এই যুগে কজন শিশুই আর নিউজ পেপার পড়ে? অথচ এসেছে পরীক্ষা দিতে! ‘ন্যাশনাল নিউজ পেপার অলিম্পিয়াড’ এর আমিও একজন প্রতিযোগী। বাবা রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি হলো গ্রুপ-এ। আমি একজন ক্ষুদে অলিম্পিয়াড। ৫০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা দিলাম। সাধারণজ্ঞান ভিত্তিক।
মোটামুটি পরীক্ষা হলো। ওয়ার্কশপ হলো। আমার সঙ্গে এসেছেন বাবা-মা আর ছোট বোন অতশী। ফলাফল পরে জানানো হবে। তাই অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকলাম। অবশ্য পেয়ে গেলাম একটি পার্টিসিপ্যান্ট সার্টিফিকেট। আমার জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট।
বাবা আমাকে অনেক উৎসাহ দেন। সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে আমাকে প্রায় তিনশটি এমসিকিউ বাবা লিখে দিলেন। পড়াশোনা শুরু করলাম। ২০ সেপ্টেম্বর সারা বাংলাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ের আড়াইশ বিজয়ী নিয়ে জাতীয় রাউন্ডের পরীক্ষা দিলাম এবং বিজয়ী হলাম। সেদিনের সেই মুহূর্তটি ভোলার নয়।
আমি একজন ক্ষুদে অলিম্পিয়াড হয়ে জাতীয় পুরস্কার পেলাম। আমাকে পুরস্কার দিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালাক আনজির লিটন স্যার। তিনি নিজ হাতে আমার সার্টিফিকেটে নাম লিখে দিলেন।
লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, তৃতীয় শ্রেণি, পরশমনি ল্যাবরেটরি স্কুল, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকা
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |