কেমন করে এলো নতুন বছর

১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ইংরেজি নতুন বছর। বিশ্বের অনেক দেশেই দিনটিতে নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

কিডস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2018, 10:44 AM
Updated : 1 Jan 2018, 10:44 AM

ইংরেজি সন ছাড়াও অনেক দেশের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির নিজ নিজ বর্ষপঞ্জিকা ও আলাদা উৎসব। আজ আমরা সেগুলোই জানবো-

১. চার হাজার বছর আগে প্রাচীন ব্যবিলনীয়রা নতুন বছর পালন শুরু করে। রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার ১ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন। তিনি যে বর্ষপঞ্জিকা চালু করেন তা ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত।

মাকাহিকি উৎসবে হাওয়াইন শিশুরা

২. নতুন বছর পালন নতুন ধারণা নয়। ২০০০ খ্রিস্টপূর্বে এটি প্রচলিত ছিল। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার (বর্তমান ইরাক) লোকেরা নতুন বছর পালন করতো। রোমানরা ১ মার্চকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে পালন করতো।

৩. জানুয়ারি শব্দটা এসেছে রোমান দেবতা ‘জানুস’ এর নাম থেকে। ‘জানুস’ হলেন প্রবেশপথ বা সূচনার দেবতা। তার দুইটা মাথা। একটা সামনে আরেকটা পেছনে।

৪. নতুন বছর পালন করা হতো আত্মশুদ্ধির জন্য। খারাপ অভ্যাসগুলো ছেড়ে ভালোকিছু চর্চা করা ছিল এর উদ্দেশ্য।

৫. বাঙালিদের নতুন বছর শুরু হয় পহেলা বৈশাখ থেকে। প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল দিনটি উপলক্ষে বাংলাভাষী মানুষেরা বর্ষবরণ পালন করেন। মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করেছিলেন।

৬. নতুন বছরে নতুন কিছু উপহার দেওয়া আগে থেকেই প্রচলিত। যেমন পার্সিয়ানরা নতুন বছরে একে অপরকে ডিম বা ডিমের তৈরি জিনিস উপহার দিতো। এটা তারা করতো উৎপাদনশীল বা কর্মক্ষম থাকার ইচ্ছায়।

সঙক্রান উৎসবে জলকেলি

৭. ইথিওপিয়ায় ১৩ মাসে ১ বছর। সে হিসেবে দেশটিতে এখনও ২০০৬ সাল চলছে। তারা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন বছর গণনা করে।

৮. কোরিয়াতে কোন শিশু জন্ম নিলে তার বয়স তখনই ১ বছর ধরা হয়। জন্মদিন থেকে নয়, প্রতি বছরের শুরুতে তার এক বছর করে বাড়ে। যেমন, কারও জন্মদিন যদি হয় ২৯ ডিসেম্বর তাহলে নতুন বছরে তার বয়স হয়ে যাবে ২ বছর!

৯. যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে নতুন বছর পালন করা হয় চার মাসব্যাপী। এ উৎসবকে বলা হয় ‘মাকাহিকি’। এ সময়ে যুদ্ধ বন্ধ থাকে, কেউ কাজ করে না। নাচ, গান আর খাওয়া-দাওয়া করে কাটায় তারা।

১০. থাইল্যান্ডে নতুন বছর হলো ১৩ এপ্রিল। এদিন তারা ‘সঙক্রান’ উৎসব পালন করে। আর চলে কয়েক দিনব্যাপী জল ছিটানো প্রতিযোগিতা।

১১. রাশানরা নতুন বছর পালন করে দুইবার। একটি ১ জানুয়ারি, আরেকটি ১৪ জানুয়ারি।

বাংলা নববর্ষ

১২. জাপানের আকিতা অঞ্চলে নতুন বছরে অদ্ভূত এক নিয়ম চালু আছে। এদিন সেখানকার পুরুষরা পাহাড়ের দৈত্যের মতো পোশাক পরে। তারা শিশুদের ভয় দেখায় যেন তারা তাদের মা-বাবার কথা শোনে ও অলস না হয়।

১৩. চীনের রয়েছে আলাদা বর্ষপঞ্জি। এ অনুসারে ২০১৮ সালে তারা ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ষবরণ পালন করবে। দিনটিতে তারা ‘বসন্ত উৎসব’ করে।