কচ্ছপ ও খরগোশ আবার দৌড়ালে কে জিতবে?

বনের এক কোণে খরগোশদের গোপন মিটিং চলছে। বহু বছর আগে এক কচ্ছপ এক খরগোশকে দৌড় প্রতিযোগিতায় হারিয়েছিল, এ নিয়ে সারা পৃথিবীতে প্রায় শত বছর ধরে খরগোশদের নিয়ে হাস্যরস হচ্ছে।

জাফর সাদেক চৌধুরীজাফর সাদেক চৌধুরী
Published : 18 Nov 2018, 03:09 AM
Updated : 18 Nov 2018, 03:09 AM

সবাই খরগোশদের নিয়ে টিপ্পনি কাটে। খরগোশদের গতি নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ না থাকলেও যে কোনো ছুতোয় কচ্ছপের কাছে পরাজয়ের গল্প শুনিয়ে দেয়। খেলায় জয় পরাজয় থাকবে, তাই বলে কচ্ছপের মতো একটি ধীরগতির প্রাণীর সঙ্গে হারবে, যে কিনা জীবনের অধিকাংশ সময় জলের ভেতরই সাঁতার কেটে আর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়!

খরগোশ যদি সাঁতার প্রতিযোগিতায় কচ্ছপের কাছে পরাজিত হতো বিষয়টি নিয়ে কেউ টু শব্দটি করতো না। তাই বলে খরগোশের নিজের ঘরে এসে খরগোশকে হারিয়ে একদম বাজিমাত করলো কচ্ছপ! দুনিয়াসুদ্ধ লোক কচ্ছপের অধ্যাবসায় নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যাই হোক এবার খরগোশকে প্রতিশোধ নিতে হবে। আবার দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। কচ্ছপের দলনেতার কাছে চিঠি পাঠানো হলো আবার দৌড়ের আয়োজনের কথা জানিয়ে।

কচ্ছপদের মধ্যে চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকবার খরগোশ ঘুমিয়ে পড়বে এমন নিশ্চয়তা নেই। শত বছরের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে হবে যে কোনো উপায়ে। কিন্তু উপায়টা কী হতে পারে! সবাই মিলে সবচেয়ে বয়স্ক কচ্ছপের কাছে বুদ্ধির জন্য গেলো। তার বয়স ২৯৮ বছর, দীর্ঘ জীবনে অনেক ঘটনা, ঘাত-প্রতিঘাত প্রত্যক্ষ করেছেন। সবাই তাকে একবাক্যে শ্রদ্ধা করে এবং তার উপদেশ মেনে চলে। সব বিষয় অবগত হয়ে উনি যা বুঝলেন, এটা কচ্ছপদের দীর্ঘদিনের গৌরব কেড়ে নেয়ার একটি বিশেষ ষড়যন্ত্র। এটাকে নস্যাৎ করতে হবে।

গতবার কচ্ছপ জঙ্গলে দৌড়েছে, এবার কচ্ছপ অবশ্যই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, তবে সেটা জঙ্গলে নয় জলে। জঙ্গলের মধ্যে যে বিশাল জলাশয় আছে তার জলে প্রতিযোগিতা হবে। খরগোশরা এবার নিজের ফাঁদে নিজেই পড়লো। জলে কখনো দৌড় প্রতিযোগিতা হয় কিংবা এটা হতে পারে এটা কারও চিন্তায়ও আসবে না কখনো। নিতান্ত উভচর প্রাণী বিধায় সেবার কচ্ছপকে দৌড়ের সুযোগ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তাই বলে খরগোশকে জলে দৌড়ের আমন্ত্রণ একেবারেই অযৌক্তিক।

কচ্ছপ আর খরগোশে শুরু হলো বিশাল দ্বন্ধ। খরগোশরা ঘোষণা দিল কচ্ছপ জঙ্গলে ডিম পাড়তে আসলে সে ডিম তারা ঈগল পাখি দিয়ে খাইয়ে দেবে। কচ্ছপেরাও ঘোষণা দিল খরগোশ জলপান করতে জলাশয়ের ধারে আসলেই একদম মরণ-কামড় বসিয়ে দেবে। তাদের দ্বন্ধ মিটমাট করার জন্য বনের বেশকিছু পশুপাখি হস্তক্ষেপ করল, কিন্তু তারা দুই দলই তাদের দাবিতে অনড়। এ দ্বন্ধের সুযোগ নিলো নিজেকে বনের রাজা পরিচয়দানকারী সিংহ। সে খরগোশদের বলল, আমি তোদের পক্ষে থাকব যদি তোরা প্রতিদিন একটি করে খরগোশ আমার প্রাসাদে পাঠাস, ফুট-ফরমায়েস খাটার জন্য। জানিস তো, আমার বিশাল প্রাসাদ, হাজার পশু-পাখি সেখানে কাজ করে। আমি উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেব। কচ্ছপদেরও প্রস্তাব দিলো একই রকমের।

খরগোশ ও কচ্ছপ উভয়ই সিংহের প্রস্তাবে রাজি হলো জয়ের আশায়। তারা উভয়ই আলাদা আলাদা একটি করে কচ্ছপ ও একটি করে খরগোশ সিংহের প্রাসাদে পাঠাতে শুরু করলো। এভাবে কেটে গেল কয়েক মাস। বনের পশুপাখিরা লক্ষ্য করলো কচ্ছপ আর খরগোশদের আগের মতো দেখা যাচ্ছে না। জঙ্গলের গাজর, মুলা, কচি ঘাস সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, খাওয়ার কেউ নেই। অথচ কয়েক মাস আগেও এসব জায়গা খরগোশের আনাগোনায় সরব থাকত। কচ্ছপদেরও জঙ্গলে আর দেখা যাচ্ছে না, উভচর প্রাণী হলেও শীতকালে তারা জঙ্গলে এসে ক্ষণস্থায়ীভাবে বসবাস করত। এবার তারা একেবারেই চোখের আড়ালে।

হাতি ছিল প্রচণ্ড দয়ালু, ন্যায় বিচারক হিসেবেও তার সুখ্যাতি আছে জঙ্গলে। স্থলভাগের বৃহত্তম প্রাণী হলেও তার ভেতর বিন্দুমাত্র অহংকার নেই। সে বিষয়টা লক্ষ্য করল এবং বিষম ভাবনায় পড়ে সাপকে পাঠালো জলে কচ্ছপদের খোঁজ খবর নিতে, এবং ইঁদুরকে পাঠালো খরগোশদের গর্তে।

সাপ জলের ভেতর অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি বুড়ো কচ্ছপের দেখা পেলো। সে কচ্ছপটি আবার ভালো করে চোখে দেখতে পায় না। হাতির উদ্বেগের কথা কচ্ছপের কাছে বলার পর কচ্ছপ যা জানালো তাতে সাপের রক্ত আরও হিম হয়ে গেলো।

কচ্ছপের কথার সারমর্ম ছিল এমন, এই জঙ্গলের অধিকাংশ কচ্ছপ গা ঢাকা দিয়েছে সিংহের ভয়ে। গুটিকয়েকে কচ্ছপ যারা আছে নিতান্তই বয়স্ক বিধায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালাতে পারেনি। বিগত কয়েক মাস যাবত সিংহের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী একটি করে কচ্ছপ তার ফুট-ফরমায়েশ খাটার জন্য পাঠানো হয়েছে, কিন্তু একটি কচ্ছপও আর ফিরে আসেনি। চুক্তির কারণও সবিস্তারে সাপকে জানালো। কচ্ছপদের দলনেতা পর্যন্ত সিংহের শাস্তির ভয়ে পালিয়ে গেছে। এখন তারা নেতৃত্বশূন্য এবং সংখ্যালঘু বিপন্ন প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে জঙ্গল অবিলম্বে কচ্ছপশূন্য হয়ে যাবে। কচ্ছপদের দুরাবস্থার বর্ণনা শুনে সাপও তার চোখের জল আটকে রাখতে পারল না। কচ্ছপকে সান্ত্বনা দিয়ে সাপ হাতির কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে ছুটে গেলো।

দিকে ইঁদুর খরগোশের গর্তে ঢুকে দেখল সেখানেও ঘরে ঘরে কান্নার রোল। প্রতিটি খরগোশ পরিবার থেকেই কেউ না কেউ সিংহের প্রাসাদে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সিংহের ভয়ে এখন কোনো খরগোশ আর বাইরে যায় না। বেশ কয়েক দিন যাবত তারা চুক্তি অনুযায়ী সিংহের গুহায় কাউকে পাঠাতে পারেনি। খরগোশদের গৃহে তেমন খাবারের মজুদ থাকে না। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে প্রতিটি গৃহে। খরগোশের বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভুগে শ্রীহীন হয়ে যাচ্ছে। ছোট গর্তে থাকে বলে তাদের গৃহে বনের অন্য পশুরা আসে না। ইঁদুর নিজেও গর্তবাসী বলে খরগোশের গুহায় ঢুকতে পেরেছে। খরগোশদের দুঃখের কাহিনী শুনে ইঁদুরেরও দুচোখ ভিজে গেলো।

হাতি, শেয়াল, বাঘ, ভাল্লুক হরিণসহ বনের গণ্যমান্য পশুপতিরা কচ্ছপ-খরগোশের পারস্পরিক বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব এবং করুণ পরিণতি ও করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভায় মিলিত হয়েছে। সিংহের গুহায় পত্র পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সে আসেনি। বাঘের সভাপতিত্বে এ ঘটনার নিরেপেক্ষ তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হলো। শেয়াল ও সজারু এই কমিটির অবশিষ্ট দুই সদস্য। তাদেরকে সভার পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হলো। সভার সমাপনীতে শেয়াল আবেগঘন বক্তৃতা প্রদান করলো এবং প্রকৃত দোষী পক্ষকে তদন্তের সুপারিশের ভিত্তিতে কঠিনতম শাস্তি প্রদানের অঙ্গিকার করলো।

তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে, তদন্ত কমিটি খরগোশ ও কচ্ছপদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে ঘটনা আরও সবিস্তারে জানলো। তারা জানতে পারল সিংহের সঙ্গে তারা উভয়পক্ষই যে অশুভ আঁতাত করেছে তাতে উভয়পক্ষের ২৮০ জন সদস্য সিংহের গুহা থেকে নিখোঁজ হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব বিষয়ে সিংহের সঙ্গে আলাপ করেও কোনো সদুত্তর পায়নি, বরং তাদেরকে চুক্তিভঙ্গ করলে জঙ্গল থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু এটা ছিল গোপন চুক্তি তাই বনের কোনো পশুপাখিকে চুক্তি সম্পর্কে জানানো যাবে না।

সিংহের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনতে গিয়ে সিংহের গুহার দরজা বন্ধ পাওয়া গেলো। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর যখন কোনো সাড়া পাচ্ছিল না তখন তদন্ত কমিটি গুহার দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকলো। ভেতরে ঢুকে দেখল সিংহ আরামে ঘুমোচ্ছে। আসলে সিংহ তার এক বিশ্বস্ত অনুচর হুতোম পেঁচার মাধ্যমে আগেই জঙ্গলের সংবাদ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন গুহায় শুয়ে বসে প্রতিদিন দুটো করে কচ্ছপ এবং খরগেোশ খেতে খেতে শরীরের আকার এমন বানিয়েছে গুহার দরজা দিয়ে বেরুনোর সুযোগ নেই। গুহার চারপাশের মাটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য সেই দূরে-কাছে গোপনে লোভনীয় প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিল, কিন্তু ইঁদুর এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ফলে সিংহ তার বিশাল বপু নিয়ে গুহায় আটকে রইলো।

বাঘ হুঙ্কার দিয়ে সিংহকে ডাকলো, কিন্তু সিংহ না শোনার ভান করে শুয়েই থাকলো। অবশেষে বাঘ সজারুকে নির্দেশ দিলো সিংহের নাকে কাঁটা ফোটাতে। এই কাজে সজারু ওস্তাদ, সে সঙ্গে সঙ্গে সিংহের নাকে প্রচণ্ড খোঁচা দিল। চিৎকার করতে করতে সিংহ নড়েচড়ে বসল। শরীরে এতো চর্বি জমেছে যে দেখলে মনে হবে আস্ত একটা গণ্ডার। এমন বেঢপ সিংহ আগে কখনো কেউ দেখেনি। সিংহ উঠে বসেই বাঘকে প্রণাম করে জিজ্ঞেস করলো- বাঘ মামা আপনি আমার বাসায় কোনো খবর না দিয়ে! ঠিক আছে এসেই যখন পড়েছেন বলুন কী খাবেন? পাশের গেরস্ত বাড়ি থেকে একটি বড় রাজহাঁস নিয়ে এসেছি ফ্রাই করে দেবো? শেয়াল পণ্ডিত আপনি কী খাবেন? কচি মুরগির ঝোল আছে রুটি দিয়ে দেবো, সজারু ভাইয়া তুমি যেন কী খাও বলো কাউকে আনতে পাঠাই।

-আমরা খেতে আসিনি, তোমার গৃহ তল্লাশি করব, তোমার বিরুদ্ধে ২৮০টি কচ্ছপ এবং সমসংখ্যক খরগোশ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আমাদের তদন্ত কাজে সহায়তা কর।

-মামা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ, একদম বিশ্বাস করবেন না, এসব ছোট খাটো প্রাণীর সঙ্গে আমি বিনা কারণে কথাও বলি না। আপনি, হাতি, ভাল্লুক আমরা জঙ্গলের অভিজাত গোত্রীয়, আমাদের আকার বড়, শক্তিও বেশি, আমার কাজ-কর্ম আপনাদের সঙ্গে হতে পারে। শিয়াল পণ্ডিত বলে তাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। এর বাইরে কারও সঙ্গে আমার তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।

- না থাকলে ভালো, এবার তোমার ঘরটা একটু দেখাও।

সব ঘর দেখালো, কিন্তু একটি ঘর তালা বন্ধ। ওটা সিংহ কিছুতেই খুলতে রাজি হলো না। সিংহ বলল,

- এটা আমার ঠাকুরদাদার কক্ষ, এই ঘরের তালা খোলা আমাদের পরবর্তী সাত প্রজন্মের জন্য নিষিদ্ধ।

-এসব অজুহাত শোনা যাবে না, তোমার খোলা বারণ কিন্তু আমার না। এই শিয়াল পণ্ডিত দরজা ভাঙো।

যেই কথা সেই কাজ, শেয়াল তার ব্যাগের ভেতর থেকে একটা কি যন্ত্র বের করে তালা ভেঙে ফেলল। ভেতরে তাকাতেই সবার চক্ষু চড়ক গাছ। শত শত কচ্ছপের পিঠের খোল ওখানে পড়ে আছে, আরেকটু ভেতরে গিয়ে দেখা গেল শতশত খরগোশের খুলি পড়ে আছে।

বাঘ চিৎকার করে উঠল,

-এসব কি দুষ্ট সিংহ! জঙ্গলের আইনের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই তোমার, শত শত কচ্ছপ আর খরগোশ উজাড় করে দিলে কয়েক দিনেই। জঙ্গলের ভারসাম্য নষ্ট করলে! তোমার জন্য পশুদের ভেতর পারস্পরিক অবিশ্বাস জন্ম নেবে, তোমার কিছুতেই ক্ষমা নেই।

-মামা আপনি ভুল করছেন, এই কক্ষের তালা আমি কখনো খুলিনি। এগুলো নিশ্চয়ই আমার ঠাকুর্দার বন্ধু-বান্ধব ছিলেন। দেখুন না কত পুরনো, মরে কঙ্কাল হয়ে আছে, দেখেই গা ছমছম করছে।

আরেকটু ভেতরে গিয়েই সিংহ দেখতে পেল একটি কচ্ছপ জড়োসড়ো হয়ে বসে বসে কাঁপছে, শেয়াল তাকে ধরে বাঘের সামনে নিয়ে আসলো। এই জীবিত কচ্ছপটি দ্রুত একটি সরু জায়গায় ঢুকে গিয়েছিল বলে সিংহ আর তার নাগাল পায়নি, পাছে পালিয়ে যায় সেজন্য কক্ষে তালা দিয়ে রেখেছিল। মূল ঘটনা জানতে তদন্ত কমিটির আর বেশি সময় লাগল না।

ততক্ষণে হাতিও গুহার সামনে এসে পড়েছে। তদন্ত দলের ফিরতে দেরি হচ্ছে বিধায় সব পশুপাখিরা সিংহের গর্তের সামনে উপস্থিত হলো। সবার উপস্থিতিতে রিপোর্ট প্রকাশ করা হলো। তদন্ত কমিটি সিংহের গুহা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করল। বিশাল বপু নিয়ে সিংহ গুহা থেকে বেরুতে পারল না। সে চিৎকার করে ক্ষমা চাইতে লাগলো। কিন্তু ন্যায় বিচারক হাতি দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সিংহের গুহা চিরতরে বন্ধ করে দিলো। একইসঙ্গে এমন হঠকারী কৃতকর্মের জন্য খরগোশ ও কচ্ছপ উভয়কেই তীব্র ভৎসনা করা হলো।

কচ্ছপ আর খরগোশ এখন আর কখনো কোনো কিছু নিয়ে উচ্চবাচ্য করে না। জঙ্গলে আবার শান্তি ফিরে আসলো।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!