আদিবাসী লোকগল্প নিয়ে বই ‘চন্দন পাহাড়ে’

কার্মু আর ধার্মু। যমজ দুই ভাই। কার্মু বড়। ধার্মু ছোট। একবার তাদের পরিবারে নেমে আসে চরম দারিদ্র। ফলে পথে নামে কার্মু ও ধার্মু। ভিক্ষা করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার।

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2020, 06:27 AM
Updated : 23 Feb 2020, 06:27 AM

একদিন স্বর্গ থেকে নেমে আসে এক বৃদ্ধ। তার চুল দাড়ি সব ধবধবে সাদা। মুখের চামড়াও ভাঁজখাওয়া। বৃদ্ধ বললেন, ‘জালাপুরী দ্বীপের চন্দন পাহাড়ের জঙ্গলে পাবে ভাগ্য দেবতাকে। তাঁকে খুঁজে আনতে পারলেই ফিরবে তোমাদের ভাগ্য।’

সেই থেকেই শুরু দুই ভাইয়ের যাত্রা। কেমন করে তারা ফিরিয়ে আনলো ভাগ্য দেবতাকে? সে কাহিনি নিয়েই সালেক খোকন লিখেছেন ‘চন্দন পাহাড়ে’ বইটি।

মূলত সাঁওতাল সমাজে প্রচলিত একটি মিথকে গল্পরূপ দেওয়া হয়েছে এখানে। শিশুরা আনন্দ নিয়ে জানবে আদিবাসী গল্প, যা তাদের মনোজগতকে আন্দোলিত করবে।

বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে শিল্পী শামীম আহমেদের আঁকা মজার মজার অলংকরণ। বইয়ের প্রচ্ছদটিও তারই আঁকা।

শিশুদের জন্য ‘চন্দন পাহাড়ে’ বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘ইকরিমিকরি’। অমর একুশে বইমেলায় শিশু চত্বরে বইটি পাওয়া যাবে ‘ইকরিমিকরি’র ৭৭৫-৭৭৬ নম্বর স্টলে। এছাড়াও সারা বছরই ‘ইকরিমিকরি’র ০১৬১৭০৭২৩৭৩ নম্বরে ফোন করলেই বই পৌঁছে যাবে বাড়িতে।

লেখক পরিচিতি: লেখক ও গবেষক সালেক খোকন দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন আদিবাসী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় নিয়ে। তাঁর লেখা ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ বইটি ২০১৫ সালে ‘কালি ও কলম’ পুরস্কার পায়। প্রকাশিত বই ২২টি। উল্লেখযোগ্য বই- ১৯৭১: রক্ত, মাটি ও বীরের গদ্য, দেশে বেড়াই, বিদ্রোহ-সংগ্রামে আদিবাসী, ১৯৭১: যাঁদের ত্যাগে এলো স্বাধীনতা, আদিবাসী বিয়েকথা, ১৯৭১: রক্তমাখা যুদ্ধকথা, আদিবাসী জীবনগাথা, ১৯৭১: যাঁদের রক্তে সিক্ত এই মাটি, কালপ্রবাহে আদিবাসী, রক্তে রাঙা একাত্তর।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!