শালবাগানের রহস্য 

স্কুলে আসতে আজ একটু দেরি হলো সিফাতের। রাকিব অনেক আগে এসেই বসে আছে শেষের বেঞ্চে।

সাদিক আল আমিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2019, 05:49 PM
Updated : 10 Feb 2019, 05:49 PM

সিফাতের জন্য এতোক্ষণ অপেক্ষা করছিলো একা একা। কাল রাত্রের ঘটনাটা ওকে অনেক আতঙ্কিত করে রেখেছে। কখন যে কথাটা সিফাতের কাছে পাড়বে সেই অপেক্ষাতেই অধীর হয়ে ওঠে রাকিব। সিফাতকে দরজার সামনে দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সে। যাক, কথাটা তাহলে আর বেশিক্ষণ পেটে চাপিয়ে রাখতে হচ্ছে না। রাকিব সিফাতকে ইশারা করায় সিফাত ওর পাশে গিয়ে বসে। রাকিবের উদ্বিগ্ন মুখ দেখে সিফাত বলে, ‘তুই কি কিছু বলতে চাস?’

রাকিব মাথা নাড়ে।

‘তাহলে বল!’

‘থাম একটু পানি খেয়ে নেই। গলাটা শুকিয়ে গেছে।’ ব্যাগ থেকে পানির পট বের করে পানি খায় সে। ভাবে, কিভাবে ব্যাপারটা সিফাতকে বলা যায়! সিফাত কি তার কথা বিশ্বাস করবে? নাকি আবার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে?

আমতা আমতা করতে করতে ধীরে ধীরে বলতে শুরু করে রাকিব- ‘শোন তাহলে’

‘হ্যা রে বল। একটা কথা বলতে এত সময় লাগে?’

‘আরে এটা সাধারণ কথা নয়। পুরাই ধাঁধানো ব্যাপার। শুনলে চমকে যাবি।’

‘আগে বল তো! তারপর দেখা যাবে চমকাই কিনা।’

‘সেদিন আমাদের বাসায় মানিক কাকু এসেছিল। মানিক কাকু হলো আমার বাবার দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই। বাড়ি নোয়াখালীতে। আমাদের বাড়িতে ঈদের ছুটিতে এসেছিলো।’

‘কেন? তোর কাকুর গ্রামের বাড়ি নেই? তোদের বাড়িতে কেন এসেছিলো? ঈদের ছুটিতে কি কেউ নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে ঈদ করতে যায়!’

‘না নেই গ্রামের বাড়ি। দাদু মারা যাবার পর সব অন্যের দখলে চলে যায়।’

‘তারপর কী হলো বল।’

‘তো যেদিন মানিক কাকু বাসায় আসলো আমি সেদিন স্কুলে আসিনি। জ্বর ছিলো। বিকেলের দিকে জ্বর সেরে একটু ঘাম ঘাম ভাব হলে মা বললো মানিক কাকুর সাথে শালবাগানের দিকটা একটু বেড়িয়ে আসতে। একটু রিলেক্সও হবে। আর মানিক কাকুকে জায়গাটা দেখানোও হবে।’

আমি নিমরাজি হয়েও পরে রাজি হলাম। মানিক কাকু নাকি মজার মজার কয়েকটা কিশোর উপন্যাস এনেছে। সেগুলো দেবার লোভ দেখালো। তাই আর না করতে পারলাম না।

‘তারপর কী হলো? শালবাগানে গেলি?’

হ্যাঁ গেলাম তো। সেটা আবার আরেক কাহিনী।’

‘বল তাহলে শুনি’

এমন সময় রতন স্যার ক্লাসে ঢুকলো। রাকিবদের স্কুলের একটা পরিচিত নাম ‘রতন স্যার’। সবাই একনামে চেনে। নীতিবাক্য বলা আর উপদেশ দেবার বেলায় তার জুড়ি নেই। অনেক অভিজ্ঞ ও মেধাবীও তিনি। মাঝে মাঝে কানমলাও দেন। স্যারের চলে আসায় আর বাকিটুকু বলতে পারলো না রাকিব। সিফাত বিরক্ত হয়ে বললো, ‘ধুত্তুরি,গল্পটা জমে আসছিলো আর এই সময় ডিস্টার্ব।’

অগত্যা তাদেরকে স্যারের লেকচার শুনে যেতে হলো চুপচাপ বসে। টিফিন পিরিয়ডে তাড়াতাড়ি টিফিন শেষ করে সিফাত আর রাকিব স্কুলমাঠের এক কোণায় দেয়ালে এসে বসলো। সিফাত বললো, ‘তারপর কী হলো রে?’

রাকিব বলতে শুরু করলো, ‘আমি আর মানিক কাকু শালবাগানে যাবার জন্য একটা রিক্সা ভাড়া করলাম। রিক্সার ভাড়া যেখানে দশ টাকা, সেখানে রিক্সাওয়ালা ত্রিশ টাকা চাইছিলো। তো, এটা নিয়ে কাকুর সাথে রিক্সাওয়ালার একদফা ঝগড়া হলো। শেষমেষ পনেরো টাকা ভাড়া ঠিক করে আমরা চেপে বসলাম রিক্সায়।’

সিফাত আগ্রহ নিয়ে রাকিবের কথা শুনে যেতে লাগলো। যেন খুব একটা ইন্টারেস্টিং স্টোরি হতে যাচ্ছে। সিফাত বললো, ‘তারপর কী হলো? রিক্সায় করে শালবাগানে গেলি?’

‘হুম। শালবাগানে যেতে যেতে তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চলেছে। রিক্সাটা শালবাগানে যখন পৌঁছোল তখন মাগরিবের আযান দিচ্ছে।’ 

‘তখন কি হলো?’, উৎকণ্ঠা সিফাতের চোখেমুখে।

রাকিব বলতে লাগলো, ‘যেহেতু জায়গাটা আমার চেনা আর বাসা থেকে বেশি দূরে না, তাই আমার কিছু মনে হলো না। কিন্তু মানিক কাকুর ভয় করছিলো।’

‘তোর মানিক কাকু ভয় পেল আর তুই ভয় পেলি না? তাজ্জব ব্যাপার!’

‘আরে শোন তো আগে পুরোটা! তো মানিক কাকু আমাকে বলছিলো যে এ জায়গায় আগে এসেছি কিনা। আমি বললাম যে অনেকবার এসেছি। নাহলে কি আর তাকে নিয়ে আসতে পারতাম!’ 

‘তারপর মানিক কাকু কী বললো?’

‘রিক্সা থেকে নামার পর মানিক কাকু বললো তার নাকি ভয় করছে! আমি কাকুর কথাটা হেসে উড়িয়ে দিয়ে বললাম, ‘আরে কাকু তুমি ভয় পাচ্ছো কেন? আমি আছিতো। কিছু হবে না। এই জায়গাটায় আমি বহুবার এসেছি। একদম সব চেনা। মানিক কাকু তখন যেন ভয়ে কাঁপছে। আমাকে বললো, ‘রিক্সাওয়ালাটাকে দেখ’। আমি রিক্সাওয়ালার দিকে তাকালাম।

সিফাত শুনেই প্রায় ভয় ভয় পেয়ে বললো, কেন? রিক্সাওয়ালাটার দিকে তাকাতে বলেছিলো কেন? কি হয়েছিলো? তুই তাকিয়েছিলি? কি হলো বল না!’

রাকিব একটু ঢোক গিলে আবার বলতে শুরু করলো, ‘রিক্সাওয়ালাটার দিকে যখন আমি তাকাই তখন দেখি রিক্সাওয়ালাটার চোখদুটো কালো হয়ে গেছে। পুরো চোখ কালো। চোখের সাদা অংশটাও কালো হয়ে গেছে।’

‘তারপর কি হলো রে?’

‘কাকু রিক্সাওয়ালাকে ভাড়া চুকিয়ে দিলেও রিক্সাওয়ালাটা সেখান থেকে যাচ্ছিলো না। আর কালো চোখে স্থির দাঁড়িয়ে আছে সে। একটুও নড়ছেনা। দেখলে মনে হয় যেন কিছুই দেখছে না।’

‘তখন কি করলি? পালিয়ে বাড়ি চলে এলি?’ 

‘নাহ। আমি কাকুকে আর নিজেকে মনে মনে সান্ত্বনা দিতে থাকলাম। কাকুকে বললাম, ‘অন্ধকারে আমরা হয়তো ভুল দেখছি। একটু পরেই চলে যাবে। চলো কাকু আমরা শালবাগানের ভেতরটা দেখি।’

সিফাত প্রায় লাফিয়ে উঠে বলে, ‘বলিস কি রে! রাতের অন্ধকারেও তোরা শালবাগানে গিয়েছিলি?’

‘না গিয়ে উপায় কি ছিলো বল! কাকুকে শালবাগানটা দেখাতে পারলেই না তবে নতুন মলাটের বইগুলো হাতে আসবে! কাকু অবশ্য ভয়ে আমতা আমতা করছিলো। যাবে কি যাবে না এটা সে বুঝতে পারছিলো না। আমি প্রায় জোর করে কাকুকে টেনে নিয়ে গেলাম। কাকুর পকেটে থাকা টর্চটা জ্বালালাম। শালবাগানের ভেতরে ঢুকেই দেখি আরেক কাণ্ড।’

‘কী কাণ্ড? মজার না ভয়ের? বলতো কী হলো।’

রিংরিং করে ঘণ্টা বাজতে শুরু করলো। টিফিন পিরিয়ড শেষ। সিফাত বিরক্তি নিয়ে বললো, ধুর ছাই। কিছুই ভালোমতো শুনতে পারলাম না। ছুটির পরে শুনাইস।’ 

রাকিব মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। টিফিনের পরে এখন শাহেদ স্যারের ক্লাস। একজন কড়া অংক শিক্ষক। হোমওয়ার্ক করে না নিয়ে এলে সবাইকে পিটিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেয়। রাকিব আর সিফাত হোমওয়ার্ক করে আনেনি। টিফিনের সময়টাতে ক্লাসে বসে বাড়ির কাজগুলো করার কথা ছিলো, কিন্তু গল্পের তালে আর কিছুই হলো না। দুজনে বুকে ভয় নিয়ে ক্লাসরুমে যায়। আজ আর রেহাই নেই স্যারের হাত থেকে।

স্কুল ছুটির পর সিফাত রাকিবকে ডেকে থামতে বলে। সিফাত বললো, ‘আমাকে ওই শালবাগানটাতে নিয়ে যাবি?’

রাকিব চোখ সরু করে সিফাতের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘তুই গিয়ে কী করবি?’

‘যাবো দেখতে জায়গাটা। নিয়ে চল না!’

রাকিব একটু ইতস্তত করে বললো, ‘যদি কোনো সমস্যা হয়? আমার তো ওদিকে আর যেতে ইচ্ছে করছে না। ভয় হচ্ছে। যদি আবার কিছু হয়!’

সিফাত রাকিবকে নির্ভার করে। বলে, ‘দিনের বেলায় কিছু হবে না। যদি কোনো সমস্যা হয় চেঁচিয়ে লোক ডাকবো। চল আমাকে নিয়ে। যেতে যেতে বাকি কাহিনীটা বল। শালবাগানের ভেতরে ঢুকে তখন কি কাণ্ড ঘটলো? ভূত ঘাড় মটকে দিলো নাকি?’

রাকিব দম নিয়ে বলতে শুরু করলো আবার, ‘টর্চ লাইটের আলোতে কাকু আর আমি ধীরে ধীরে বাগানের রাস্তা ধরে হাঁটছি। এমন সময় আমাদের দুজনেরই চোখ পড়ল হাতকয়েক দূরে। দেখতে পেলাম যে, একটা মরা লাশের উপর অনেকগুলো ব্যাঙ চড়ে লাশের শরীর থেকে মাংস কামড়িয়ে খাচ্ছে।’

‘সর্বনাশ! ওটা কি মানুষের লাশ ছিলো? স্পষ্ট দেখেছিলি?’

রাকিব একটু থেমে বলে, ‘হ্যাঁ মানুষেরই লাশ ছিলো। অনেকগুলো ব্যাঙ একটা মানুষের লাশ খুবলে খুবলে খাচ্ছে। ভাবতে পারিস!’

সিফাত ‘ইইই বাবা!’ বলে উঠলো। রাকিব বললো, ‘সেটা দেখে তো আমার আর মানিক কাকুর অজ্ঞান হবার অবস্থা প্রায়। তখনি সাথে সাথে আমরা উল্টোদৌড় দিলাম।’

‘একদৌড়ে বাড়ি চলে এলি?’

‘না। দৌড়োতে দৌড়োতে হঠাৎ করে আমি হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। মানিক কাকু আরো ভয় পেয়ে যায়। আমাকে তাড়াহুড়ো করে উঠাতে গিয়ে সেও মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। তখন মিশমিশে অন্ধকার চারদিকে। টর্চ লাইটের আলো কমে আসছে। ব্যাটারি শেষ প্রায়। আমি যেন জ্ঞান হারাই এমন অবস্থা। ভয়ে প্রায় পুরো শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছিলো। খুব কষ্ট করে আমি আর মানিক কাকু উঠে দাঁড়ালাম। যে করেই হোক তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছোতে হবে। কে জানে কখন যে ওই মানুষখেকো ব্যাঙগুলো আমাদেরকেই খেয়ে ফেলে!’ 

‘কি হলো তখন?’

রাকিব থমথমে গলায় বলতে লাগলো, ‘আমরা যখন পড়ে যাই তখন শালবনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছি। উঠে দাঁড়াতেই দেখি সেই রিক্সাওয়ালাটা মাথা ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে।’

‘মাথা ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে মানে?’

‘মানে ঘাড়ের ওপরে মাথা নেই। ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীর নিস্তেজভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা নেই।’

‘তুই কি আমার সাথে ফাইজলামি করছিস রাকিব? আমাকে বানিয়ে বলছিস? ব্যাঙের কথাটা না হয় মেনে নিলাম যে ব্যাঙগুলো খুব ক্ষুধার্ত ছিলো বলে কোনো উপায় না পেয়ে মরা মানুষের লাশ থেকে মাংস খুবলে খেয়েছে। কিন্তু রিক্সাওয়ালার মাথাটা হঠাৎ নাই হয়ে যাবে কেন? মজা করছিস আমার সাথে?’

রাকিব বলে, ‘আরে না না। তোকে আমি বানিয়ে বলতে যাব কেন? যা বলছি সব সত্যি। বিশ্বাস না হলে আমাদের বাড়িতে গিয়ে মানিক কাকুকে জিজ্ঞেস করবি চল।’

‘আচ্ছা বিশ্বাস করলাম তোর কথা। তুই তো অন্তত মিথ্যা বলিস না কারো কাছে। এটা আমি জানি। কিন্তু বিষয়টা ভেবে দেখেছিস একবার? ইশ, কি ভয়ংকর! ভাবা যায়!’

‘ভয়ে তো আমার আর কাকুর দম বন্ধ হয়ে যাবার অবস্থা। কী করে যে সেদিন সেখান থেকে বেঁচে ফিরলাম কে জানে!’

‘মাথাহীন রিক্সাওয়ালাকে দেখে তখন কী করলি?’

‘একটা মানুষের আস্ত মাথাটাই নাই। এরকম আমি কখনো ভাবতে পারিনি। আমার তো জান যায় যায় অবস্থা। মানিক কাকু কোনোমতে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ছুটতে থাকে। আমি তখন প্রায় অবচেতন। চোখ অর্ধেক বন্ধ করা আছে। তন্দ্রা আসলে যেমন হয়। তেমন আধবোজা চোখে আমি পিছনে তাকিয়ে দেখলাম অনেকগুলো ব্যাঙ আমাদের পিছুপিছু লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে।’

‘ইয়া বাপ রে! তারপর কী হলো রে?’ অনেক উদ্বিগ্ন হয়ে সিফাত জিজ্ঞেস করে।

‘আমি সেটা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সকালে জ্ঞান ফিরলে দেখি মা, বাবা আর কাকু বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাকুর দিকে তাকাই। বেচারার মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে। সেই রাতটা আমার আর কাকুর জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর রাত ছিলো।’

‘উফ! যাক, বড্ড বাঁচা বেঁচে গেছিস। কাকু তোকে নিয়ে দৌড় না দিলে ব্যাঙগুলো মনে হয় তোদেরকেও খেয়ে ফেলতো। কি ভয়ংকর! শুনেই আমার গা শিরশির করে উঠছে।’

রাকিব আর সিফাত তখন শালবাগানে এসে পৌঁছেছে। প্রায় বিকেল হয়ে গেছে তখন। একটু পরেই সূর্য ডুবে যাবে পশ্চিম আকাশে। সন্ধ্যা নামবে; তারপর রাত হবে। সিফাত দেখতে চাইল কোন জায়গায় ঘটনাটা ঘটেছিল; রিক্সাওয়ালাটা কোন জায়গায় মাথাকাটা অবস্থায় ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলো। আর কোন জায়গাতে ব্যাঙগুলো একটা মরা মানুষের লাশ থেকে মাংস খুবলে খুবলে খাচ্ছিল!

রাকিব কিছুই বলতে পারলোনা। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। মনে হচ্ছে অনেকগুলো রাক্ষুসে ব্যাঙ যেন লাফিয়ে লাফিয়ে তার দিকে আসছে। তার চোখদুটো যেন আধবোজা হয়ে আসছে। তন্দ্রার মতো ভাব। এক্ষুণি যেন সে জ্ঞান হারাবে!

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!