মায়ের কাছে খোলা চিঠি
মা গো তুমি কেমন আছো শান্ত সবুজ গ্রামে
মধ্যরাতে খোলা চিঠি লিখছি তোমার নামে,
কোলাহলের রঙিন শহর ঘুমিয়ে যখন কাদা
ছড়ার খাতায় তখন আমি ফুটাচ্ছি ফুল শাদা,
চাঁদটা আছে আড়াল হয়ে দালানগুলোর পাড়ে
দেখতে তাকে উঁকিঝুকি মারছি বারে বারে।
চাঁদের ভেতর দেখবো বলে তোমার মুখচ্ছবি
মধ্যরাতে তোমার ছেলে হঠাৎ সাজে কবি
ঘর থেকে আজ পালিয়ে গেছে ঘুমের যতো পরি
জানলা খুলে বসে আছি ধুত্তরি ধুত্তরি।
সোনামুখি মাগো তোমায় যতই করি ফোন
সেলফোনে আর কথা বলে ভরে না এই মন।
হারিয়েছে যার মা
আয়রে আমার সোনা মানিক আয়রে বুকের ধন
এমন মধুর ডাক দিয়ে আর কে ভেজাবে মন
ডাকবে কে আর পাজির পাজি হতচ্ছাড়া ছেলে
বুকের মাঝে কে জড়াবে আদুরে হাত মেলে!
সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে চাঁদের হাসি হেসে
চুলগুলো কে আওলে দেবে নিখাদ ভালোবেসে
ঘুম না এসে রাতের বেলা বিলি কেটে চুলে
কে ভরাবে ঘুমের বাগান রঙিন ফুলে ফুলে!
কে যোগাবে অসীম সাহস বিপদ আপদ এলে
এক জীবনে কী থাকে আর মা হারিয়ে গেলে,
রানাপ্লাজার ধ্বংস লীলায় হারালো যে মাকে
সেই মা হারা মা মা বলে ডাকবে এখন কাকে!
এক জীবনে মা-ই ছিলো যার চির সম্বল
বলতে পারো কী দিয়ে তার মুছবে চোখের জল!
ব্যস্ত মা
সবার শেষে ঘুমাও তুমি সবার আগে জাগো
কেমন করে এতো কষ্ট করো তুমি মাগো,
ব্যস্ততা হয় শুরু তোমার কাকডাকা ভোর থেকে
রাত্তিরে ঘুম পাড়াও আবার সকালে দাও ডেকে।
ঘর ঝাড় দাও নাস্তা বানাও হাসি হাসি মুখে
আদর করে দাও খাইয়ে টেনে নিয়ে বুকে
নাস্তা শেষে সাজাও আমায় রাজপুত্রের সাজে
যেনো আমায় স্কুলে কেউ না বলে মা বাজে।
অফিস যাবার সময় বাবার হয় প্রয়োজন যেটা
এরই ফাঁকে বাবার হাতে এগিয়ে দাও সেটা
এত্তো কিছু মা গো তুমি কেমন করে পারো
তুমিই জানো এর উত্তর নেই জানা আর কারো।
সবার নোংরা কাপড় চোপড় ধুচ্ছো তুমি দেখি
এরই মধ্যে দুপুর হলে রান্না চড়াও সে কি!
সবার আদর যত্ন করে কাটাচ্ছো দিন রোজ
আমরা মোটেও রাখি না মা তোমার কোনো খোঁজ।
তুমি আছো তোমার মতোই নিত্য প্রতিদিন
পারবো না মা শোধ করতে তোমার কোনো ঋণ।