সাদা শাপলা যে কারণে জাতীয় ফুল

বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। দেশ সর্ম্পকে তোমাদের জানতে হবে, এ দেশের জাতীয় ফুল-ফল, পশু-পাখি ও নদ-নদী সর্ম্পকে ধারণা রাখতে হবে। আমরা সবাই ফুল ভালোবাসি।

সিলভিয়া গোমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2019, 08:40 AM
Updated : 19 July 2019, 08:40 AM

আজ জাতীয় ফুল শাপলা নিয়ে আলোচনা করব। এটা তোমরা সবাই জানো যে, সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। যার ইংরেজি নাম ‘ওয়াটার লিলি’। শাপলা এক ধরনের জলজ উদ্ভদি। 

শাপলাকে কনে জাতীয় ফুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তোমরা কি তা জান? সাদা শাপলা হলো বাংলাদেশের জনগণের প্রতীক। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শাপলার সাদা রং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে আর পাপড়িগুলোর মতো দেশের মানুষকে একত্রিত করে।

তাই শাপলা ফুল অনেক রঙের হলেও কেবল সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের পয়সা, টাকা ও দলিলপত্রে জাতীয় ফুল শাপলা বা এর জলছাপ আঁকা থাকে।

আরেকটি কারণ হলো, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই সারা দেশে শাপলা পাওয়া যায়। দেশের আনাচে-কানাচে নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় ও পুকুর-ডোবা ছড়িয়ে আছে। আর এখানে সারা বছর প্রচুর শাপলা ফোটে।

শাপলা ফুল শ্রীলঙ্কারও জাতীয় ফুল। তবে সাদা নয়, নীল শাপলা। শ্রীলঙ্কায় এই ফুল ‘নীল মাহানেল’ নামে পরিচিত। শ্রীলঙ্কার ভাষায় নীল থেকে এ ফুলকে ইংরেজিতে অনেক সময় ‘ব্লু লোটাস’ বলা হয়। দেশটির বিভিন্ন পুকুর ও প্রাকৃতিক হৃদে এ ফুল ফোটে। ওখানকার বৌদ্ধদের বিশ্বাস গৌতম বুদ্ধের পায়ের ছাপে পাওয়া ১০৮টি শুভ চিহ্নের মাঝে একটি ছিল এই শাপলা ফুল।

সারা বিশ্বে ৫০ প্রজাতরি শাপলা আছে, কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ২ প্রজাতির শাপলা জন্মে। সাদা ও লাল রঙের শাপলা। একটা রক্তকমল প্রজাতির আর অন্যটা হলো শালুক প্রজাতির। শাপলার শেকড় পানির নিচে থাকে আর ফুল ডাটা দিয়ে পানির উপর ফুটে থাকে।

ফুলগুলো প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন পানির উপর ভেসে থাকে। এর পাতাগুলো দেখতে গোলাকার ও সবুজ রঙের। সবুজ পাতায় সাদা লাল শাপলা দেখতে অর্পূব লাগে।

বাংলাদেশে সারা বছর শাপলা কম বেশি সব জায়গায়ই হয়। তবে বেশি হয় র্বষা আর শরৎকালে। শাপলার ডাটা গ্রামের মানুষ সবজি হিসেবে খেতে খুব পছন্দ করে। আর এ ফুলের বীজ ও গুড়ো দিয়ে খই বানানো হয়।

শাপলা ভাজি করে খেতে খুব মজা। এতে পুষ্টিগুণও আছে। জলজ সবুজ ডাটায় আছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!