ছোটগল্প: আমার যদি একটা জন্মদিন থাকতো

প্রতিদিনই খুব সকালে ঘুম থকে উঠতে হয় মালতিকে। ঘুম থেকে উঠেই তাকে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় এক গাদা কাজ নিয়ে।

রাফিউজ্জামান রাফিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2019, 09:52 AM
Updated : 31 July 2019, 09:52 AM

প্রথমে তাকে বাড়ির কর্ত্রীকে নাস্তা বানাতে সাহায্য করতে হয়। তারপর বাড়ির পিচ্চি মেয়ে তিশার স্কুল ড্রেস, জুতো, মোজা সবকিছু এগিয়ে দিয়ে ওর জন্য টিফিন বক্সে টিফিন ভরে গাড়িতে রেখে আসতে হয়। এরপর বাড়ির সাহেবের জন্য টেবিলে নাস্তা সাজাতে গৃহকর্ত্রীকে সাহায্য করতে হয়। সাহেব চলে যাওয়ার পর শুরু হয় গৃহকর্ত্রীকে চা দেয়াসহ তার খুঁটিনাটি ফুট ফরমায়েশ শোনার পালা।

এসবের শেষে ও দম ফেলার একটু ফুরসত পায়। মালতি তখন নাস্তার টেবিলে বেঁচে যাওয়া রুটি আর ভাজিগুলো প্লেটে নিয়ে মেঝেতে বসে সকালের নাস্তা সারে। নাস্তা শেষেই ওকে গৃহকর্ত্রীর দেয়া লিস্ট হাতে নিয়ে বাজারের ব্যাগ হাতে বাজারের উদ্দেশ্যে দৌড়াতে হয়। প্রতিদিনের মতো আজও সে সবই করেছে।

তবে তার আগেও একটি কাজ করেছে। আজ সকালে উঠেই মালতি খুব ভাল করে সাবান দিয়ে ঘষে মেজে গোসল করেছে। মাথায় শ্যাম্পুও দিয়েছে। শ্যাম্পুটি এই বাড়ির পিচ্চি মেয়ে তিশা ওকে দিয়েছিল। সেবার সাহেব বিদেশ থেকে অনেক কিছু নিয়ে আসাতে পুরনো জিনিসগুলো ওরা একে ওকে দিয়ে দিচ্ছিল। তখন মেয়েটা ওর অর্ধেক হয়ে যাওয়া শ্যাম্পুর বোতলটা মালতিকে দিয়েছিল। শ্যাম্পুটি পেয়ে মালতি কি যে খুশি হয়েছিল তা বোঝানো যাবে না!

সেই থেকে খুব যত্ন করে রাখে সে ওটাকে। প্রতিদিন ব্যবহার করলে তো ফুরিয়ে যাবে! ফুরিয়ে গেলে তখন আবার কে কিনে দিবে ওকে? এরাতো আর সবসময় তাকে শ্যাম্পু ট্যাম্পু দিবে না। তাই সে খুব হিসেব করে ব্যবহার করে ওটা। বিশেষ দিন ছাড়া শ্যাম্পুটা ও ব্যাবহার করে না। আজ সে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করেছে। শুধু তাই না, গোসল শেষে ওর পছন্দের একটা যে ফ্রক রয়েছে, সেটা পড়েছে।

অলঙ্করণ: শিল্পী সমর মজুমদার

ফ্রকটাও ওকে ঐ পিচ্চি মেয়েটাই দিয়েছিল। ওরতো অনেক কাপড়, তাই একটা বেশিদিন পড়ে না। পুরোনো হতে না হতেই ফেলে দেয়। এটাও তেমনই ওর কিছুদিন ব্যবহার করা একটা জামা। তবে জামাটা পেয়ে মালতি খুব খুশি হয়েছিল। আজ ও সেই জামাটা পড়ল। মুখে একটু স্নো মেখে, চুল বেঁধে তারপর হাসি হাসি মুখে রান্নাঘরে গেল গৃহকর্ত্রীকে সাহায্য করতে। প্রতিদিন উষ্কোখুষ্কো চুলে, খালি গায়ে কাজে লেগে পড়া মালতিকে আজ এমন সাজুগুজু করা ও পরিপাটি দেখে গৃহকর্ত্রী বললেন,

-বাব্বাহ, আজ একবারে ফুলপরি হয়ে আসছিস দেখছি তুই!

মালতী শুকনো হাসি দিয়ে বললো, না আম্মা, এমনেই।

-তোকে সুন্দর লাগছে। এখন থেকে এমন করেই সেজেগুজে থাকবি, বুঝলি?

গৃহকর্ত্রীর মুখে ‘সুন্দর লাগছে’ শুনে মালতি ভীষণ খুশি হলো। ও হেসে বললো, আইচ্ছা আম্মা।

সকালের সব কাজ সেরে খেয়ে দেয়ে রোজকার মতো মালতি বাজার করে নিয়ে এলো। এরপর বাজার রেখেই আগে নিজের ঘরে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখলো। ইশ! কেমন ঘেমে গিয়েছে ও! আর ঘামবেই না কেন? বাইরে যে গরম, সাথে ধুলা বালিতো আছেই। পরিপাটি করে রাখা মুখটা কেমন কালচে হয়ে গিয়েছে! সকালে যে ও গোসল করেছে সেটা মনেই হচ্ছে না। তাড়াতাড়ি সে সাবানটা নিয়ে বাথরুমে যেয়ে ভাল করে সাবান মেখে মুখ হাত ধুয়ে আবার পরিপাটি হলো। এরপর আয়নায় মুখটা দেখলো। এইতো এখন ঠিক আছে। এখন সকালের মতোই কি সুন্দর লাগছে ওকে!

মালতি ওর গৃহকর্ত্রীর ঘরে গিয়ে দেখলো সে মোবাইলে কী যেন করছে। এই সময়টাতে ওর গৃহকর্ত্রীর কোনো কাজ থাকে না। তাই তার মন মেজাজটাও বেশ ভাল থাকে। এমনিতেও এ বাড়ির মানুষগুলো সবাই খুব ভাল। কেউ অহেতুক বকাঝকা করে না ওকে। এ বাড়ির পিচ্চি মেয়েটাও বেশ ভাল। দেখতেও যেমন সুন্দর, আচার ব্যাবহারও তেমন সুন্দর।

মালতি এদের সাথে ঢাকায় আসার আগে গ্রামে এক বাড়িতে থাকতো। সে বাড়ির বাচ্চাটা  কথায় কাথায় কারণে অকারণে ওকে ধরে ধরে মারতো। চিমটি কাটতো, চুল ধরে টানতো, কামড় দিত, খামচি দিত। একবারতো ক্রিকেটের বল দিয়ে ঢিল ছুড়ে ওর বা চোখটাই ফুলিয়ে দিয়েছিল। আরেকটু হলেতো ও অন্ধই হয়ে যেত।
মালতি ওর গৃহকর্ত্রীকে বলল, আম্মা বাজার আনছি।

-সবকিছু ঠিকমতো এনেছিসতো? মাছ, লবণ, মরিচ?  

-জ্বে আম্মা সবকিছুই আনছি। দাম কইরা আনছি।

-আচ্ছা, তাহলে যা। শবজিগুলো কাটতে থাক। আমি আসছি।

কিন্তু মালতি না গিয়ে দাড়িয়ে রইল। ওর গৃহকর্ত্রী সেটা লক্ষ করে ওকে বললো- কিরে যাচ্ছিস না যে! কিছু বলবি?

মালতি মাথা নেড়ে বোঝালো ও কিছু বলবে।

-কি বলবি, বল।

-আম্মা

-হুম

-২০০ ট্যাহায় একটা কেক পাওয়া যাইবো না? 

-কেন পাওয়া যাবে না? পাওয়া যাবে। কেকতো বিভিন্ন দামেরই আছে। দশ টাকায়ও কেক পাওয়া যায়।

-না, ঐ কেক না। ঐ যে বড় বড় কেক।

গৃহকর্ত্রী মালতির কথা ঠিক বুঝতে না পেরে ভ্রু কুচকে তাকালো ওর দিকে। তারপর বললো,

-বড় কেক মানে?

-ঐ যে বড় বড় কেক। আফার জন্মদিনে আনছিলেন।

-ও বার্থডে কেক?

-হ, বার্থডে কেক।

-না রে, দুইশো টাকায় মনে হয় পাওয়া যায় না।

দুইশো টাকায় কেক পাওয়া যায় না শুনে মুখটো ছোট্ট হয়ে গেল মালতির। আস্তে করে ও বললো,

-ও।

ওর গৃহকর্ত্রী ওকে জিজ্ঞেস করলো-  কেন, তুই কেক দিয়ে কি করবি?

-না, আমার কাছে দুইশো ট্যাহা আছে তো! দুইশো ট্যাহায় পাওয়া গেলে কিনতাম!

-কেন, তোর কি আজ বার্থডে?

-মালতি মাথাটা নিচু করে লজ্জিত ভাব নিয়ে বলে, হ আম্মা।

-তাই নাকি? আজ তোর বার্থডে? সত্যি?

গৃহকর্ত্রী বেশ উৎসাহ নিয়েই জানতে চায় মালতির কাছে। গৃহকর্ত্রীর উৎসাহ দেখে মালতি যেন একটু সাহস পেল। একটু মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে জানালো, হ্যাঁ, আজ তার বার্থ ডে।

-তাই নাকি? তাহলে তো তুই আজ বার্থডে গার্ল! তাইতো বলি, সকাল থেকে এত সাজুগুজু করে আছিস কেন তুই!  

মালতি মুখ টিপে হাসলো কথাটা শুনে। তারপর লজ্জা পেয়ে চলে যেতে যেতে বলল- আমি যাই আম্মা, তরকারি কাটাকুটি করি গা।

কিন্তু গৃহকত্রী ওকে বললেন- থাক, আজ তোর ছুটি। আজ তোর কোনো কাজ করতে হবে না।

সারাদিন মালতিকে কোনো কাজ করতে হবে না শুনে মালতি খুব খুশি হলো। খুশিতে ওর মুখটা উজ্জ্বল হয়ে গেলো। প্রত্যেক ঈদে ওর যেমন আনন্দ হয় এখনো ওর ঠিক সেরকম আনন্দ হচ্ছে। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ওর। মালতি তাই গৃহকত্রীকে আবার জিজ্ঞেস করলো,

-হাচাই আম্মা? হাচাই আমার আইজ ছুটি?  

-হ্যাঁ, সত্যি তোর আজ ছুটি। তুই আজ বার্থডে গার্ল না! তাই আজ সারাদিন তোর ছুটি। আর তোর কেকের চিন্তা করতে হবে না। তোর স্যারকে রাতে ফেরার সময় তোর জন্য কেক নিয়ে আসতে বলে দিবোনে। 

এমন আনন্দের কথা শুনে মালতি খুশিতে নাচতে নাচতে নিজের ঘরে চলে আসে। ওর যেন বিশ্বাস হয় না! এই বাড়িতে আজ বড় একটা বার্থডে কেক আসবে! সেই কেকের চারদিক দিয়ে মোমবাতি জ্বলবে আর সেই কেকটা কাটবে মালতি! সবাই হাত তালি দিয়ে দিয়ে বলবে হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ মালতি।

দৃশ্যগুলো কল্পনা করতেই ও খুশির সাগরে হারিয়ে যায়। চোখে পানি চলে আসে ওর। মালতি সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে বলে, ‘আল্লাহ এই বাসার সব মানুষরে তুমি সুখে রাইখো, শান্তিতে রাইখো। এই বাড়ির মানুষগুলা খুব ভাল।’

রাতে মালতির জন্মদিন উদযাপনের ব্যবস্থা করা হলো। মালতির জন্য সুন্দর একটা বার্থডে কেক আনা হয়েছে। রাতে বাসায় ফেরার সময় তিশার বাবা যখন মালতির জন্য কেকটা নিয়ে এলো তখন মালতির বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে এত সুন্দর কেকটা তার জন্য আনা হয়েছে। তিশা ওকে দেখালো কেকটার চারপাশে সুন্দর করে লেখা, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ মালতি’।

মালতি এতটা খুশি হলো যে ওর মুখ দিয়ে তখন কোনো কথাই বের হচ্ছিল না। মালতি এখন কেকটার সামনে সুন্দর একটা লাল টুকটুকে জামা পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। জামাটাও ওকে আজ কিনে দেয়া হয়ছে। তিশাই ওকে জামাটা কিনে দিয়েছে। তিশার বাবাকে যখন তিশার মা মালতির জন্য কেক আনতে বলছিল তখন তিশা ওর বাবাকে বলেছিল সে মালতিকে একটা জামা দিতে চায়, বাবা যেন নিয়ে আসে।

তিশার দেয়া সেই জামাটা পড়েই মালতি আজ বার্থ ডে গার্ল সেজেছে। বাসার সবাই মালতির জন্মদিন পালন করতে তিশাদের ড্রয়িংরুমে জড়ো হয়েছে । মালতির সাহেব, গৃহকত্রী, পিচ্চি তিশা, দারোয়ান, ড্রাইভার সবাই এসেছে মালতির জন্মদিনের এই আয়োজনে। এখন শুধু মালতির কেকটা কাটার পালা।

এমন সময় তিশা তার মাকে কি যেন একটা বলতেই মা বলে উঠলেন- না, একদম না তিশা। আর কখনো এরকম মিথ্যে কথা বলবে না তুমি। তুমি জানো না মিথ্যে বলা মহাপাপ? পৃথিবীতে যত খারাপ কাজ আছে তার মধ্যে মিথ্যা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ। মায়ের কথাগুলো শুনে তিশা মুখটা কাচুমাচু করে তার মাকে বললো, সরি মম, ভুল হয়ে গেছে, আর এমন হবে না।

ইটস ওকে, এখন থেকে সব সময় সত্য কথা বলবে ঠিক আছে? মায়ের কথায় তিশা ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়, সে এখন থেকে সব সময় সত্য কথা বলবে।

তিশাকে বোঝানোর পর তিশার মা তিশাকে বললেন- ওকে, এবার চলো মালতির কেকটা কাটি। এই, তোমরা সবাই এসো আমাদের মালতি এখন কেক কাটবে। নে, মালতি শুরু কর।  

সবাই এসে মালতির চারপাশে দাঁড়ালো, তিশা মালতির হাতে চাকুটা তুলে দিল। কিন্তু মালতি চাকুটা হাতে দাঁড়িয়েই রইলো। ওর চেহারায় যে খুশি খুশি ভাব ছিল, সেটা এখন আর নেই। মালতি মুখটা কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে । মালতিকে এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিশার মা বললেন, কিরে কেক কাটছিস না কেন? নে কাট।

কিন্তু মালতি কেক না কেটে তিশার মাকে বললো, আম্মা একটা কতা কই?  

হুম বল। বলে কেকটা কাট। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উত্তর দিল তিশার মা।

রাগ করবেন না তো? আমারে মারবেন না তো? ভয়ার্ত স্বরে তিশার মায়ের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো মালতি।

আহা বলনা কী বলবি? এত ভণিতা করছিস কেন? বলে কেকটা কাট।

আসলে আইজ আমার জন্মদিন না। আমার জন্মদিন কবে আমি নিজেও জানি না। আর জানুম কেমনে কন? ছোট কালে মা মরছে, বাপেও জানি কনে গ্যাছে গা। বড় হইছি রাস্তায় রাস্তায়। ক্যারা আমার জন্মদিন মনে রাখপো কন আম্মা?

কিন্তু এর আগে যে বাড়িতে আছিলাম হেই বাড়ির পোলার জন্মদিন পালন করতো টেলিভিশনে সিনেমায় যেমনে কেক কাইটা করে অমনে কইরা। আমার খুব মন চাইতো টিভির মতো অমনে কইরা জন্মদিন পালন করবার। কিন্তু কেমনে করুম কন আম্মা? আমারতো কোনো জন্মদিনই নাই। তয় মাঝে মাঝে খুব মনে হইতো আমার যদি একটা জন্মদিন থাকতো! তারপর আপনেগো বাসায় যহন কামে আইলাম , আপনেরা তিশা আফার জন্মদিন কি ধুমধাম কইরা করলেন। আমার খুব ইচ্ছা হইলো। আমার খুব মনে অইলো, ইশ, আমার যদি একটা জন্মদিন থাকতো!

তাই আমি আইজ সকালে মনে মনে ভাবলাম আইজকার দিনডারে মনে মনে আমি আমার জন্মদিন মনে করুম। সকালে উইঠা গাও গোসল দিয়া পয় পরিষ্কার হইয়া থাকুম। হেরপর আমার কাছে জমাইন্যা দুইশ ট্যাহা আছে, তাই দিয়া একটা কেক কিনা নিজেই নিজের জন্মদিন পালন করুম। তাই জন্মদিনের কেক দুইশা ট্যাহায় পাওয়া যাইবো নাকি আপনেরে জিগাইছিলাম।

বিশ্বাস করেন আম্মা আমি আপনেগো কইবার চাই নাই যে আইজ আমার জন্মদিন। কিন্তু আপনে জিগাইলেন দেইখা আমি কইয়া ফালাইছি যে আইজ আমার জন্মদিন। কিন্তু আমি জানতাম না মিছা কথা কওয়া খুব খারাপ, আমি জানতাম না মিছা কতা কওয়া মহাপাপ। জানলে আমি এই মিছা কতাডা কইতাম না।

মালতির কথায় চুপ হয়ে গেল সারা ঘর। কেউ কিছু বলছে না। সবাই ভাবছিল মালতিকে হয়তো গৃহকর্ত্রী বকাঝকা করবে, মিথ্যা বলে এই আয়োজন করার জন্য হয়তো মারবে। কিন্তু মালতিকে তার গৃহকর্ত্রী কিছুই বললেন না। উল্টো মালতীর সাহেব ও গৃহকর্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন আজ থেকে এই দিনটি মালতির জন্মদিন। প্রতি বছর এই দিনে এখন থেকে মালতির জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করা হবে। আর এটা হলো মালতির সত্য কথা বলার পুরস্কার।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!