শিশুদের আঁকা ছবিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, পর্ব ২

বন্ধুরা, স্কুল তো ছুটি। এই অবসরে ঘরে বসে তোমরা নিশ্চয়ই নানা সৃজনশীল কাজ করছো। তোমাদের আঁকা তেমনই কিছু ছবি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, পর্ব ২’।

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2020, 07:36 AM
Updated : 16 April 2020, 08:37 AM
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে সক্রিয় যে যে পেশার মানুষ তাদের ছবি এঁকেছে ফাইরুজ তাসনিম। পুলিশ, নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক ও সাংবাদিক। ফাইরুজের বয়স ৫, পড়ে কেজিতে।
লক ডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমিকের কাজ নেই, রিকশাচালকের যাত্রী নেই। এদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। এঁকেছে ফাইরুজ তাসনিম, বয়স ৫, শ্রেণি কেজি
এ ছবির শিরোনাম ‘স্টে অ্যাট হোম’। অবশ্য ঘরে থাকলে মাস্ক পড়ার দরকার নেই, তবু সতর্কতা বোঝাতে মাস্ক এঁকে দিয়েছে ফাইরুজ তাসনিম। ফাইরুজের বয়স ৫, পড়ে কেজিতে।
করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলে যেতে পারে না বলে প্রায়ই মন খারাপ থাকে বৃন্তার, খেলতে পারে না বন্ধুদের সঙ্গে। তাই তো সে স্কুল যাওয়ার ছবি আঁকে। বৃন্তার বয়স ৯।
লক ডাউনে রাস্তায় কোন মানুষজন নেই। ঘরবাড়িগুলো নীরব নিস্তব্ধ। তবে সুরক্ষা সরঞ্জাম পরে একাকী বিশেষ কোন কাজে বের হয়েছে আরীব নেওয়াজ। ছবির শিরোনাম দিয়েছে ‘লক ডাউন’। আরীবের বয়স ৮, পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।
করোনাভাইরাস দেখতে আসলে কেমন তা জানতে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই, কিন্তু খালি চোখে তো আর দেখা যায় না! তাই তো তোমাদের বোঝাতে করোনাভাইরাসের ছবিই এঁকেছে জুনাইরাহ, তার বয়স সাড়ে ছয় বছর।
টেলিভিশনে সংবাদপাঠিকা বলছে, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বারবার হাত ধুতে হবে। তাই শুনে সচেতন হয়েছে রেহান। এঁকে পাঠিয়েছে সে ছবিও। রেহানের বয়স প্রায় ৫ বছর, পড়ে নার্সারিতে।
স্পেসশিপ দিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসছে করোনাভাইরাসের দল। কিন্তু রাহা তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ছবিতে সে বোতলটাই নিচ্ছে সে। এখন ভাইরাস দূর করবে সে। রাহার বয়স ৬, পড়ে প্রি কেজিতে।  
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো ক্ষার বেশি আছে এমন সাবান, এছাড়া হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করা যায়। তাসনিফ আবরার এ ব্যাপারটাই ছবি এঁকে বুঝিয়েছে। তাসনিফের বয়স নয়, পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে।
এসময়ে কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সবাই এক রকম হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। মা-বাবা খাচ্ছে আর প্রাপ্তি ও তার ভাই হাত ধুচ্ছে। প্রাপ্তি পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।
ছবিটা যত সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ নয়। একটু খেয়াল করলে দেখবে করোনাভাইরাসের সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না এ সম্পর্কে একটা সচিত্র ধারণা দিয়েছে রিয়াসাত। ছবিটা যতবার দেখবে ততবার নতুন কিছু পাবে। রিয়াসাতের বয়স ৬।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে পড়েছে প্রতিদিনের বাজার। বাজারে গেলেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। এঁকেছে ফাইরুজ তাসনিম বয়স ৫।

আগের পর্ব

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!