জাপানের টোকিওর ছোট এক বাসায় শিজুকুর পরিবার কোন রকমে বসবাস করে, বড়বোন শিওর সঙ্গে তাকে এক কামরায় থাকতে হয়। শিজুকুর মা-বাবা আসাকো ও শেইয়া সারাদিন অফিসে থাকেন বলে তাদের সঙ্গে দেখাই কম ছিল। এ অবস্থায় শিজুকু বইয়ের মধ্যে তার নিজের জগৎ খুঁজে নেয়।
কল্পনার জগতে থাকা শিজুকু ছিলো ভুলোমনা। ঘরের কাজে সে উদাসীন। এ নিয়ে বড় বোন শিও প্রায়ই শিজুকুর সঙ্গে ঝগড়া করে। শিজুকু পড়াশোনা করে মুকাইহারা জুনিয়র হাই স্কুলে। স্কুলে তার সেরা বন্ধুটির নাম হলো উকো হারাদা। শিজুকু যখন পরীক্ষার পর পড়াশোনায় বেশ কিছুদিনের বিরতি দিয়ে উপন্যাস লিখতে চায়, তার বাবা মা এতে অনুমতি দেন।
দোকানটিতে আছে খেলনা, চিনামাটির ভাস্কর্য, পুরনোদিনের তৈজস, আসবাব, ক্ষুদ্র জাহাজ আর ঘর সাজাবার নানা জিনিস। ছবিতে শিজুকুকে সেই অ্যানটিক শপে জন ডেনভারের ‘টেক মি হোম কান্ট্রি রোড’ গানটি গাইতে দেখা যায়।
সেখানে ছিল একটি লংকেইজ ঘড়ি। বেড়াল মূর্তি ব্যারন ও লংকেইজ ঘড়ির রয়েছে আলাদা আলাদা কাহিনী। সেখানে শিজুকু সিজির দেখা পায় এবং জানতে পারে ছেলেটি বেহালা বানানো শিখতে চায়। এজন্য সে ইতালির ক্রেমোনাতে প্রশিক্ষণও নিতে যায়।
চলচ্চিত্রটিতে শিশুদের মন, মনন ও শিল্পী হয়ে উঠার নানা উপাদান দেখানো হয়েছে। এতে একটি উক্তি আছে এমন, ‘জিনিসটিকে নিথর পাথর থেকে ঘষে বের করে সুন্দর আকার দিলে তা চুনি পান্না হয়ে উঠবে। একজন মানুষকেও দীর্ঘ সময়ের শ্রম আর নিষ্ঠার বিনিময়ে শিল্পী হয়ে উঠতে হয়’।
শিক্ষনীয় এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইয়োশিফুমি কোন্ডো। কাহিনী লিখেছেন হায়াও মিয়াজাকি। জাপানের বিখ্যাত স্টুডিও জিবলিতে ১৯৯৫ সালে ‘হুইসপার অব দ্য হার্ট’ অ্যানিমেশন ফিল্মটি তৈরি হয়।