স্কন্ধকাটা ভূতের নাতি
শাঁকচুন্নি শাঁকচুন্নি
যাচ্ছো তুমি কই?
তুমি নাকি আস্তো গেলো
জ্যান্ত পুঁটি কৈ?
পেত্নীশড়া গাছে তোমার
রাতনিশিতে বাস
জ্যান্ত লোকের মুণ্ডু চাবাও
মিটিয়ে মনের আশ।
নদীরপাড়ে শ্মশানঘাটে
উৎপেতে রোজ থাকো?
রাতনিশিতে নানান স্বরে
যাকে তাকে ডাকো!
যক্ষ ভূতের রক্ষে করো
হাজার সোনার ডিম
তোমার কথা শুনলে খোকার
গা হয়ে যায় হিম!
ভাবছি দিনে কোথায় থাকো?
নাই হয়ে যাও কিসে?
রাত গভীরে বেরিয়ে পড়ো
কেমনে হাওয়ায় মিশে?
স্কন্ধকাটা ভূতের নাতি
মামদো ভূতের মেয়ে
একশ কলস রক্ত নাকি
একবারে যাও পিয়ে?
রাক্ষস তোমায় চাচা হয়
খোক্ষক তোমার মামা?
রোজ নাকি খাও মৃতলোকের
মাংস ধামা ধামা?
রোজ শুনে যাই তোমার তরে
হাজার হাজার গল্প
কাব্যছলে আজকে তোমায়
লিখেই দিলাম অল্প।
পড়বে যতো খোকন সোনা
ভয়ে হবে হিম
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখবে
হাজার ভূতের ডিম।
ভুতু তুতু ভূতের ছানা
আয়রে ভুতু আয়রে তুতু
গেলি তোরা কই?
রাক্ষসের মা আজ ভেজেছে
মুণ্ডু দিয়ে খৈ।
আঙুল দিয়ে ফিসফিঙার
নুডুলস হলো ভুঁড়ি
ভূতশিশুরা খাচ্ছে মজায়
বাজিয়ে হাতে তুড়ি।
পায়ের পাতার গ্রিল করেছে
বাহু দিয়ে কাবাব
রাক্ষসরাজ চেখে বলে
নাই যে স্বাদের জবাব।
কলজে দিয়ে কালোভূনা
মগজ দিয়ে সর্ষে
ভূতেরা সব গোগ্রাসেতে
গিলছে মনের হর্ষে।
ভুতু তুতু ভূতের ছানা
আয়রে তোরা আয়
কুড়মুড়ে সব মুণ্ডুমোয়া
আর যে বেশি নাই।
খোকন সোনার ভূত ভাবনা
হাওয়ায় ভাসে ভূতেরা সব
উড়ে উড়ে চলে
হাজার রকম স্বরে তারা
নিত্য কথা বলে।
অন্ধকারে পথিক যখন
একলা চলে পথে
ভূতেরা সব পথ আগলায়
বায়ুচলা রথে।
একশপাটি দাঁত কেলিয়ে
হাহাহিহি হাসে
এদিক ওদিক সর্বদিকে
শূন্যে শূন্যে ভাসে।
মার আঁচলে মুখ লুকিয়ে
খোকন সোনা ভাবে
ইচ্ছেমতো উড়ুক গে ভূত
আমায় কি আর পাবে?
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |