নাচের ইঁদুর

বনে ছিল এক নাচের ইঁদুর। সে আপন মনে নাচছিল।

বিএম বরকতউল্লাহ্বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 09:06 AM
Updated : 10 Dec 2019, 09:06 AM

এক বিড়াল তার নাচ দেখে বলল, এত সুন্দর নাচ আমি জীবনেও দেখিনি। তোমার নাচের তারিফ না করে পারছি না আমি।

ইঁদুর নাচ থামিয়ে দিয়ে বলল, আজকে আমার প্রস্তুতি ছিল না। এতেই তুমি এত্ত খুশি, যখন প্রস্তুতি নিয়ে নাচবো, তখন!

বিড়াল বলল, এর চেয়েও সুন্দর নাচতে পারো তুমি! তোমার ওই নাচ না দেখা পর্যন্ত আমি মুখে খাবার তুলছি না, হু। 

বিড়ালের প্রশংসায় ইঁদুর খুব খুশি হলো। সে আনন্দে নেচে-গেয়ে চলে গেল বাড়ি।

পরের দিন বিড়াল ইঁদুরের বাড়ির সামনে গিয়ে বসে আছে। হঠাৎ একটা ইঁদুর চিৎকার করে বলল, ওই দেখ একটা বিড়াল। সাবধান হয়ে যাও সবাই!

নাচের ইঁদুরটি বলল, আমি ওকে চিনি। ও অতোটা ভয়ংকর নয় যতোটা তোমরা মনে করছ। ও আমার নাচের ভক্ত, খুব প্রশংসা করে আমার।

বিড়াল বলল, আমি তোমার নাচ দেখতে চলে এসেছি।

অন্য ইঁদুরেরা সতর্ক হয়ে বলল, বিড়াল আমাদের বড় শত্রু, ওর সাথে আবার কিসের কথা? চল পালাই।

চোখের পলকে চলে গেল সবাই। শুধু ওই ইঁদুরটাই রয়ে গেল যার নাচ দেখে বিড়াল খুব প্রশংসা করছে।

বিড়াল বলল, জীবনে এমন গুণী বন্ধু পাওয়া মানেই তো অনেক কিছু পাওয়া।

বিড়ালের প্রশংসায় ইঁদুর নাচ শুরু করে দিল। বিড়াল লেজ নেড়ে, শিস দিয়ে ইঁদুরকে উৎসাহ দিচ্ছে। ইঁদুর নাচতে নাচতে ক্লান্ত হয়ে গেল।

বিড়াল বলল, থেমো না বন্ধু, আমাকে উপভোগ করতে দাও।

নাচতে নাচতে ক্লান্ত ইঁদুর পড়ে গেল বিড়ালের সামনে। বিড়ালটি গায়ের লোম ফুলিয়ে ইঁদুরকে ঠেসে ধরে বলল, ক্ষুধার পেটে নাচ আর ভালো লাগে না। তোমার নাচকে আমি খুব পছন্দ করি। তবে আফসোস, আমি এখন একটা ইঁদুরের সাথে তার নাচটাও খেয়ে ফেলবো। একথা বলে বিড়াল গপাস গপ করে ইঁদুরটাকে গিলে ফেলল।

বিড়ালের পেটে যাওয়ার আগে ইঁদুর বলে গেল, আমি তোমার পেটে গিয়েও নাচব, মনে রেখো। ইঁদুরটি বিড়ালের পেটে তিড়িং বিড়িং নাচ শুরু করে দিল।

ভয়ানক বিপদে পড়ে গেল বিড়াল। সে ইঁদুরের বাড়ি গিয়ে বলল, আমি নাচের ইঁদুরটাকে আদর করে আমার পেটের ভেতরে তুলে রেখেছিলাম। তার নাকি আর ভাল লাগছে না। বন্ধুরা, তোমরা ওকে পেট থেকে বের করে আনার ব্যবস্থা করো।

একটা ইঁদুর তেড়ে এসে বলল, নাচের ইঁদুরের মতো বোকা আমরা নই। তুমি একটা বজ্জাত। আর চালাকি না করে এখান থেকে ভালয় ভালয় চলে যাও তুমি।

বিড়াল মন খারাপ করে চলে গেল।

এই লেখকের আরও লেখা

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!