক ছানার বায়না
আজকে হঠাৎ শালিক ছানার
মন হয়েছে ভারি
মা যে তাকে আদর করে
কিনে দেয়নি শাড়ি!
মায়ের কাছে বায়না ধরে
খুকির মতো করে
আমায় তুমি সাজিয়ে দাও
বেনারসি দিয়ে!
খুকির মতো কনে সেজে
থাকব আমি বসে
রাজপুত্র এক নিয়ে যাবে
সঙ্গে তার-ই দেশে!
মা বলে হেসে বোকা মেয়ে
লক্ষ্মী শালিক ছানা
খুকীর মতো শাড়ি পরতে
তোমার হলো মানা।
স্বর্ণালী সেই স্মৃতি
বাজার থেকে ছাগল ছানা
এনে দিলেন বাবা
আমি তারে আদর করে
খাওয়াই শস্য দানা।
দিনে দিনে বড় হলো
তিড়িং বিড়িং করে
আমায় দেখলে নাচে শুধু
পা দু'খানি তুলে।
স্কুল থেকে বাড়ি এলে
ছুটে আসে কাছে
মাথাটা তার এগিয়ে দেয়
আমার কোলে মিশে।
মাথায় একটু আদর করলে
গালে দেয় সে চুমু
মনটা যেন হারিয়ে যায়
হৃদয় করে মুমু!
সারাটা দিন ছাগল ছানার
সাথে করি খেলা
একদিন তাকে ছাড়তে হবে
ছিল না যে জানা।
হঠাৎ করে বাবা তাকে
নিয়ে গেল হাটে
ব্যা ব্যা করে আমার ছাগল
গেল হাটের মাঠে।
কসাই তাকে কিনে নিল
দিলো জবাই করে
এখনো সে কষ্ট আমার
হৃদয়ে বাস করে।
এখন আমি অনেক বড়
অনেক খেলার সাথি
তবু খুঁজি ছোট্ট বেলার
স্বর্ণালী সেই স্মৃতি।
গড়বে আমাদের দেশটা
আজকে যারা ছোট্ট শিশু
কাল যে বড় হবে
শাসন করবে বিশ্ব ধারা
অবাক চেয়ে রবে।
দিনে দিনে শিক্ষা পেয়ে
সামনে যাবে সবে
একতা ও ভালবাসায়
মাথা তুলে রবে।
একসাথে পথ চলতে চলতে
কতকিছু শিখে
একদিন তারা বিশ্ব গড়বে
সবাই থাকবে সাথে।
জাতি ভেদাভেদ সব ভুলে
গড়বে আবার দেশটা
দেশের জন্য ভাববে শুধু
মজবুত হবে ভিতটা।
খেলার স্বামী
ছোট্ট বেলায় যখন আমি
খেলতাম পুতুল খেলা
কতশত সঙ্গী সাথী
জুটত সারাবেলা।
দিনে দিনে বড় হলাম
অনেক বড় আমি
এখন ভেবে হেসে লুটাই
খেলার হয়ে স্বামী!
কত জনের স্বামী হলাম
বড় আপুরা বউ
সত্যি যদি বিয়ে করতাম
মানতেন এটা কি কেউ?
মুখে দিত কালি মেখে
এঁকে দিত দাড়ি
খেলার ছলে কিনে দিতাম
বউকে পাটের শাড়ি।
আরও কতো মজার খেলা
খেলতাম রোজ রোজ
বর্তমানে এমন খেলার
কেউ কি রাখতে চায় খোঁজ?
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |