মোবাইলে বেশি সময় কাটালে শিশু যা অনুভব করে

আন্তর্জাতিক একটি জরিপে দেখা যায় যে মা-বাবা মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটালে শিশুরা নিজেদের গুরুত্বহীন মনে করে।

>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2018, 11:34 AM
Updated : 15 Dec 2018, 11:34 AM

জরিপটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৬ হাজার শিশুর মধ্যে করা হয়। এর মধ্যে ৫২% শিশুই মনে করে যে তাদের বাবা-মায়েরা মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। প্রায় প্রত্যেক মা-বাবাই তাদের সন্তানের এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন নিজেদের বাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করায়।

খাবার সময়, কথা বলার সময়, টিভি দেখার সময় এবং খেলার সময় মা-বাবারা যখন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সন্তানরা তখন নিজেদের খুবই গুরুত্বহীন মনে করে। তারা তখন মনে করে তাদের তুলনায় মোবাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তারা চারপাশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে না, নিজেদের প্রকাশ করতে পারে না।

জরিপে একজন বাবা বলেন, “আমার কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার জন্য এবং আপডেট থাকার জন্য আমি সবসময় মোবাইল ব্যবহার করি। এতে করে মনে হচ্ছে এখন আমার পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে।”

অনেক অভিভাবক জানান, তাদের সন্তানরাও মোবাইলে বেশি সময় কাটায়। কিন্তু এর জন্যও তারা নিজেদেরই দায়ী মনে করেন।

জরিপে ফলাফল হিসেবে যেটা উঠে আসে তা হলো- সন্তানরা তাদের মা-বাবাকে আদর্শ মনে করে এবং তারা পরিবার থেকেই শেখে। তাই মা-বাবার উচিত পরিবারে ভালো অভ্যাসগুলো চর্চা করা। স্বাভাবিকভাবেই মা-বাবার অতিরিক্ত মোবাইল-আসক্তি তার সন্তানকেও একই কাজে উদ্বুদ্ধ করে।

আরেকটি সমীক্ষায় জানা গেছে, সম্প্রতি স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে অল্প বয়সী শিশুদের ভিড় বেড়ে গেছে। কারণ হলো, আদরের শিশু কথা বলতে পারছে না। বাসা-বাড়িতে তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলছে না। কখনও কখনও শিশুদের হাতেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল, ট্যাব কিংবা নানা ধরনের খেলার অ্যাপস। এতে করে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি শিশুদের অনীহা তৈরি হয়েছে, দেখা দিচ্ছে পুষ্টিহীনতাসহ নানা অসুখ।

সুতরাং সন্তানের মোবাইল আসক্তি দূর করার আগে নিজেদের আসক্তি দূর করতে হবে। আর আসক্তি তৈরি হবার আগেই সচেতন হতে পারলে তো আরো ভালো।

এই লেখাটির সর্বস্বত্ব টগুমগু কর্তৃক সংরক্ষিত। টগুমগু প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রেগন্যান্সি ও প্যারেন্টিং বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। টগুমগুর নিজস্ব প্যারেন্টিং ব্লগ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুমতি না নিয়ে লেখাটি অন্য কোথাও প্রকাশ অথবা বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!