মজার এ খেলাটা দেখানোর সময় অন্যকে এভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারো। তার আগে চিত্রটা খুব ভালো করে মনোযোগ সহকারে খেয়াল করে দেখো। তারপর জেনে নাও এ খেলার নিয়ম কৌশলের বর্ণনা।
খেলতে হলে কী লাগে?
খেলাটা দেখাতে লাগবে একটা শক্ত ইনডেক্স কার্ড বা বোর্ড কার্ড, দুই টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন আর লাগবে সাধারণ পানি পানের জন্য ব্যবহৃত পানিসহ একটা গ্লাস। ব্যস। সবই যদি হাতের কাছে জোগাড় থেকে থাকে, তাহলে আর দেরি কেন? এক্ষুণি লেগে যাও খেলার সঙ্গে।
কেমন করে খেলতে হবে?
মসৃণ কার্ড বা ইনডেক্স কার্ড নাও। এবার একটা কয়েন গ্লাসের উপর রাখ। মসৃণ এ ইনডেক্স কার্ডের উপরের একদম মাঝখানে রাখতে হবে। যে কোন ধাতব কয়েন (দুই টাকার বা পাঁচ টাকার) কয়েন হলেই চলবে। এবার কয়েনসহ কাগজটা উঠিয়ে নিয়ে বসাও একদম গ্লাসের মুখের উপর।
ব্যস। তোমার নিশানা ঠিক থাকলে দেখবে কয়েনটা সরাসরি গ্লাসের মধ্যে টুপ করে পড়ে যাবে। এবার তোমার বন্ধুকে বলো সে এরকম পারবে কিনা? না পারলে জেদ ধরিয়ে দাও। তারপর দেখো জেদের বশে কী কাণ্ড ঘটিয়ে দেয়! বন্ধুটা একবার পারবে তো পরের দুবার উত্তেজনার কারণে নিশানা ভুল করবে। পারবে না। তুমি কী এরকম করে বারবার কয়েনটা গ্লাসের মধ্যে ফেলতে পারবে? অন্তত পারাটা কারও পক্ষেই অসম্ভব কিছু নয়। সেজন্য থাকতে হয় মনোযোগ আর কৌশলী অনুশীলন, অভিজ্ঞতা।
কেমন করে এমন হয়?
কারণটা অতি সহজ। এর কারণ হচ্ছে গ্লাসের উপর রাখা কার্ডে আরোপিত তোমার তর্জনী আঙ্গুলের শক্তি কার্ডের মধ্য দিয়ে স্থানান্তরিত হয়ে বাইরে বের হয়ে গেছে। এসময় একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করেছো? এই খেলায় গ্লাসের উপর রাখা মোটা কার্ড বোর্ডের মাঝখানের কয়েনটা; কিন্তু একই জায়গায় স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার কারণে তা গ্লাসের মধ্যে পড়ে গেছে।
মানে এই খেলায় কয়েনটা যেখানে থাকার কথা সেখানেই থাকে। শুধু কাগজটা সরে যায়। আর তাই কয়েনটাও পানিতে পড়ে যায়। কথাটা অন্যভাবেও বলা যায়, যখন এই কাগজ গতিবেগ পেয়ে সরে যায় তখন কয়েনটাও তার গতিবেগ পেয়ে নিজের অবস্থানে চলে আসে অর্থাৎ গ্লাসের মধ্যে পড়ে যায়।
লেখক পরিচিতি: শিশু-কিশোরদের মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার কাজে নিবেদিত শেখ আনোয়ার। শিশুদের জন্য বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করছেন প্রায় দেড় যুগ। পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি পুরস্কার, প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬৪।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |