সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি
একটি শিশু আপন মনে গাছের ডালে বসে
কী হবে সে মনে মনে দেখছে হিসাব কষে।
পেয়ে গেছি! হবোই আমি সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি
ঘুড়ি হয়ে হাত-পা মেলে যাচ্ছে শিশু উড়ি।
এলে বেলে বন পেরিয়ে সাগর দিল পাড়ি
ধীরে ধীরে হারিয়ে গেল চেনা ঘর ও বাড়ি।
হঠাৎ হাওয়ার গতি পেয়ে ছুটল উপর দিকে
কালো মেঘের বাধাগুলো সরিয়ে দিল কিকে।
জোছনা ঢেলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ
উঠল জেগে ঘুড়ির মনে চাঁদে যাওয়ার সাধ।
সুতোবিহীন মুক্ত ঘুড়ি ছুটল চাঁদের দেশে
হাত বাড়িয়ে টেনে নিল চাঁদের বুড়ি এসে।
ঘুরে ঘুরে চাঁদের দেশে ফিরে এলো বাড়ি
উঠল জেগে শিশুর মনে হবে মটর গাড়ি!
ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে এই শহরের দালান কোঠা পেরিয়ে
পাখা মেলে শহর ছেড়ে যাই কোথাও বেরিয়ে।
ওই দেখা যায় পাহাড় নদী মেঘ ও প্রজাপতি
হাত বাড়ালে তোমার এমন কী আর হবে ক্ষতি?
তিন তলাতে বারান্দাটার গ্রিল ফেলেছি খুলে
হাত বাড়ালো বনের পাখি, পড়েছি হাতে ঝুলে।
গেলাম আমি সবুজ বনে সামনে বিশাল পাহাড়
ফুল-পাখিদের সঙ্গে ঘুরে দেখছি রূপের বাহার।
খোলা হাওয়া ঢেউয়ের মতো যাচ্ছে হেলেদুলে
হঠাৎ আমার শরীরখানি উঠছে হাওয়ায় ফুলে।
বন পেরিয়ে পাহাড় ছেড়ে বাতাস ঠেলে উড়ি
সাগর নদীর ঢেউ ডিঙিয়ে আকাশ ছুঁয়ে ঘুরি।
মেঘ ভেসে যায় মেঘে চড়ে গেলাম বহু পথ
বেরিয়ে এলো চাঁদে যাওয়ার দ্রুতগামী রথ।
যাচ্ছি আমি চাঁদের দেশে যাচ্ছি প্রবল বেগে
আমায় দেখে মেঘের বুড়ি উঠল এখন জেগে।
চাঁদের বুড়ি আমায় পেয়ে দিল সোহাগ আদর
বসতে দিল নিজের হাতে ঝলমলে এক চাদর।
বুড়ির সাথে চাঁদের বুকে দেখছি পাহাড় মাটি
উড়ে বেড়াই লাফিয়ে চলি পাথর কুড়াই, হাঁটি।
এমনি করে ঘুরেফিরে এলাম মায়ের কোলে
বারান্দাতে গ্রিলটা দেখি তখনও ছিল ঝুলে।
পুতুলের জ্বর
মাগা তুমি জলদি ঘরে আসো
দেখো আমার পুতুল কেমন করে
ধরে দেখো যাচ্ছে পুড়ে গা
পুতুল আমার ভুগছে কঠিন জ্বরে।
দেখো দেখো চোখের কোণায় কালচে মতো দাগ
আদর দিতেই বলল পুতুল সামনে থেকে ভাগ!
ভাইয়া তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাও
সঙ্গে করে নিয়ে আসো ডাক্তার যাকে পাও
মাগো তুমি বালতি ভরে ট্যাপের পানি আনো
কষ্ট কি যে পাচ্ছে পুতুল তোমরা কি তা জানো?
এই যে এলেন ডাক্তার মশাই বসলো পুতুল পাশে
থার্মোমিটার দেখেই পুতুল খিলখিলিয়ে হাসে।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |