চার্লি চ্যাপলিনের জীবন বদলে দেওয়া কিছু কথা
মাজহার সরকার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 25 Dec 2019 02:30 PM BdST Updated: 25 Dec 2019 02:30 PM BdST
পুরো দুনিয়া তাকে চেনে ‘চার্লি চ্যাপলিন’ নামে, পুরো নাম স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র। জন্ম ১৬ এপ্রিল ১৮৮৯, মৃত্যু ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৭।
চ্যাপলিন একজন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা। চ্যাপলিনকে চলচ্চিত্রের পর্দায় শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতাদের একজন বলে মনে করা হয়। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- মেকিং অব লিভিং (১৯১৪), দ্য ট্রাম্প (১৯১৪), কিড অটো রেসেস অ্যাট ভেনিস (১৯১৫), অ্যা ডগস লাইফ (১৯১৭), শোল্ডার আর্মস (১৯১৮), দ্য কিড (১৯২১), দ্য সার্কাস (১৯২৬), সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০), দ্য গোল্ড রাশ (১৯৪২), লাইম লাইট (১৯৫২) এবং অ্যা কিং অব নিউ ইয়র্ক (১৯৫৭) ইত্যাদি।
চার্লি চ্যাপলিনের নিজস্ব ওয়াবসাইটে রয়েছে তাকে নিয়ে নানা তথ্য, সাক্ষাতকার ও জীবনী। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে বলা তার কিছু উক্তি এখানে অনুবাদ করে দেওয়া হলো-
১. প্রতিটা শিশুর মধ্যে প্রতিভা আছে, কিন্তু তার ভেতর থেকে সেটা বের করে আনতে জানতে হয়।
২. জীবন অনেক সুন্দর, যদি তুমি ভয় না পাও।
৩. আয়না হচ্ছে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, কারণ যখন আমি কাঁদি সে তখন হাসে না।
৪. নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলে তুমি কখনো রংধনু খুঁজে পাবে না।
৫. হাসি হলো ওষুধ, যা দুঃখ থেকে মুক্তি দেয়।
৬. হাসি ছাড়া একটি দিন মানে সেই দিনটা নষ্ট।
৭. আমার জীবনে অনেক সমস্যা। কিন্তু আমার ঠোঁট তা জানে না বলে সব সময় হাসতে থাকে।
৮. এই পৃথিবীতে কিছুই স্থায়ী নয়, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না।
৯. আমি বৃষ্টিতে হাঁটি যাতে কেউ আমার অশ্রু দেখতে না পায়।
১০. আমার দুঃখ-কষ্টগুলো কাউকে কাউকে হাসাতে পারে, কিন্তু আমার হাসি যেন কখনই কাউকে দুঃখ না দেয়।
১১. কাছ থেকে দেখলে জীবন হচ্ছে ট্র্যাজিডি, কিন্তু দূর থেকে দেখলে সেটা কমেডি।
১২. আমরা প্রত্যেকেই একে অন্যকে সাহায্য করতে চাই। মানুষ এমনই, আমরা বেঁচে থাকি অন্যদের আনন্দ দিয়ে, দুঃখ দিয়ে নয়।
১৩. মন খুলে হাসতে চাইলে নিজের দুঃখ-যন্ত্রণাগুলোর সঙ্গে খেলতে শেখো।
১৪. ভালোবাসা দাও, ভালোবাসা ছড়াও।
১৫. জীবন অনেক সুন্দর, এমনকি একটা জেলি ফিশের কাছেও।
১৬. সরলতাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
১৭. তুমি কিসের অর্থ খোঁজো? জীবন হলো একটা আকাঙ্ক্ষা, কোনো অর্থ নয়।
১৮. যেদিন আমি ভালো কোনো কাজ করি সেটাই আমার সবচেয়ে সুখের দিন।
১৯. কৌতুক করা অনেক সিরিয়াস একটা ব্যাপার।
২০. আমি কোনো কিছুতেই বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করি না।
২১. আমি হলাম পুরনো আগাছার মতো। আমাকে যতোই কাটবে, ততই আমি বেড়ে উঠবো।
২২. জ্ঞানী হই বা বোকা, আমাদের প্রত্যেককেই জীবনের সঙ্গে লড়তে হয়।
২৩. আমি যদি কথা বলতাম তাহলে আমি অন্য কৌতুকাভিনেতাদের মতো হয়ে যেতাম।
২৪. সব সত্যের মধ্যেই মিথ্যার একটা বীজ রয়েছে।
২৫. বাস্তবতা দিয়ে চলচ্চিত্র হয় না, চলচ্চিত্র তৈরি হয় কল্পনা দিয়ে।
২৬. আমি রক্ত ঘৃণা করি, অথচ এটা আমার শিরার ভেতরই আছে।
২৭. ধনী হয়ে যাওয়া লোকটাও দারিদ্রতার সময়গুলো নিয়ে স্মৃতিকাতর থাকে, কারণ তখন তার জীবনে স্বাধীনতা ছিলো।
২৮. দিনশেষে সবকিছুই ঠাট্টা।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |
সর্বাধিক পঠিত
- তোমার নামের অর্থ কী?
- পিঁপড়া ও ডায়নোসরের গল্প
- জালাল উদ্দিন রুমির ৩০টি অমিয় পংক্তি
- এ পি জে আবদুল কালামের ৩০টি অমিয় বাণী
- চারটি মজার গল্প
- পথশিশুদের নিয়ে অভিনব ‘পথের ইশকুল’
- উড়ুক্কু সাপ ও পিরামিড রহস্য: শেষ কিস্তি
- অংক, সংখ্যা আর গণিতের খেলা
- একটি ভূতের গল্প লেখার পরের ঘটনা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলা জন্ম তারিখ কি আমরা জানি!