টিনকুনের গল্প

ঘরের কোণে উঁচুতে বাসা বেঁধেছে এক বোলতা। বোলতার ছোট এক ছেলে। তার নাম টিনকুন।

মঈনুল আহসান সাবেরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2019, 04:04 AM
Updated : 8 Oct 2019, 04:29 AM

টিনকুন আর একটু বড় হলেই বোলতা মা অন্য জায়গায় উড়ে চলে যাবে। টিনকুন জন্মাবে বলেই এই বাসা বেঁধেছে সে। ঘরে ভেতর নিচ দিকে একটা দোলনা ঝোলানো। দোলনার মধ্যে ছোট্ট এক মানুষের বাচ্চা। টিনকুনের চেয়ে বয়সে বড়। কিন্তু এখনো এই এতটুকুন।

তবে কি সন্দুর চেহারা মানুষের বাচ্চাটার। বড় বড় চোখ, রেশমের মতো চুল, ছোট্ট নাক আর গায়ের রং কি সুন্দর লালচে। বোলতা মা আর টিনকুন তাদের বাসার দরজায় বসেই ছোট্ট বাচ্চাটিকে দেখতে পায়।

টিনকুন বলে, ‘কি সুন্দর বাচ্চা, হাসলে কি সুন্দর লাগে, তাই না মা?’ মা বোলতা মাথা নাড়ে, ছেলেকে খুশি করার জন্য বলে, ‘হ্যাঁ বাবা, খুব সুন্দর ছেলেটা, ঠিক তোমার মতো সুন্দর।’ টিনকুন মাথা নেড়ে বলে, ‘না মা, ও আমার চেয়েও সুন্দর।’

টিনকুনের মা যখন মুখে করে অল্প অল্প মাটি এনে অনেক দিন ধরে খেটে খেটে তার ছোট বাড়িটা শেষ করেছে তখনো মানুষের বাচ্চাটা হয়নি। ঘরের লোকজনের কথাবার্তা শুনে বোলতা মা বুঝতে পারতো। মানুষদের তো আবার হাসপাতাল আছে। একদিন বোলতা মা দেখলো সবাই লালবউকে নিয়ে যাচ্ছে। তখনই সে বুঝলো লালবউকে হাসপাতালেই নিয়ে যাচ্ছে।

এর কদিন পরেই বাড়ির সবাই গিয়ে লালবউকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল। লালবউয়ের সঙ্গে ছোট্ট এক বাচ্চা। সবাই মিলে বাচ্চাটাকে সে কি আদর। দোলনা টাঙিয়ে দিল দিন কয়েক পর। বাচ্চাটা দোলনার ভেতর শুয়ে দুলতে দুলতে ঘুমাতো। বোলতা মা’র ভারি ভালো লাগতো দেখে, এর কদিন পরই তো টিনকুন জন্ম নিল।

একদিনের মধ্যেই টিনকুন কথা বলতে শিখলো আর দিন দুই পরেই বেশ উড়তেও শিখলো। মানুষের বাচ্চারা অবশ্য এত তাড়াতাড়ি এসব পারে না। দোলনায় শুয়ে শুয়ে শুধু ঘুমোয়। হাত-পা ছোড়ে, কাঁদে, হাসে।

এদিকে হঠাৎই একদিন বোলতার ঘরটা নজরে পড়ে গেল বাড়ির লোকজনের। তারা তখনই ঠিক করলো ঘরটা ভেঙে দিতে হবে। বোলতাকে নাকি বিশ্বাস নেই। যখন-তখন নাকি এই ছোট বাচ্চাকেও কামড়ে দিতে পারে। সে কথা শুনে বোলতা মা এত কষ্ট পেয়েছিল। শোন কথা, এমন লাল টুকটুকে মিষ্টি বাচ্চাটাকে কেউ নাকি কামড়াতে পারে! মানুষদের বুদ্ধি দেখ!

টিনকুন তখন পাশেই ছিল, জিজ্ঞেস করেছিল, ‘মা ওরা কী বলছে?’ মা কি আর বলবে, বলে ‘ওরা বলছে আমাদের ঘর ভেঙে দেবে।’ শুনে টিনকুনও খুব অবাক হয়ে যায়। ‘কেন মা’? মা একটু হেসে বলে, ‘ওরা ভাবছে আমরা ওদের বাচ্চাকে কামড়ে দেবো।’ একথা শুনে টিনকুন তো হেসেই খুন, ‘ধ্যাৎ তাই কি হয় নাকি! আমরা কেন ওকে কামড়াবো। ওতো আমার বন্ধু, তাই না মা?’

বোলতা মা এ প্রশ্নের উত্তরে মাথা দোলানো ছাড়া আর কিছু বলতে পালো না। প্রথম দিন টিনকুনকে অবশ্য সে-ই বলেছিল, ‘এই যে বাবা টিনকুন ওই দেখ তোমার মানুষ বন্ধু দোলনায় শুয়ে আছে।’ কোনো কিছু না ভেবেই বোলতা মা একথা বলেছিল। এখন খুব খারাপ লাগছে তার। এখন কি করে সে টিনকুনকে বোঝাবে মানুষ আর বোলতার বাচ্চার মধ্যে কখনো বন্ধুত্ব হয় না। মানুষেরা এই বন্ধুত্ব কখনো ভালো চোখে দেখবে না। বোলতা মা মাথা নেড়ে একটু হাসলো বললো, ‘হ্যাঁ টিনকুন, ও তোমার বন্ধু বৈকি, কিন্তু কক্ষনো ওর কাছে যাবে না, এখান থেকেই দেখবে, কেমন?’

কিন্তু টিনকুনের মন কি তা মানে ? ওর ভারি ইচ্ছে করে মানুষের বাচ্চাটার সঙ্গে গিয়ে একটু খেলবে। সে তো খুব সুন্দর গান গাইতে পারে। সে গান শুনে তার বন্ধু নিশ্চয় খুব খুশি হবে। কিন্তু মা যে একটা কি! শুধু বলেন, ‘এখানে বসে বসে দেখ।’ এত দুর থেকে কি দেখা যায় ভালো করে ? নাকি মন খুলে গল্প করা যায়? কাছে গেলে কি এমন হবে!

টিনকুন একটু ফাঁক পেলেই তাই বলে, ‘মা, যাইনা একবার, কি আর হবে বলো?’ বোলতা মা তখন মাথা নাড়ে, ‘নারে বাবা, দরকার নেই। মানুষগুলো মাঝে মাঝে খুব দুষ্টু হয়। তোর কাছে যাওয়ার একটুও দরকার নেই।’ টিনকুন হাসে, ‘কি যে বল তুমি মা, ওই যে দোলনায় শুয়ে আছে বাচ্চাটা, ওকি দুষ্টু নাকি ?’ মা বলে, ‘না বাবা, ও এখনো দুষ্টু হওয়ার মতো বড় হয়নি। বুদ্ধি হলে তবে তো দুষ্ট হবে।’ ‘তবে ওর কাছে যাই মা’, টিনকুন আবদার করে। মা রাজি হয না, ‘না টিনকুন বরেছি তো। লক্ষ্মী ছেলের মতো তুমি কথা শোন। বোলতা হয়ে মানুষের কাছে যেতে নেই বাবা। মানুষেরা খামোখাই ভয় পায়। শুনে খুব খারাপ রাগে টিনকনের, জিজ্ঞেস করে, ‘কেন মা?’ মা বলে ‘বড় হয়ে নাও, তখন তুমি নিজেই বুঝবে।’

মন খারাপ হযে যায় টিনকুনের। কবে যে ও বড় হবে আর এসব বুঝবে। ‘আচ্ছা বড় হলে কি মানুষের বাচ্চার সঙ্গে ওর ভাব হবে’, টিনকুন ভাবে। ভাবতে ভাবতে ও ঠিক করে ‘বড় হয়ে মানুষের বাচ্চার সব ভুল সে ভেঙ্গে দেবে।’

পরদিন দুপুরবেলা মা খেয়ে-দেয়ে চোখ বুঁজে একটু বিশ্রাম নিচ্ছে। টিনকুন চারপাশে একবার তাকিয়ে সোজা উড়ে যায় দোলনার পাশে। গিয়ে দোলনার এক কোণে বসে। জিজ্ঞেস করে ‘এই যে মানুষের বাচ্চা, আছো কেমন?’ বাচ্চাটার পাশেই একটা ঝুনঝুনি। দোলনার দোলের সঙ্গে সঙ্গে ওটার আওয়াজ হচ্ছে। ঝুনঝুন ঝুনঝুন। টিনকুন বলে ‘বাহ্ ভারি সুন্দর আওয়াজ করতে পারতো তুমি। আমিও পারি, শুনবে?’ বলে সে বাচ্চার কানের পাশে কতক্ষণ ভোঁ ভোঁ আওয়াজ করে ওড়ে ফিরে এসে দোলনায় বসে বলে ‘কেমন, বললাম না আমিও পারি।’

বাচ্চাটার ঝুনঝুনির আওয়াজ হয়েই যাচ্ছে। টিনকুন বলে, ‘রাখো বাপু অত বেশি বেশি আওয়াজ ভালো লাগে না। তার চেয়ে বরং গল্পটল্প করি আসো। তুমি কোন ধাঁধাঁ জানো ?’ বাচ্চাটাকে খিলখিল করে হাসতে দেখে টিনকুনের ভারি রাগ হয়, ‘অত হাসির কি হলো? ভাবছো বুঝি আমি ধাঁধাঁ টাধা পারি না। হুম, জিজ্ঞেস করছি একটা। উত্তর দিতে না পারলে বুঝবো তোমার মাথায় কিচ্ছু নেই। বলতো দেখি...’।

টিনকুন খুব ভেবে চিন্তে শুক্ত একটা ধাঁধাঁ জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে ‘টিনকুন’ বলে এমন গম্ভীর ডাক ভেসে আসে যে তার জান উড়ে যায়। সে পেছন ফিরে দেখে তার মা খুব রাগ রাগ মুখে তাদের ঘরের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে। টিনকুন একটু লজ্জা পেয়েই মানুষের বাচ্চাকে বলে, ‘এই যা মার ঘুম ভেঙে গেছে। এখন যাই। পরে সময় করে আবার আসবো।’ বলে সে উড়ে যায়।

বোলতা মার তখনো খুব রাগ। মা খুব গম্ভীর গলায় বলে, ‘টিনকুন তোমাকে আমি কি বলেছিলাম?’ টিনকুন জানে মা তাকে কখনো মারবে না। তবু ভয়ে ভয়ে নরম গলায় বলে, ‘কই মা, কিছুইতো হলো না। আমি গিয়ে ওর সঙ্গে গল্প করলাম।’ মা তখনো রেগে আছে, ‘উহুঁ আর কখনো যাবে না তুমি। আমি যা বলেছি তাই শুনবে। আমি তো তোমার ভালোর জন্যই তাই শুনবে। আমি তো তোমার ভালোর জন্যই বলি বাবা।’

টিনকুন আর কি বলে, সে মাথা দোলায়। ‘আচ্ছা মা, আমি আর কখনো যাবো না।’ বোলতা মা’র খুব খারাপ লাগে টিনকুনের মুখ দেখে। বেচারা একদম একা একা থাকে। তাই একটু হৈচৈ করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না বাড়ির লোকজন দেখলেই যে তেড়ে মারতে আসবে। সারাদিন ঘরের দরজায় বসে থাকতে টিনকুনের সত্যিই খুব খারাপ লাগে। সকাল হলেই তার মা বেরিয়ে যায় খাবার জোগাড় করতে। টিনকুন তখন একদম একা থাকে। তখন টিনকুনের খুব ইচ্ছে করে মানুষের বাচ্চাটার সাথে গিয়ে একটু গল্প করতে।

কিন্ত মা যে বারবার বারণ করে দিযেছে। মা’র কথা না শোনার মতো খারাপ কাজ সে তো আর করতে পারে না। সে ঘরের দরোজায় বসে দেখে বাচ্চাটা হাত পা ছুঁড়ছে ঝুনঝুনি বাজাচ্ছে, চুষিকাঠি খাচ্ছে। টিনকুন একবার বেশ জোর গলায় বলে, ‘শুনছো, কেমন আছো?’ কিন্তু অনেকদূরে কিনা, বাচ্চাটা তাই কিছুই শুনতে পায় না।

সারাদিন টিনকুন গোমড়া মুখে বসে থাকে। আগের মতো আর হাসে না, মার কাছে গল্প শোনার আবদার করে না। বোলতা মারও খুব খারাপ লাগে, কিন্তু কিছু তো কারার নেই। মা শুধু টিনকুনকে সান্তুনা দেয়। কিন্তু তাই কি টিনকুন শোনে। মা বলে ‘আমরা এখানে আর কদিন থাকবো বাবা। তুই একটু বড় হলেই তো আমরা অন্য কোথাও চলে যাবো।’ টিনকুন ঘাড় বাঁকিয়ে বলে ‘না আমি যাবো না। আমি এখানে থাকবো। মা তখন হাসে ‘তুই একটু বড় হ, তখন দেখবি তোর নিজেরই এসব আর ভালো লাগছে না।’ টিনকুন রেগে যায়। ‘হ্যাঁ, তোমাকে বলেছে। আমার তখনো ভালো লাগবে।’

টিনকুন দোলনার একদম কাছে অবশ্য আর যায় না। তবে ঘরে যখন লোকজন থাকে না তখন দোলনার আশপাশ থেকে উড়ে আসে। দু’একটা কথা বলে। বাচ্চাটা মাঝে মাঝে তার দিকে তাকিয়ে হাসে, ঝুনঝুনি বাজায়। টিনকুন ওতেই খুশি। ওদিকে মার চিন্তার শেষ নেই। মানুষের বাচ্চার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য পাগল হযে উঠেছে তার টিনকুন। তাই কি কখনো হয়! কী হবে ওর? হাজারবার বলেও ওকে বোঝানো যাচ্ছে না। মুখ গোমড়া করে বসে থাকে মানুষের বাচ্চাটাকে তারও ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে ওর সঙ্গে কি করে টিনকুনের বন্ধুত্ব হয়!

কদিন বাদে বোলতার মা খেয়ে দেয়ে আবার চোখ বুঁজেছে। এই সুযোগে টিনকুন আবার উড়ে গেল দোলনার পাশে। উড়তে উড়তে হঠাৎ তার চোখে পড়ে দোলনার একদিকের দড়ি প্রায় ছিঁড়ে গেছে। আর একটু পরেই দোলনা ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাবে। টিনকুন তাই দেখে ভয়ে প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে। অত উঁচু থেকে পড়লে মানুষের বাচ্চাটা যে মরেই যাবে। কিন্তু সে এখন কী করবে? মানুষ বন্ধুকে তো বাঁচাতে হবে। তাড়াতাড়ি উড়ে গিয়ে সে তার মাকে ডেকে আনে। বোলতা মা এসে চোখ কচলিয়ে সব দেখে। সত্যি ভয়ানক ব্যাপার। অথচ দেখ, মানুষের বাচ্চাটা কিছুই টের পায়নি। মনের আনন্দে ঝুনঝুনিই বাজাচ্ছেই।

কিন্তু আর তো দেরি করা যায় না। টিনকুন কাঁদো কাঁদো গরায় বলে, ‘মা কিছু একটা কর।’ মা বলে, ‘কী করা যায় তাই ভাবছি বাছা। আয় আমরা দুজনে মিলে চিৎকার করি।’ দুজনে মিলে চেঁচাতে আরম্ভ করে, ‘এই মানুষেরা জলদি এস, দোলনার দড়ি ছিঁড়ে তোমাদের বাচ্চা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ শোনে না। একটু ভেবে বোলতা মা বলে ‘আয় আমরা বাচ্চাটাকে ভয় দেখাই। বাচ্চা কাঁদলে কেউ না কেউ ছুটে আসবে’।

দুজনে মিলে তারা বাচ্চাটার সামনে ভোঁ ভোঁ করে উড়তে আরম্ভ করে। কিন্তু বাচ্চাটা ভয় পায় না, কাঁদেও না। শেষে টিনকুন অস্থির হয়ে বাচ্চাটার মুখের উপর বসে পড়ে। বাচ্চাটা এবার ভয়ে কেঁদে ফেলে। দোলনার ফাঁক গলে ঝুনঝুনির নিচে পড়ে যায়। এবার সত্যিই একটা লোক চুটে আসে ঘরে। বোলতা মা বলে টিনকুন সরে এসো। আমাদের কাজ হয়ে গেছে।’

কিন্তু টিনকুন বাচ্চাটার চারপাশে উড়তেই থাকে। আরেকজন উড়ে এসে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নেয়। আর তখনই দেখতে পায় টিনকুনকে। বাচ্চাটা তখনো কাঁদছে। লোকটি বলে ‘ইশ, এ দেখছি বোলতা, নিশ্চয় বাবুকে কামড়ে দিয়েছে। বাবু তো কোনোদিন এমন কাঁদে না।’ লোকটার হাঁকডাঁক শুনে আরো কয়েকজন চলে আসে। লোকটা বলে ‘কতদিন থেকে বলছি বোলতার বাসাটা ভেঙে ফেলতে। কেউ শোনে ন। এখনই ভেঙে ফেলো আর মেরে ফেলো বোলতাগুলো।’

ওদিকে বোলতা মা চেঁচায়, ‘টিনকুন, চলে আয় বাছা।’ টিনকুন ঘাড় ফিরিয়ে মার দিকে তাকায়। ইশ, কেন সে এত তাড়াতাড়ি ফিরে যাবে। এতবড় একটা উপকার তারা করলো মানুষদের। সে আরো এগিয়ে যায় বড় মানুষগুলোর দিকে। বলতে আরম্ভ করে আসলে কী ঘটেছে। ঠিক তখনই হঠাৎ মাথা ঘুরে যায় তার। কিসের যেন বাড়ি এসে লেগেছে শরীরে। কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে সে দেখে একজন কি যেন একটা দিয়ে তাকে আবার মারতে যাচ্ছে।

সে মুহূর্তের মধ্যে ফিরে আসে নিজেদের ঘরে। ঘরের দরজার কাছে বসে হাঁপায়। মা বোলতা তার দিকে তাকিয়ে করুণ মুখে একটু হাসে। ‘এবার বুঝেছ বাবা?’ টিনকুন হাঁপাতে হাঁপাতেই বলে, ‘হ্যাঁ মা, বুঝেছি।’ ‘কী বুঝেছ?’ মা আবার জিজ্ঞেস করে। টিনকুন নিচে মানুষের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে ‘মানুষের সঙ্গে আমাদের মিল খুব কম, তাই না মা।’

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!