গাছে চড়া শিশুর ছড়া

আবু আফজাল সালেহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2019, 07:34 AM
Updated : 8 March 2019, 07:34 AM

ভরদুপুরে

ভরদুপুরে ঘুঘু ডাকে

বাড়ির একটু দূরে

শ্যামা ডাকে আতা গাছে

মিষ্টি সুরে সুরে।

আম বাগানে কচি শাখে

চড়ুই ঝাঁকে ঝাঁকে

ফুড়ুৎফুড়ুৎ যায় হারিয়ে

বুড়ো যখন হাঁকে।

হুতোমপেঁচা বকের সারি

শিমুল তমাল বনে

রঙিন ফড়িং খেলা করে

নীলপরীদের সনে।

এসব আমার মন কেড়ে নেয়

নয়তো মিছে কিছু

ছুটে বেড়াই বনবাদাড়ে

দোয়েল-টিয়ের পিছু।

রূপসী বাংলার ফাগুনছবি

গান শুনিয়ে পাখ মেলিয়ে

কণ্ঠ সুরে সুরে

অলি ভ্রমর গান গেয়ে যায়

গ্রামের একটু দূরে।

মটরশুঁটি খেসারি ক্ষেত

শালিক নদীর ধারে

পুঁই পালংয়ের সবুজ মাঠের

ছবি নয়ন কাড়ে।

ফাগুন এলেই হলুদ ভরে

সরষে ক্ষেতে ক্ষেতে

পাখপাখালির ওড়াউড়ি

পথে যেতে যেতে।

তুশি ও বিড়ালছানা

বিড়ালছানা পুশি

সোনার বোন তুশি।

গোঁফ নাড়িয়ে পা উঁচিয়ে

আনন্দ পায় পুশি

তাই না দেখে তুশিমণি

আত্মহারা খুশি।

পুশি আর তুশিতে

মনের মিল খুশিতে।

খায় দায় খেলা করে

সকাল বিকেল ভোরে।

জ্যোৎস্না রাতের লুকোচুরি

জ্যোৎস্না রাতে দুধসাদা চাঁদ

উঠলো যেই পূব আকাশে

হাসনাহেনা বকুলচাঁপায়

সুবাস ছড়ায় ঝির বাতাসে।

ঝিরবাতাসে সুবাস ভরে

ছুটতে থাকে হই হই,

মেঘবালিকার ছায়া পড়ে

দুষ্টু বালক গেলি কই?

হারিয়ে গিয়ে দুষ্টুবালক

পড়ে গেলো কান্নার রোল

মেঘবালিকা সরে গিয়ে

ফিরে এলো কলরোল।

ব্যাঙের নাচ

ঠ্যাং নাচিয়ে ঘ্যাঙ ঘ্যাঙিয়ে

নাচে কোলা ব্যাঙে

ফ্যাল ফ্যালিয়ে মুখ ফুলিয়ে

খেলে নানান সঙে।

কোলা ব্যাঙের এমন নাচে

নয়ন-তারা খুশি

সোনা রোদের আলোর ছটায়

কোমর দুলায় তুশি।

তুশির নাচে শ্যামা-টিয়ে

আনন্দ পায় কী সে!

দোয়েল তাড়ায় বেজি বিড়াল

ভরিয়ে দিয়ে শিসে।

ছুটে চলে রেলগাড়ি

মাঠ পেরিয়ে বন পেরিয়ে

ছোটো-বড়ো পুল পেরিয়ে

ছুটে চলে রেলগাড়িটা

ঝম ঝমা ঝম।

সাপের মতো লেজ বাঁকিয়ে

জোরে জোরে কু হাঁকিয়ে

ছুটে চলে অচিনপুরে

পম পমা পম।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!