মায়ের শাসন ছাড়াই
বোশেখ মেলার দিনগুলো সব
কাটত পশুহাটে
কাটত বেলা রৌদ্রে পোড়া
পাঁচশো বিঘার মাঠে।
ভোকাট্টা ভোঁ উড়ত ঘুড়ি
রোদের আকাশজুড়ে
পুড়ত হৃদয় সঙ্গোপনে
রোদের সমুদ্দুরে।
চাইত না মন ফিরতে ঘরে
ছিল না তার তাড়া
ঘরটা ছিল শূন্য মরু
মা ছাড়া, মা ছাড়া।
ছোট্টবেলার মতো আজও
মায়ের শাসন ছাড়াই
খাঁ খাঁ রোদে আনমনে রোজ
চোখের জলে হারাই।
ছোট্ট আমি মায়ের কাছে
ছোট্ট আমি তোমার চোখে
ফিরলে বাসায় একপলকে
আমায় দেখে নিয়ে
বলতে থাকো আমায় তুমি
চোখ দুটো রাঙিয়ে-
চেহারাটা কী করেছিস
কখনো কি আয়না দেখিস
দেখিস নিজের হাল?
কান মলে তোর করে দেব
এক্কেবারে লাল
আমি তখন চুপ থাকি চুপ
বলি না তো কথা
মা-ই তখন কাছে ডেকে
ভাঙায় নীরবতা।
আদর করে নিজের হাতে
খাবার খাওয়ায় আমায়
হাতপাখাতে বাতাস করে
যদি কপাল ঘামায়।
মায়ের কাছে আমি যেন
এক্কেবারে শিশু,
এখনো মা আমায় ডাকে
কইরে আমার মিশু!
দস্যির জন্য
ভিজছে না দস্যিটা
ভিজছে না আর
ভিজবার জন্য মা
দিচ্ছে না মার।
টুপটাপ বৃষ্টি যে
একটানা ঝরছে
বৃষ্টিতে খোকনের
কথা মনে পড়ছে।
সারাদিন বৃষ্টিতে
ভিজে একাকার
ভিজছে তো ভিজছেই
নেই দেখা তার।
ফিরলে মা দস্যিকে
বকা দিত যেই
কাঁদবে কি দুষ্টুটা
হেসে ফেলবেই।