শিশুরা জানে না মানচিত্রের বিভাজন রীতি। জানে না রাজার যুদ্ধ কিংবা দখলের নীতি। তবু মানচিত্রের বিভাজন রেখার ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে শিশুর প্রাণহীন দেহ। তাদের জ্বলজ্বল জীবন্ত চোখ ধূসর হয়ে উঠতে থাকে অনিশ্চিত উদ্বাস্তু জীবনের বেষ্টনীর ভেতর।
সে উপলব্ধি করে ক্যাম্পের ভেতর মেডিক্যাল ক্লিনিক আছে, মানুষের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু পাখিদের সেবা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফয়সালের মা-বোন পাখিটির ডানায় ব্যান্ডেজ করে দেয়। এর মধ্যে ফয়সালও হাতে আঘাত পায়। পাখি এবং ফয়সাল দুজনেরই হাত একইসঙ্গে সেরে উঠতে থাকে। দুজনের বন্ধুত্বও হয়।
গল্পটি একজন রোহিঙ্গা শিশু আর একটি আহত পাখিকে নিয়ে হলেও এর পাশাপাশি উঠে এসেছে রোহিঙ্গাদের দেশান্তরিত হওয়ার পেছনের কথা, শরণার্থী ক্যাম্পের জীবন, আর জীবন-সংগ্রামের খণ্ড খণ্ড চিত্র।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও যুক্ত হয়েছে আর সেটি হলো শরণার্থী ক্যাম্পের জায়গা বের করার জন্য বনের গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বাস্তু হচ্ছে বন্য পশুপাখিও।
সে জানতে চাইবে মানুষ কেন উদ্বাস্তু হয়, মানুষ কেন শরণার্থী হয়, মানুষ কেন জীবন বিপণ্ণ করে অথৈ সাগর পাড়ি দিয়ে দেশান্তরি হয়, মানুষ কেন ক্ষুধার্ত মুখে রিলিফের তেল-চাল নিতে দাঁড়িয়ে থাকে, কেন উদ্বাস্তু হতে হয় বন্যপ্রাণীকেও। মানবের মানবেতর জীবন হয়ত তাকে তাড়িত করবে মানবিক মানুষ হতে!
লেখক পরিচিতি: রায়া রহমান গুবা পাবলিশিং এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। পড়াশোনা করেছেন ওয়াটারল্যু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |