খেলার নাম ‘দড়ি টানাটানি’

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা দড়ি টানাটানি। অনেকে বলে কাছি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ খেলা প্রচলিত। ইংরেজিতে একে বলে টাগ অব ওয়ার, টাগ ওয়ার, রোপ ওয়ার বা আফ্রিকান্স।

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2018, 01:26 PM
Updated : 13 April 2018, 01:26 PM

নৌকাবাইচ, ডাংগুলি, কুস্তি, পাঁচগুটি, বাঘবন্দী, গোল্ললাছুট, হা-ডু-ডু খেলা, কানামাছির মতোই প্রাচীন খেলা দড়ি টানাটানি। এ খেলাটি মূলত শক্তি পরীক্ষার খেলা। পেশিশক্তির পাশাপাশি প্রচণ্ড বল প্রয়োগেরও প্রয়োজন হয় এ খেলায়।

এ খেলার উৎপত্তি ঠিক কোন দেশে তা জানা যায় না। তবে প্রাচীন মিশর, চীন ও গ্রিসেও এ খেলার প্রচলন ছিলো। ভারতের রাজস্থানে বার্ষিক ‘পুস্কার মেলায়’ মহিলারা এ খেলায় অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের বনভোজনে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা, ছবি: ফেইসবুক

বাংলাদেশে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের পুরুষরা এ খেলা খেলে থাকেন, কখনও কখনও মহিলারাও খেলেন। দর্শকের কাছে এই খেলা জয়-পরাজয়ের চেয়ে কখনও আনন্দ ও হাসি তামাশার। দড়ি টানাটানির সঙ্গে চলে নানা ধারণের স্লোগান।

তবে পহেলা বৈশাখসহ উৎসব-পার্বনে, স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়, বনভোজনে বা বিশেষ কোন দিনে এ খেলাটি ঘোষণা দিয়ে আয়োজন করা হয়। কখনও কখনও পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করে জানানো হয় এ খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগাম খবর। তখন দুই দল ও দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

এ খেলায় অংশ নেয় দুটি দল। মাঝখানে দেওয়া থাকে দাগ। দুই দলে সমান সংখ্যক প্রতিযোগী পরস্পরের বিপরীতে দড়ি টেনে সেই দাগ অতিক্রমের চেষ্টা করেন। এ টানাটানিতে মাটিতে লুটিয়ে পরে প্রতিপক্ষ পরাজিত দল।

আবার এ খেলায় কখনও এক পক্ষ যখন দেখে হেরে যাচ্ছে, তখন দড়িটা দেয় ছেড়ে। অমনি উল্টো দিকের লোকজন কুপোকাত।

একসময় অলিম্পিকেও এ খেলায় বিভিন্ন দেশ অংশ নিতো। ১৯০০ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত অলিম্পিকে ছিল খেলাটি। ১৯০৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকে এ খেলায় স্বর্ণ জয় করে যুক্তরাজ্য, দলের সব সদস্য ছিল পুলিশ।