শিশু একাডেমিতে ‘ইভ্যালি কিডস টাইম মেলা’

শিশুদের সৃজনশীলতা, ভবিষ্যৎ দক্ষতা ও উন্নয়ন সচেতন করতে শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই দিনব্যাপি ‘ইভ্যালি কিডস টাইম মেলা’।

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2019, 10:02 AM
Updated : 27 Oct 2019, 10:03 AM

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘কিডস টাইম’ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্র ও শনিবার এ মেলায় শিশুরা নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করেছে ক্র্যাফট, ডিজাইন, পাপেট তৈরি ও ছবি আঁকার মাধ্যমে। পুরো মেলাটি স্পন্সর করেছে ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি লিমিটেড’।

মেলার আয়োজন নিয়ে ‘কিডস টাইমের’ মূল প্রতিষ্ঠান লাইট অব হোপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়া বলেন, “ইভ্যালি কিডস মেলা দেখিয়েছে যখন কোনো শিশুকে তার উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া হয় তখন তার ভেতরের সত্যিকারের সৃজনশীলতা বের হয়ে আসে। শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতার বীজ রোপিত আছে এবং প্রতিটি শিশুর ক্ষমতা আছে বড় কিছু করার, তার বড় একটি নিদর্শন হয়ে থাকবে এই মেলা।”
মেলার মূল আকর্ষণ ছিল শিশুদের জন্য তৈরি করা দুটো ‘একটিভিটি জোন’। ৩-৬ বছরের শিশুদের জন্য একটি আর সাত বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ছিলো আরেকটি জোন। প্রতিটি জোনে শিশুদের বয়স উপযোগী বিভিন্ন একটিভিটি ছিলো। শিশুরা নিজের ইচ্ছামতো যা ভালো লেগেছে সেটাই করতে পেরেছে।

মেলার স্থানে স্থানে ছিল শিশুদের জন্য বিভিন্ন গেম, ছিল ডিজাইন করার জায়গা, শিশুরা বড় হয়ে কী হতে চায় সেটা তারা লিখেছে ‘ইচ্ছেঘরে’। এছাড়া মূল মঞ্চে শিশুদের আনন্দের জন্য ছিল পাপেটের সঙ্গে আনন্দনৃত্য, ম্যাজিক শো, পাপেট শো। শিশুরা নিজেদের ইচ্ছা মতো বানিয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্রাফট। দিন শেষে বাসায় ফেরার সময় সেই ক্রাফটগুলো সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ারও ছিলো স্বাধীনতা।

অভিভাবকদের পাশাপাশি ঢাকার কয়েকটি স্কুল তাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে অংশ নিয়েছে ‘ইভ্যালি-কিডস টাইম মেলায়’। মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতে যোগ দিয়েছিলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ছিল গুফি, বাবুল্যান্ড, ইয়োডা, ইকরিমিকরি, ময়ুরপঙ্খি, স্টাইলাইন, ডক্টরোলা এবং ব্যাটারি লো।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি কেউ যদি তাৎক্ষণিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার জন্য ছিলো ‘ফার্স্ট এইড জোন’।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!