ব্রুস লির ২০টি অমিয় বাণী

মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি, পুরো নাম ব্রুস জুন ফান লি। তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কোতে, ১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক ও অভিনেতা। তাকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী ও বিখ্যাত মার্শাল আর্ট শিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই ৩২ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷

শেফালি কর্মকারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2018, 08:40 AM
Updated : 9 Sept 2018, 08:57 AM

ব্রুস লি অবসরে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। মার্শাল আর্ট বা কারাতের দৃশ্য বেশি আঁকতেন তিনি। তার নিজের সংগ্রহের দুই হাজারের বেশি বই নিয়ে একটি লাইব্রেরিও ছিলো। কবিতাও লিখতেন, তার কবিতা রয়েছে তার লেখা ‘টাও অব জিত কুনে দু’ বা মার্শাল আর্টের কৌশল বইটিতে। এ বইয়ের কিছু কথা এখানে সংকলিত হলো-

১. ঘুসি বা লাথি মেরে কখনো জেতা যায় না।

২. টেলিস্কোপের চেয়ে চোখের জল দিয়েই মানুষ বেশিদূর দেখতে পায়।

৩. জ্ঞান মাত্রই নিজেকে জানা।

৪. পালাবে না, দৌড়াও।

৫. আমি খালি গা থাকতেই পছন্দ করি। মানুষ কাপড় পরে একে অপরকে মুগ্ধ করার জন্য।

৬. সুখি হও, কিন্তু অল্প সাফল্যে আত্মতুষ্টিতে ভুগো না।

৭. জ্ঞান তোমাকে শক্তি দেবে, কিন্তু সম্মান পেতে হলে দরকার ভালো চরিত্র।

৮.  লক্ষ্য থাকলেই সেখানে পৌঁছে যেতে হবে এমন নয়, কখনও লক্ষ্য মানে নিশানা বা তাক করা।

৯. জ্ঞানীর কাছ থেকে বোকা যা শেখে, জ্ঞানী তারচেয়ে বেশি শেখে বোকার প্রশ্ন থেকে।

১০. জ্ঞানই শেষ কথা নয়, জ্ঞানের প্রয়োগ চাই। ইচ্ছাই যথেষ্ট নয়, কাজ করা চাই।

১১. অন্ধকারে হাঁটতে না চাইলে আলো প্রত্যাশা করা যায় না।

১২. পরাজয় মনের ব্যাপার, কেউ-ই পরাজিত নয় যতক্ষণ না সে মন থেকে পরাজয় মেনে নেয়।

১৩. সহজ জীবন চাও কেন? শক্তি চাও যেনো কঠিনকে মোকাবেলা করতে পারো।

১৪. ভুল ক্ষমা করে দেওয়া যায়, যদি তা স্বীকার করে সামনে এগুতে পারো।

১৫. স্বনির্ভরতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

১৬. যদি ভাবতেই থাকো, কাজ করতে পারবে না। জীবনের লক্ষ্যের দিকে প্রতিদিন অন্তত এক পা করে এগোও।

১৭. যদি আগামীকাল ব্যর্থ হতে না চাও, তাহলে আজ সত্যটা বলো।

১৮. সবচেয়ে শক্ত ঠাড়মোড় গাছটাই সবার আগে ভেঙে পড়ে, কিন্তু কঠিন বাতাসেও নিজের নমনীয়তা দিয়ে টিকে থাকতে পারে বাঁশ বা উইলো গাছ।

১৯ খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তাকে মনে জায়গা দিও না, এগুলো হলো আগাছা যা তোমার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করবে।

২০. সত্যিকারের বেঁচে থাকা মানে অন্যদের জন্য বেঁচে থাকা।

‘টাও অব জিত কুনে দু’

 
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!