মধ্যরাতে রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ছড়া

মধ্যরাতে রবীন্দ্রনাথ

মাসুম আওয়ালমাসুম আওয়াল
Published : 10 Feb 2018, 04:12 AM
Updated : 10 Feb 2018, 04:12 AM

এই তো সেদিন মধ্যরাতে

ঘুম ভেঙেছে যেই

দু’চোখ মেলে দেখতে পেলাম

রবীন্দ্রনাথকেই

শুভ্র সফেদ দাড়ি ও চুল

করছিলো জ্বলজ্বল

মিষ্টি হেসে বলেন, আওয়াল

কী হয়েছে বল?

বললাম আমি কী যে করি

নামছে না ঘুম চোখে

রবি বললেন, আমার রোগটা

ধরলো শেষে তোকে।

কী আর করবি বাতি জ্বেলে

কলম হাতে ধর

মনের আকাশ মেলে ধরে

লিখতে শুরু কর।

আমিও ফড়িং তুমিও ফড়িং

আমিও ফড়িং তুমিও ফড়িং

সবাই যদি ফড়িং হতো

তুমিই বলো তাহলে কি

জীবন এতো বোরিং হতো।

ঘুড়ি

একটা ঘুড়ি লেজ নাড়িয়ে

যাচ্ছে উড়ে উড়ে

একটা ঘুড়ি যায় মিলিয়ে

গোলাপি মেঘ ফুড়ে।

একটা ঘুড়ি আসছে নেমে

খোকার সুতোর টানে

একটা ঘুড়ি হেলেদুলে

মেঘের চিঠি আনে।

একটা ঘুড়ি গোত্তা খেয়ে

আটকে গেলো গাছে

একটা ঘুড়ি কাল ওড়াবো

বাক্সে রাখা আছে।

আকাশ ছুঁয়ে মাথা রাখিস

বললো মন শোন খোকন

পিছ পা যেনো না হস

তিরিশ লক্ষ শহীদ তোর

গর্ব এবং সাহস

নেই ঝুঁকি শোন খুঁকি

শোন জোনাকী জুঁই

লক্ষ জয়ী বীরাঙ্গনার

দেশের মেয়ে তুই।

আকাশ ছুঁয়ে মাথা রাখিস

উচ্চে গলার স্বর

বীর বাঙালির সন্তান তুই

নেই কোনো ভয় ডর।

মনে রাখিস তোর রক্তে

মেশানো সংগ্রাম

তোর প্রতিটা শিরায় লেখা

বাংলাদেশের নাম।

ঝুমঝুমি

ঝুমঝুমিরে ঝুমঝুমি

তোর দুটো চোখ ফোলা ফোলা

সারাক্ষণই ঘুম ঘুমি

ঝুমঝুমিরে ঝুমঝুমি।

বুঝিনা ছাই তোর দু’চোখে

সাত রাজ্যের ঘুম কেনো

নেই কোনো তোর সকাল বিকাল

এতো ঘুমের ধুম কেনো?

ঝুমঝুমিরে ঝুমঝুমি

যতই বাজুক ঢোল তবলা

টাকডুমাডুম ডুমডুমই

তোর দুটো চোখ সারাবেলা

থাকে কেবল ঘুম ঘুমই

ঝুমঝুমি।