ফেইসবুকে একজন লিখেছেন, ‘এই হাবলট ব্যাটারে আজ পর্যন্ত চিনলাম না। সেই ১৯৯৮ সাল থিকা দেখতাছি এক পিলিয়ার উঠাইয়া হাবলটরে নামায়। সব টিমেই কি একজন কইরা হাবলট আছে!’
আরেকজন লিখেছেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি চতুর্থ রেফারি কোন খেলোয়াড়ই চিনেনা। খেলোয়াড় বদলানোর সময় সব খেলোয়াড়েরই নাম ‘হাবলট’ দেখায়। যে উঠে আসে তার নামও হাবলট, যে নামে তার নামও হাবলট!’
খেলা চলাকালীন সময় চতুর্থ রেফারি যে বোর্ড হাতে নিয়ে খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন সেটাকে বলা হয় ‘রেফারি বোর্ড’। এ বোর্ডে যে খেলোয়াড় মাঠ ছাড়বেন তার জার্সি নম্বর আর যে খেলোয়াড় মাঠে নামবেন তার জার্সি নম্বর লেখা থাকে। এ রেফারি বোর্ডের সঙ্গে ‘উবলো’ এর সম্পর্ক কী তাহলে?
‘উবলো’ হলো সুইজারল্যান্ডের একটা ব্র্যান্ড, যারা ঘড়ি বানায়। বিশ্বখ্যাত অনেক ঘড়ি আছে ওদের।
এর সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের নিওনে অবস্থিত। এটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যার প্রতিষ্ঠাতা কার্লো ক্রক্কো।
উবলো ফুটবল থেকে শুরু করে অনেক খেলারই ‘টাইম ট্রাকার’ সরবরাহ করে এবং স্পন্সরশিপ নিয়ে থাকে। উবলো হলো বিশ্বকাপের রেফারি বোর্ডের স্পন্সর। ম্যারাডোনা এক সময় উবলোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রচারণার জন্য সুইজারল্যান্ডে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছিল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান উবলো।
চলতি বিশ্বকাপে রেফারির হাতেও স্মার্ট ওয়াচ সরবরাহ করেছে তারা। আয়োজকদের অনুরোধে তৈরি করা হয় উবলোর ‘বিগ ব্যাঙ রেফারি’ নামে দামি স্মার্টওয়াচ। এটি পরেই রাশিয়া বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করছেন রেফারিরা। এ ঘড়ির বিশেষত্ব হলো বল গোল লাইন ক্রস করলেই এলার্ম বা সংকেত পান রেফারি।