এম. মাহবুব মুকুল
ভূতের দেশে
রাত দুপুরে বাজার থেকে আসছি আমি একা
তে-মাথার ঐ বটতলাতে ভূতের সাথে দেখা।
দাঁত খিচিয়ে সামনে এসে
দাঁড়াল মোর গা ঘেষে
বলল, হেসে একটু কেশে
কেন এসেছিস ভূতের দেশে?
মধ্যরাতে অন্ধকারে
জানিস্ না! বটতলাতে ভূতেরা ঘোরে।
ভয়ে আমি হিম হয়ে
ঝরছে ঘাম গা বেয়ে।
অট্টহাসি ভূতেরা সব
খাবো খাবো করছে রব।
কেউবা টানে হাত ধরে কেউ ধরে পা
বলল এসে বুড়ো ভূত, এত্ত সাহস!
কোথায় যাবি যা!
ছুটছি আমি, ছুটছে ভূত পিছে।
হোঁচট লেগে পড়েই দেখি আমি খাটের নিচে।
সুলেখা শামুক
হযবরল
শেয়াল মামা পরছে জামা
রাজার মতো বেশ
কাক নিয়েছে নয়নহরা
ময়ূরপুচ্ছ কেশ।
ফিঙে নিলো ঝিঙে ফুলের
সবটুকু রঙ মেখে
গাধার চোখের ঘুম টুটেছে
এমন কাণ্ড দেখে।
বক নিয়েছে বাঘের ডোরা
বাঘ হয়েছে সাদা
হনুমান লম্বা লেজে
ঘাটছে সুখে কাদা।
কাঠঠোকরা করছে বাসা
ডিম পেড়েছে ঘোড়া
মস্ত হাতি আসছে তেড়ে
বাম পা হলো খোঁড়া।
ঘোড়ার ডিমে তা দিয়েছে
বলগা হরিণ ছানা
ডিম ফুটে যা বাহির হলো
সেটা বলতে মানা।
জুনায়েদ মুন্সী
যদুনাথ-বদ্যিনাথ
কল্পলোকের যদুনাথ
খায় নাকো দুধভাত
পেট তার ইয়া ঢোল
গুড়ুম গুড়ুম গণ্ডগোল।
যদু একদিন বদ্যিবাড়ি
ভাঙলো সেথায় পেটের হাড়ি
যদুনাথের কপাল পেটের দোষ
বদ্যিনাথের মেজাজ খোশ।
এম এ রহমান
গ্রামের মেয়ে রুবিয়া
দেখেছ রুবি!
শরত ভোরে দুর্বাঘাসে শিশির কণার ছবি!
চাঁদের গায়ে কাদা যেন সবুজ রঙে ঢাকা
শুভ্র মেঘে সাদা বকের পাখা মেলে হাকা।
গ্রামের মেয়ে রুবিয়াদের নদীর তটে বাসা
ওপারেতে শ্মশানবাসী ঘুমায় নিরালা
পাতলা জলে রুবি ভাসে
ঘোলা জলে নৌকা চলে
আপন কাজে ত্বরা করে
সবাই ফিরে নীড়ের দিকে
রুবিয়া রয় ঘরের কোণে
মনপাখি তার শ্মশান ঘাটে।
আহমাদুল্লাহ্ ইকরাম
আমার গ্রাম
চোখ জুড়ানো মোর গ্রামের দৃশ্য
বড্ড ভালো লাগে
এসব কিছু দেখলে যে মন
সজীব হয়ে জাগে।
আমার গ্রামে অনেক বড়
একটা দিঘী আছে
ওই দেখা যায় পুচঁকের দল
দিঘীতে নেমে নাচে।
ওই দেখা যায় ক্ষেতের মাঝে
কৃষাণ করে কাজ
অন্ন জোগাতে থাকে সেথায়
সকাল থেকে সাঁঝ।
বৃষ্টি এলে বারান্দায় দাঁড়াই
লাগে তব ছিটা
একটা জায়গা আছে গ্রামে
নামটা শান্তি ভিটা।
অনতিদূরে বিল দেখা যায়
সামনে অনেক জমি
শান্তি ভিটায় যায়না মানুষ
এ রকমটা কমই।
গোল্লাছুট হাডুডু আর
কতো রকম খেলা
গাছগুলোতে সদাই থাকে
হরেক পাখির মেলা।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |