দাদার জন্য ঝুড়িভর্তি আপেল

ইয়েপের মা বললো, এখন তোমরা দু’জন একসঙ্গে দাদার জন্য এক ঝুড়ি আপেল নিয়ে যাবে। দু’জন ঝুড়ির দু’পাশে ধরবে আর দাদাকে আমার শুভেচ্ছা জানাবে।

তানবীরা তালুকদারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2018, 08:20 AM
Updated : 24 Jan 2018, 08:22 AM

ইয়েপ আর ইয়ান্নেকে তাদের ঝুড়ি নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। একটু পর ইয়েপ বললো, ঝুড়িতে দু’রঙের আপেল আছে, লাল আর সবুজ।

হু, বললো ইয়ান্নেকে, সবুজগুলো লালগুলোর চেয়ে মজা।

না, বললো ইয়েপ, লালগুলো বেশি মজা।

তাহলে খেয়ে দেখো তো! বললো ইয়ান্নেকে।

তারা ঝুড়িটা নিচে নামিয়ে রাখলো। ইয়ান্নেকে একটা লাল আপেল আর ইয়েপ একটা সবুজ আপেলে কামড় বসালো।

এটা বেশি মজা, বললো ইয়েপ।

না, এটা মজার, বললো ইয়ান্নেকে।

সব লাল আপেলের স্বাদ এক নয়।

এখানে, এই আপেলটা দেখো, খুব মিষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছে, আর এটাও, বললো ইয়েপ।

আর তুমি এটা খেয়ে দেখো, বললো ইয়ান্নেকে।

তারা রাস্তার পাশে বসে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সব আপেল কামড়ে তাদের স্বাদ দেখে নিলো। সবগুলো আপেলের মধ্যে ছোট করে একটি কামড়। আপেলের গায়ে তাদের দাঁতের মাপে কামড়ের দাগ আছে।

ওহ! এখন কী হবে, বললো ইয়েপ।

দাদা ভীষণ রাগ করবে, বললো ইয়ান্নেকে।

তারা আপেলের ঝাঁকাটা তুলে নিয়ে খুবই দুঃখিত মনে দাদার বাড়ির দিকে হেঁটে চললো।

ইয়েপ বললো, মা তোমাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে দাদা।

আর এখানে এক ঝুড়ি আপেল পাঠিয়েছে, বললো ইয়ান্নেকে।

কিন্তু সব আপেল থেকে একটি টুকরো খাওয়া হয়ে গেছে, বললো ইয়েপ।

আমরা দু’জন সবগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি, সবগুলো আপেলই খুব খুব মজার, বললো ইয়ান্নেকে।

যদিও ইয়েপ আর ইয়ান্নেকে দু’জনেই প্রচণ্ড ভয়ে প্রায় সাদা হয়ে গিয়েছিলো।

তাই, বললো দাদা, সবগুলো থেকে এক কামড়? আমার তো মনে হচ্ছে এখন এগুলো আরো মজাদার হয়েছে। চলো একটা কাজ করি, আমরা প্রত্যেকে একটা করে আপেল খাই।

সবাই মিলে একসঙ্গে আপেল খেলো।

পরে ইয়েপ তার মাকে এ গল্পটি জানিয়ে বললো, দাদা অনেক বেশি ভালো মানুষ। এটাই হবে, তাই না মা?

অনুবাদকের কথা: পঞ্চাশের দশকে আনি এম জি স্মিড নামে এক লেখক ওলন্দাজ দৈনিক ‘হেত পারোল’ এ ইয়েপ আর ইয়েন্নেকে নামে দুই শিশুকে নিয়ে নানা ধরণের গল্প লিখতেন। সমবয়সী দু’জন শিশু দু’জনের প্রতিবেশী। ‘ইয়েপ আর ইয়েন্নেকে’ শিরোনামে দুই শিশুর দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে গল্প লিখতে লাগলেন স্মিড। এ সিরিজের শেষ গল্পটি ছাপা হয় ১৯৫৭ সালে। সিরিজের একটি অধ্যায় হলো ‘দাদার জন্য ঝুড়িভর্তি আপেল’।

এই লেখকের আরও লেখা